হোমিওপ্যাথিক কেস টেকিং ফরম
১। রোগের বিবরণ ...................................................................................................................................
২। রোগের অবস্থা বেশী খারাপ হয় ঃ - দিনের বেলা রাতের বেলা নড়াচড়া করলে বিশ্রামের সময় সকালে দুপুরে বিকেলে সন্ধ্যায় মধ্যরাতের পরে শীতকালে গ্রীষ্মকালে বর্ষাকালে খোলা বাতাসে গেলে শুকনো বাতাসে ভেজা বাতাসে ঠান্ডা বাতাসে ঠান্ডা খাবারে বদ্ধ ঘরে বিছানায় শুইলে খালিপেটে ভরাপেটে নীচে নামার সময় রোগের কথা চিন্তা করলে হাঁটলে দাঁড়াইলে পরিশ্রম করলে মানসিক শ্রমে উত্তেজিত হলে টেনশন করলে কথা বললে ঘামলে ভিজলে ঘুমাইলে ম্যাসেজ করলে
গরম ঘরে চাপ দিলে আলোতে অন্ধকারে বিকেল ৪টা থেকে ৮টার সময় ভোর ৩ টা থেকে ৫ টার সময় আগুনের কাছে গেলে ................................
৩। রোগ হওয়ার আনুমানিক কারণ ? ভয় পাওয়া আঘাত পাওয়া রাগ চেপে রাখা পচাঁ/বাসি খাবার খাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম প্রচণ্ড গরমের সময় ঠান্ডা খাবার খাওয়া কারখানায় কাজ করা আপনজনের মৃত্যু প্রেমে ব্যর্থতা ঠান্ডা বাতাস পারদের বিষক্রিয়া কোন ধরনের নিঃস্রাব (ঘাম/সর্দি/মাসিক) হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় মানসিক আঘাত মাথায় আঘাত টিকা / ভ্যাকসিন নেওয়া ঠান্ডা পানিতে পা ভিজানো ভারী কিছু উঠানো বিষন্নতা গর্ভধারন ঠান্ডা পানিতে গোসল করা বেশী পড়াশুনা বেশী পরিশ্রম রক্তক্ষরণ ....................
৪। অতীতে যে-সব রোগ হয়েছিল ঃ - টিবি/যক্ষ্মা সিফিলিস গনোরিয়া ক্যান্সার কোমরে বাত গলগন্ড কোষ্টকাঠিন্য চর্মরোগ গর্ভপাত .................অপারেশন টিকা নিয়েছি (বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস)
৫। তাপমাত্রা সম্পর্কিত অনুভূতি ? শীতকাল সহ্য করতে পারি না গরমকাল সহ্য করতে পারি না ঠান্ডা বাতাস খুবই পছন্দ বরফের মতো ঠান্ডা পানি খাই
৬। শারীরিক আকৃতি কেমন ? পাতলা স্বাভাবিক মোটা বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয় শরীরে পানির পরিমাণ বেশী প্রচুর খেয়েও শুকিয়ে যাচিছ
৭। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস কেমন ? নিয়মিত গোসল করি নিয়মিত গোসল করি না শীতকালেও নিয়মিত গোসল করি
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস কোন কিছু এলোমেলো দেখলে ভীষণ রাগ লাগে বেশী বেশী হাত ধোয়ার অভ্যাস
৮। যে-সব খাবার/ পানীয় খুব বেশী পছন্দ ? টক ঝাল দুধ ডিম মাছ মাংস আইসক্রিম আপেল চকলেট কাবাব গোল আলু কমলা শাক-সবজি ভাজা-পোড়া তেল-ঘি জাতীয় খাবার ঠান্ডা খাবার মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ লবন বেশী খাওয়ার অভ্যাস এতো গরম চা/ কফি খাই যা অন্য কেউ খেলে মুখ পুড়ে যাবে ঠান্ডা পানি , ঠান্ডা বাতাস , ঠান্ডা খাবার পছন্দ গরম পানি , গরম বাতাস , গরম খাবার পছন্দ দুধ হজম হয় না বরফের মতো ঠান্ডা পানি খেতে ভালো লাগে
৯। ক্ষুধার অবস্থা কেমন ? কম স্বাভাবিক বেশী সবচেয়ে বেশী ক্ষুধা পায় সকাল ১১ টায় ক্ষুধা আছে কিন' খেতে ইচেছ করে না সব খাবারই
