হাত নেই পা নেই , এটাই তার মটি ভেসন

ecurrentworld

ইয়ানিস মেক ডেভিড একটি নাম যার হাত নেই পা নেই , কিন্তু কি  অবাক কাণ্ড, পৃথিবীর নানা দেশে ঘুরে বেরাচ্ছে শুধু অনুপ্রেরনা দেওয়ার জন্য ,  আর মানুষ যাদের হাত আছে , পা আছে তারা তার কাছে আসছে অনুপ্রেরনা নেওয়ার জন্য , অবাক না ?
সত্যি অবাক করার মতই । আপনার সাথে দেখা হলে সে ই পাগল হয়ে যাবে আপনার সাথে কথা বলার জন্য , সাথে আপনার কথা শুনার জন্য , সাথে রসিকতা বাদ দিবে না ।

ecurrentworld

এই তো কিছু দিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন ইউনিসেফের আমন্ত্রনে । ভ্রমন প্রিয় এই তরুন ইউরোপ এশিয়া সহ ইতিমধ্যে নানান দেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। ঘুরে বেরান তার নেশা । তার নিজের ভাষায় এক সাথে চার সপ্তাহ এক নাগারে এক জায়গায় সে থাকতে পারে না । এটাই তার সবচে বড় অক্ষমতা। জারমানির এক ইউনিভারসিটির ইকনমিক্স এর ছাত্র সে এখন অনুপ্রেরনাদায়ি বক্তা মানে মটি ভেসনাল স্পিকার ।
তার বক্তব্যের মূল হল যা তুমি  পরিবর্তন করতে পারবে না , সেটা মেনে নাও , তোমার কি নেই সে হিসাব না করে , কি আছে সেটা দেখ। জীবনের অনেক উত্থান পতন আর দুঃখ দুর্দশা আর গ্লানি থেকে সে এই শিক্ষা নিয়েছেন। হাত পা ছাড়াই সে জন্মেছেন। ছোট বেলায় সে এটা বুঝতনা।

আট বছর বয়সে সে প্রথম জীবনের আসল অপ্রিয় সত্য টা জেনেছিল। যে সে আর দশটা বাচ্চার মতো জন্মে নি । আট বছের আগে সে স্বপ্ন দেখত পুলিশ অফিসার হবার পরে সে বুঝল সে তো আর হবার নয়। সিঁড়ি তে উঠার ভয় , আত্মীয় সজনের সাথে দেখা হউয়ার লজ্জায় সে সবাইকে এরিয়ে চলত। কোথাও গেলেই সবাই তার দিকে তাকাবে এটাই ঐ সময় তার লজ্জার কারন ছিল

ecurrentworld

আর এখন , ইয়ানিস নিজেই বলে এটাই আমাকে হিরু বানিয়ে দিয়েছে, এটাকেই নিজের সৌভাগ্য মনে করে , মানে দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে আজ তার এই অবস্থা। এখন যখন দেখি সবাই আমার দিকে তাকায় নিজেক সুপার স্টার মনে হয়।আর এই দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে দেওয়ার পিছনে ছিল তার মা । মা তাকে ক্কখনই বুঝতে দেন নি যে সে ডিজেবল , এই জন্য মা তাকে কোন বিশেষ স্কুলে  পাঠান নি ।
এই জন্য সে তার জেদের কারনে এমন কি নাচের ক্লাসে ও যেত । এই জন্য এই ২৫ বছরের যুবক মায়ের যার পর ই না কৃতজ্ঞ ।
ছোট বেলায় সে যে পুলিশ হতে চাইত , একদিন এক সত্যিকারের পুলিশ কে দেখে জানতে চেয়েছিল সে যদি পুলিশ হতে চায় কি করতে হবে ?পুলিশ উত্তর দিয়েছিল আগে লেখা পড়া শেষ কর তার পর দেখা যাবে । তার হয়ত পুলিশ হউয়া হয়নি কিন্তু তার এক বিশেষ রকমের গাড়ি  আছে সেটা সে এখন নিজেই চালায় হাত ছাড়াই পা ছাড়াই ।
ইয়ানিস এর বিশ্বাস হাত পায়ের থেকে বড় হল সৃজনশীলতা , যা মানুষ কে বড় করে হিরু বানায়। সে মনে করে মনের জোর টাই আসলে সবচে বড় , এটার সবচে বড় উদাহরন স্তিফেন
 হকিং।
বাংলাদেশের এক ছোট মেয়ে তাকে বলেছিল , তুমি মুখ দিয়ে লিখতে পার আর আমি হাত দিয়ে এখনও লিখতে পারি না ।
তার সবচে বড়গুণ হল অন্যকে যেমন অনুপ্রানিত করতে পারে একি সাথে নিজেও অনুপ্রানিত হন , যা তাকে সহজেই অন্যদের থেকে খুব সহজেই আলাদা করে ।

ধর্ম ও কর্ম --দারসুল হাদিস

ecurrentworld

Comments