পার্লামেন্টারি আইন কি ভাবে শিরক হয়ঃ-
পার্লামেন্টারি আইন কি ভাবে শিরক হয়ঃ-
বন্ধুরা,
সার্বিক ভাবে
দ্বীনের মূল স্তম্ভ হচ্ছে, তিনটি। এক. তৌহিদ অর্থাৎ বিভিন্ন বাতিল মাবুদ থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জু হওয়া এবং তারই দেয়া রুসল অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। দুই. আখেরাত অর্থাৎ
পরকালীন বিশ্বাসের অনূভুতি নিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করা। তিন.রেসালাত অর্থাৎ নবী রাসুলের আদর্শিক পথে নিজেকে উৎসর্গ করা।
উপরোক্ত তিনটির যে কোন একটির ব্যত্যয় ঘটবে, মানুষ তার অনন্ত জীবনের সুখ হারাতে বাধ্য অর্থাৎ আখেরাতে তার কোন হিচ্ছাই আর বাকি থাকবে না।
বন্ধুরা,
সার্বিক ভাবে
দ্বীনের মূল স্তম্ভ হচ্ছে, তিনটি। এক. তৌহিদ অর্থাৎ বিভিন্ন বাতিল মাবুদ থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জু হওয়া এবং তারই দেয়া রুসল অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। দুই. আখেরাত অর্থাৎ
পরকালীন বিশ্বাসের অনূভুতি নিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করা। তিন.রেসালাত অর্থাৎ নবী রাসুলের আদর্শিক পথে নিজেকে উৎসর্গ করা।
উপরোক্ত তিনটির যে কোন একটির ব্যত্যয় ঘটবে, মানুষ তার অনন্ত জীবনের সুখ হারাতে বাধ্য অর্থাৎ আখেরাতে তার কোন হিচ্ছাই আর বাকি থাকবে না।
তৌহিদের বিপরীত মুখী আদর্শ হলো, বস্তুবাদী আদর্শ বা শিরকবাদী শিক্ষা অর্থাৎ তৌহিদবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে নিজের অবস্থান মযবুত করাই শিরকের নামান্তর।
ইসলামের চুড়ান্ত আকিদা হল, আইনের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্যেই সংরক্ষিত। আইনী সার্বভৌমত্বে আল্লাহর সাথে কনটেস্ট করার অধিকার ব্যক্তি,সংস্থা ও পার্লামেন্টের নেই। যদি করে তাহলে ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান শিরকে আকবরের মতো অমার্জনীয় অপরাধে জড়িয়ে পড়লো।
ধরুন কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান মূর্তি পূজা, মাজার পুজা ও ব্যক্তি পুজা করলো না ঠিক কিন্তু আইনী ক্ষেত্রে নিজেরা রবুবিয়তের আসনটি দখল করে রাখলো এবং সে অনুযায়ী জনগণকে চলতে বাধ্য করলো, তাহলে উপরোক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী সে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান শিরকে আকবর বা সরাসরি বড়ো শিরকে লিপ্ত হলো।
আমরা জানি বর্তমান বিশ্বে পার্লামেন্টারি আইন কানুনই হচ্ছে, চুড়ান্ত তাদের আইনই গ্রান্ডেড। পার্লামেন্ট যা হালাল করে যা তা-ই হালাল বলে গণ্য হয় আর পার্লামেন্ট যা নিষেধ করে তা-ই হারাম বলে গণ্য হয় অর্থাৎ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পার্লামেন্টই হচ্ছে,জনরব। আমরা তারই পুজা উপাসনা করে চলেছি যদি ও আক্ষরিক অর্থে আমরা পার্লামেন্টেকে সেজদা করি না।
তাফসিরে ইবনে কাছিরে এসেছে,আদি ইবনে তামিম একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলেন, তার গলায় ছিল রুপালি ক্রস। রাসুল সা তখন সূরা আত-তাওবার-৩১ নং আয়াতে কারিমা তেলাওয়াত করছিলেন, অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া তারা তাদের ওলামা পন্ডিত ও পীর দরবেশদের বর বানিয়ে ফেলেছে।
হযরত আদি বললেন, আমরা তো তাদের সামনে মাথা নত করি না তাদের সেজদা করি না,সো এ ক্ষেত্রে আমরা কি ভাবে তাদের রব বানিয়ে ফেললাম?
রাসুল সা জবাবে বললেন, তা ঠিক কিন্তু আহবার রুহবার ওলামা মাশায়েখ সংস্থা যা হালাল করে,তা-ই তোমাদের জন্য হালাল হয় এবং তারা যা হারাম বলে ফতোয়া দেয়,তা-ই তোমাদের জন্য হারাম বলে গণ্য হয় ঠিক না?
অতঃপর রাসুল সা বললেন, এটিই ওলামা সংস্থার ইবাদত বন্দেগী করার শামিল।
রাসুল সা জবাবে বললেন, তা ঠিক কিন্তু আহবার রুহবার ওলামা মাশায়েখ সংস্থা যা হালাল করে,তা-ই তোমাদের জন্য হালাল হয় এবং তারা যা হারাম বলে ফতোয়া দেয়,তা-ই তোমাদের জন্য হারাম বলে গণ্য হয় ঠিক না?
অতঃপর রাসুল সা বললেন, এটিই ওলামা সংস্থার ইবাদত বন্দেগী করার শামিল।
অমুসলিম বিশ্বে যে ভাবে শিরকী পার্লামেন্ট চালু হয়ে আছে, ঠিক তেমনি আমাদের মুসলিম বিশ্বে ও শিরকী পার্লামেন্টই চালু রয়েছে।
দ্বীনের আকিদাগত চুড়ান্ত কর্মপন্থা হলো, আইনী সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহর জন্যই সংরক্ষিত। কোন সংস্থা বা পার্লামেন্টের নিজস্ব অধিকার নেই আইন বিধান রচনা করার। কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজেরা আইন রচনা করে, তাহলে তারা স্বঘোষিত ভাবে রবুবিয়তের দাবি করে বসলো যা আসল মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে চুড়ান্ত কন্ট্রাডিকশন।
ফেরাউন কিন্তু আইনী কর্তৃত্বের ক্ষেত্রেই নিজেকে সর্বোচ্চ রব বলে দাবি করেছিলেন। সে কিন্তু বলে নাই আমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা বা হায়াত মওতের মালিক। সে জমিনের রবুবিয়তই দাবি করেছিল।
ঈমানের দাবিদার জনগণ যতক্ষণ পর্যন্ত শিরকের পার্লামেন্ট উচ্ছেদে জান মাল দিয়ে সর্বোচ্চ আন্দোলন সংগ্রাম না করবে, ততক্ষণে তার ইবাদত বন্দেগী কোনটাই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন আমীন।
(মাওলানা মাসউদুর রহমান)
(মাওলানা মাসউদুর রহমান)
Comments
Post a Comment