নোন্তা লাগে মুখ তিতা তিতা লাগে অল্পকিছু খেলেই পেট ভরে যায় যা খাই তাতেই পেটে গ্যাস হয় খাওয়ার একটু পরেই আবার ক্ষুধা লাগে পানি ছাড়া সবই তিতা লাগে প্রচুর খেয়েও ক্ষুধা মিটে না চক, কয়লা, পোড়ামাটি, চুনা প্রভৃতি অখাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা খোলা বাতাস খুবই পছন্দ পিপাসা বেশী পিপাসা কম খাওয়ার পর পেট ভার ভার লাগে যা খাই সব ঠেলে উপরের দিকে উঠতে থাকে হজমশক্তি দুর্বল পানি খাওয়ার কিছু পরেই বমি হয়ে যায়
১০। ঘুমের অবস্থা কেমন ? কম স্বাভাবিক বেশী খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় অনেক ঘুমিয়েও ফ্রেস লাগে না ঘুমের মধ্যে অল্পতেই চমকে উঠি
ঘুমের সময় মুখ থেকে লালা ঝরে ঘুমের মধ্যে পায়ে স্পর্শ করলে লাফ দিয়ে উ্বিঠ হাঁটুর মতো বাঁকা হয়ে ঘুমাই
১১। কিসে কিসে ভয় পান ? একা থাকতে লোক সমাগম অন্ধকার উপরে ওঠে নীচে তাকাতে টিকটিকি তেলাপোকা সাপ কুকুর ভুত-পেত্নী মৃত্যু চোর-ডাকাত বজ্রপাত ধারালো অস্ত্র আলপিন নীচের দিকে নামতে ক্যান্সার প্যারালাইসিস কলেরা ট্রেন বদ্ধ ঘর
গরীব হওয়া চাকরি হারানো চিপা সংকীর্ণ জায়গা ভয় পেলে পেটের ভেতর চন্ করে ওঠে উপর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় ধারালো অস্ত্র
১২। আপনার স্মরণশক্তি কেমন ? দুর্বল স্বাভাবিক প্রখর হঠাৎ করে স্মরণশক্তি অনেক কমে গেছে চিন্তা করার শক্তি নাই কোনো কিছুতে সহজে মনোনিবেশ করতে পারি না কথা বলার সময় লাইন হারিয়ে ফেলি চিন্তা ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারি না ছোটখাট ব্যাপারে বেশী দুঃশ্চিনতা হয়
১৩। মেজাজ-মর্জি কেমন ? একেবারে ঠান্ডা স্বাভাবিক খিটখিটে অল্পতেই ভীষন রেগে যাই আমার মতের বিরোধীতা সহ্য করতে পারি না রাগলেও তা প্রকাশ করি না মেজাজ-মর্জি ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায় অল্পতেই মনে কষ্ট পাই মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারি না অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ না করে থাকতে পারি না টেনশন করলে ডায়রিয়া হয়ে যায়
১৪। ঘামের অবস্থা কেমন ? ঘাম খুব কম স্বাভাবিক ঘাম খুব বেশী মাথা এবং ঘাড়ে বেশী ঘামায় ঘুমের মধ্যে / এমনকি চোখ বন্ধ করলেও সামান্য পরিশ্রমেই প্রচুর ঘামায় ঘামের গন্ধ টক শরীরের উপরের অংশে বেশী ঘামায় শরীরের এক পাশে ঘামায় শয়ন করলে বেশী ঘামায় পায়ে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম
মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায় শরীরের খোলা অংশ ঘামায় হাত-পা সর্বদা ঘামে ভিজে থাকে চামড়া তৈলাক্ত
১৫। কি ধরণের স্বপ্ন দেখেন ? দেখি না স্বাভাবিক এলোমেলো প্রাণবন্ত দুঃস্বপ্ন নোংরা অস্থিরতাপূর্ণ কঠোর পরিশ্রম গোলাগুলি
ঝগড়া মাঠে ঘুরতেছি ভয়ঙ্কর মৃত মানুষ উপর থেকে পতন আগুন পানি দুর্ভাগ্যজনক ডাকাত বিরক্তিকর
১৬। ভীষণ দুর্গন্ধ আছে ঃ - পায়খানায় প্রস্রাবে নিঃশ্বাসে ঘামে রসুনের গন্ধ ঋতুস্রাবে নিঃশ্বাস ও কফের দূর্গন্ধ নিজের কাছেও অসহ্য
পায়খানা/ প্রস্রাব/ বমিতে মাছের গন্ধ পায়খানা এবং ঘামের গন্ধ টক ঘামের গন্ধ মিষ্টি ধরণের
১৭। মাসিকের অবস্থা কেমন ? নিয়মিত অনিয়মিত একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে অল্প স্রাব বেশী স্রাব সাদাস্রাব ব্যথাযুক্ত ঋতুস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত
মাসিকের শুরুতে ডায়েরিয়া দেখা দেয় মাসিকের কয়েকদিন পূর্ব থেকে মাথাব্যথা শুরু হয় প্রথম মাসিক দেরীতে শুরু হয়েছিল স-ন্যদান কালে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হয় মাসিকের পূর্বে বিষন্নতা মাসিক নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শুরু হয়ে যায় মাসিক শুরু হলে অনেক সমস্যা চলে যায় মাসিকের পরিবর্তে স্তনে দুধ আসে
১৮। ব্যথা-বেদনার হালচাল কেমন ? বিজলীর মতো ছুরি মারার মতো ব্যথা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে
ব্যথা হওয়ার কথা অথচ ব্যথা নেই ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায় ব্যথা কোমর থেকে হাটুর দিকে যায় ডান কাঁধের নীচে ঝিমমারা ব্যথা ব্যথা তলপেট থেকে স্তনের দিকে যায় আঙ্গুলের মাথায় সুই ফোটানোর মতো ব্যথা ব্যথা অতি অল্প একটু জায়গায় তলপেটে নীচের দিকে ঠেলামারা ব্যথা ক্ষুধা লাগলে মাথাব্যথা শুরু হয় ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং ধীরে ধীরে কমে সামান্য স্পর্শেও ব্যথা পাই শক্ত বিছানায় শুতে পারি না সামান্য ব্যথাতেই অজ্ঞান হয়ে যাই
১৯। পায়খানা-প্রস্রাবের বৃত্তান্ত ? কোষ্টকাঠিন্য/ পায়খানা শক্ত (দীর্ঘদিন যাবত) ঘনঘন প্রস্রাব হয় প্রস্রাবের রঙ লাল/ কালো/ হলুদ/ বাদামী/ গোলাটে পায়খানায়/ প্রস্রাবে ভীষণ জ্বালা-পোড়া আছে ছাগলের লেদির মতো পায়খানা প্রস্রাবের গন্ধ কড়া/ঝাঁঝালো হাঁচি, কাশি বা হাঁটার সময় প্রস্রাব বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের গন্ধ গরুর চেনার মতো
২০। শরীরে জ্বালা-পোড়া আছে ঃ - মাথার তালুতে হাতের তালুতে পায়ের তালুতে পেটের ভেতরে
২১। হার্টের/ হৃৎপিন্ডের অবস্থা কেমন ? হার্টবিট খুবই দ্রুত বুক ধড়ফড়ানি হার্টবিট খুবই কম/ধীরে ধীরে মাঝেমধ্যে হার্টবিট মিস হয় অল্পতেই অজ্ঞান হয়ে যাই হার্টের ব্যাপারে সব সময় দুঃশ্চিন্তায় থাকি
২২। অন্যান্য শারীরিক লক্ষণসমূহ ঃ - শরীর সব সময় গরম থাকে পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে শরীরের ভেতরে মনে হয় কিছু নাই/ফাঁপা কফ/ থুতু/ নাকের শ্লেষ্মা খুবই আঠালো এবং টানলে রশির মতো লম্বা হয় সর্বদা হাত ও আঙ্গুল নাড়ানোর প্রবনতা অতিরিক্ত পা নাড়ানোর স্বভাব এক জায়গায় বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারি না ঘা/ ক্ষত সহজে সারতে চায় না ছোট্ট কাটা থেকে প্রচুর রক্তপাত হয় হাতের তালু সব সময় গরম থাকে সামান্য পরিশ্রমেই হাটুতে কাঁপুনি হাত-পা ঠান্ডা থাকে সারা শরীর বরফের মতো ঠান্ডা সামান্য পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে পড়ি অনেক পরিশ্রমেও ক্লান্ত হই না ভ্রমণ করতে ভালো লাগে ঘাড়ের উপর কাপড়ের চাপ সহ্য হয় না শারীর দুর্বল কিন্তু ব্রেন খুবই ভালো আঙ্গুলের মাথায় কেমন শুকনো শুকনো লাগে কাশি দিলে চোখে পানি এসে যায় রোগের লক্ষণ প্রতিমুহূর্তে পাল্টে যায় বেশীক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয় মুখের লালা তুলার মতো ঘন সামান্য উত্তেজনায় মুখমন্ডল লাল/গরম হয়ে ওঠে দাঁতগুলি খুবই দ্রুত ক্ষয় হয়ে গেছে যৌন শক্তি দুর্বল মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম করেছি যৌন মিলনের পরে জ্বালা-পোড়া ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয় সহবাসের পর হাটুতে/চোখে সমস্যা হয় যৌন মিলনের পরে দুর্বলতা যৌনকর্মে আগ্রহ নাই সঙ্গমে ব্যথা লাগে মনে যৌন চিন্তা বেশী আসে অনেকদিন ডায়েরিয়ায় / রক্তক্ষরণে ভোগেছি নাক-গলা-জিহ্বা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে দাঁতে দাঁত চেপে ধরতে ইচ্ছা হয় ভেতরটা মনে হয় পঁচে গেছে হাঁটতে অসুবিধা হয় জীবনে প্রচুর ঔষধ খেয়েছি
২৩। মানসিক লক্ষণসমূহ ঃ- অত্যধিক চঞ্চল অলস ভীষণ অসি'র এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারি না সারাক্ষণ আনন্দে থাকি বিষন্নতা - মনে আনন্দ নাই আবেগপ্রবণ অনুশোচনা/অনুতাপ দগ্ধ হইতেছি ভবিষ্যতের ব্যাপারে হতাশা ধৈর্যহীন লজ্জা-শরম কম বেশী বেশী কথা বলার স্বভাব
কথা বলতে ইচ্ছে করে না কর্কশ/কটুভাষায় কথা বলার স্বভাব বন্ধুত্ব প্রিয় উদাসীন/ বেখেয়ালী মানুষকে সন্দেহ করার অভ্যাস কাউকে বিশ্বাস হয় না
নিজেকেও বিশ্বাস করি না কথায় কথায় ঝগড়া করার স্বভাব পরের দোষ খুঁেজ বেড়াই মিশুক/ সামাজিক মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারি না খরচের ব্যাপারে সাংঘাতিক হিসাবী খুবই লাজুক ধার্মিক ভালোবাসার মানুষদের প্রতি উদাসীন টাকা উড়ানোর স্বভাব প্রতিশোধ পরায়ণ আশাবাদী
নৈরাশ্যবাদী ক্ষমতাপ্রিয় শান্তিপ্রিয়-ঝগড়া-বিবাদ পছন্দ করি না নেতৃত্বের জন্য পাগল বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছা গোয়ার / একঘুয়ে স্বভাবের হিংসুটে রোমান্টিক (রসিক) ধরনের মানুষ অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাই দীর্ঘদিন টেনশান/অশানি-তে ছিলাম পরের ভালো দেখতে পারি না মনে বড় রকমের কষ্ট পেয়েছিলাম নিজেকে বড় এবং অন্যদের তুচ্ছ মনে হয় মাতালের মতো লাগে মনে হয় আমার সাংঘাতিক কোন রোগ হয়েছে বাড়ির জন্য সর্বদা মন কান্দে সমাজের / পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নেই মানসিক দুর্বলতা এক মুহূর্ত কাজ না করে থাকতে পারি না গালাগালি করার অভ্যাস সামান্য শব্দেই চমকে উঠি গান খুবই পছন্দ করি নিজের বা অন্যের কৃতকর্মের পরিণতি নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা হয় অল্পতেই ভয় পেয়ে যাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করে ফেলি
অত্যধিক মানসিক পরিশ্রম করি পার্টি, অনুষ্টান, সভা-সমিতি ইত্যাদি নিয়ে পড়ে থাকতে ভালো লাগে ধর্মীয় বিষয়ে/ পরকালের মুক্তি নিয়ে বেশী চিন্তা করি
সবকিছুতে গোপনীয়তার স্বভাব সান্ত্বনা দিলে উল্টো ক্ষেপে যাই সবকিছুর খারাপ দিকটা আগে চিন্তা করি কথায় কথায় কেঁদে ফেলি সবকাজেই তাড়াহুড়া করি সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হয় সহজে মত পাল্টে যায় দ্রুত হাঁটার অভ্যাস ঘনঘন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলি মনে হয় আমার আখেরাত বরবাদ হয়ে গেছে মনের মধ্যে অদ্ভূত-হাস্যকর সব চিন্তা আসে মাথায় একসাথে হাজার চিন্তা ঘুরপাক খায় মনে হয় আর বাঁচব না সব বিষয়ে সেরা হওয়ার ইচ্ছা অপরিচিত লোক দেখলে বিরক্ত লাগে সামর্থের চেয়ে অনেক বেশী পরিশ্রম করি প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি হয়ে যায় উচ্চ আওয়াজ ভীষণ অসহ্য লাগে চাকরি বা পেশার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে ঘনঘন পেশা পরিবর্তনের অভ্যাস অন্যদের কোন কাজই পছন্দ হয় না অল্পতেই হাসি অল্পতেই কাঁদি আত্মহত্যা করতে ইচছা হয় মাথায় গুলি করে/ উপর থেকে লাফ দিয়ে অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা হয় ভয় পেলে হাত-পায়ে ক্বাঁপুনি দেখা দেয় মানুষের অনেক দুর্ব্যবহার সহ্য করেছি মনের মধ্যে অনেক রাগ জমে আছে অল্পতেই মনে কষ্ট পাই একাকী থাকতে পারি না একা থাকতে ইচ্ছা করে কাজ করতে ভালো লাগে না মানুষ খুন করার ইচ্ছা হয় মনে হয় সবাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতেছে চাঁদের আলোতে আবেগপ্রবন হয়ে পড়ি মনে হয় সবাই আমাকে বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলবে অশ্লীল গান গাই নাচে, লাফায়, হাসে, শীস বাজায় জীবনের উপর বীতশ্রদ্ধ প্রশংসা শোনলে কান্না পায় সামান্য কারণেও বিবেক দংশন করতে থাকে কোন ব্যাপারেই আগ্রহ নাই কোনো মানুষকেই সহ্য হয় না স্ত্রী-পুত্র-স্বামী-সন্তানের প্রতি দরদ কমে গেছে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি অনাসক্তি ভবিষ্যতের অজানা অমঙ্গলের ভয় হয় সব ব্যাপারে ডেমকেয়ার ভাব মনে হয় পাগল হয়ে যাব মনে হয় আমার রোগ কখনও ভালো হবে না ভীষণ অপমানিত হয়েছিলাম কাজের প্রশংসা শুনতে খুবই পছন্দ করি মনের মধ্যে ঘৃণা-ভালবাসা কিছুই নাই বাসায় একা থাকলে মনে হয় ঘরের কোণায় চোর-ডাকাত লুকিয়ে আছে কারো কোন অসুখ হয়েছে শুনলে মনে হয় আমার নিজেরই হয়েছে
২৪। অদ্ভূত লক্ষণসমূহ ঃ- মনে হয় বাতাসের উপরে হাঁটিতেছি/ ভেসে বেড়াচ্ছি গতকালের ঘটনাকে মনে হয় অনেক দিন আগের ঘটনা মনে হয় আমার সাথে অন্য একজন (শিশু) শুয়ে আছে কে যেনো আমাকে নির্দেশ দিচ্ছে এবং আমি তার কথা মতো চলতে বাধ্য হচ্ছি রক্ত জমাট হলে সুতার মতো লম্বা হয়ে যায় আমার ভেতরে দুইটি ইচ্ছা কাজ করে - একটি আদেশ করে অন্যটি নিষেধ করে মাথার ভেতরে যেন ঢেউ খেলতেছে মাথাটি যেন বড় হয়ে গেছে নিজেকে দুইজন মনে হয় শিশুদের পছন্দ হয় না নিজেকে গর্ভবতী মনে হয় গান অসহ্য লাগে মনে হয় গরম কিছু একটা গলায় উঠে এসে দম আটকে দিচ্ছে মনে হয় পেটের নাড়িভূড়ি সব নীচে দিয়ে বেরিয়ে যাবে সারাক্ষণ বকবক করি নিজেকে কোন ফেরেশতা বা জ্বিনের শিষ্য মনে হয় এক হাত এক পা বেশী নড়ে চিবানোর মতো করে মুখ নড়ে একবাক্য বারবার বলি চেনা জায়গা হঠাৎ অচেনা লাগে সকাল না বিকাল বুঝতে পারি না চামড়ার নীচে মনে হয় বালু আছে/পোকা হাঁটিতেছে গলায় মনে হয় ধুলাবালি আছে আমার চারদিকে সাপ দেখি মল-মূত্র-গোবর খাওয়ার স্বভাব মুখের ওপর মাকড়সার জালের মতো লাগে শরীরটা মনে হয় টুকরা টুকরা হয়ে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মনে হয় পেটের ভেতরে বুদবুদ উঠতেছে বুকে-পেটে জীবন্ত কিছু একটা নড়াচড়া করতেছে অট্টহাসি-চীৎকার-হৈহুল্লোর করতে ইচ্ছে হয় আলপিন নিয়ে ব্যস- থাকি
Comments
Post a Comment