ভারতকে নিয়মিত হারাতাম বলে ওদের জন্য দুঃখ হতো: ইমরান খান
উপমহাদেশে ক্রিকেট খেলার জনপ্রিয়তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। যদিও বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারে না পাকিস্তান। তবে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে তারাই এগিয়ে। আর পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, তার যামানায় ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হতো না মাঠে।
পাকিস্তানের এক টিভি শোতে ইমরান বলেছেন, ‘ভারতের জন্য আমার প্রায়ই দুঃখ হতো। কারণ আমরা ওদের নিয়মিত হারাতাম। ওরা অনেক চাপে থাকতো। টস করতে যাওয়ার সময় আমি প্রায়ই দেখতাম ওদের অধিনায়ককে ভীত দেখাচ্ছে। ওই সময়ে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত নয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওরা ছিল দারুণ এক দল। আমার সময়কার ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ভালো দল আর দেখিনি আমি।’
ইমরান খান কতটা সত্যি বলছেন তা পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা যাক। টেস্টে তার অভিষেক ১৯৭১ সালে। তিন বছর পর খেলেন প্রথম ওয়ানডে। অবসরে গেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার পর। তার সময়ে ৭টি দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-পাকিস্তান। এর মধ্যে মাত্র একবার (১৯৭৯-৮০) ২-০ (৬ ম্যাচ সিরিজ) ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি সিরিজ। বাকিগুলো ড্র। ৬টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে ৫টিতেই পাকিস্তানের জয়। এর মধ্যে ১৯৮৬-৮৭ সালে ভারতের মাটিতেই ভারতকে ৫-১ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেয় ইমরান খানের দল।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও ভারতের বিপক্ষে উজ্জ্বল ইমরান। মোট ২৩ টেস্ট খেলেছেন। ৫১.৯৫ গড়ে ১০৯১ রান সংগ্রহ তার। এর মধ্যে ভারতে গড় ৪০’র কাছাকাছি। বল হাতে এই পেস অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৯৪ উইকেট। নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যা তার সর্বোচ্চ শিকার। অন্যদিকে ২৯ ওয়ানডেতে ৫৪৬ রান ও ২২.২৫ গড়ে ৩৫ উইকেট নিয়েছেন ইমরান।
১৯৫২ সালে প্রথমবার পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারতে আসে। তারপর থেকে অসংখ্যবার দু’দেশের সাক্ষাৎ হয়েছে। ১৩২টি ওয়ান ডের মধ্যে ভারত জিতেছে ৫৪টি, ৭৩টি জিতেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ৫৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৯টি, পাকিস্তান ১২টি। তবে বিশ্বকাপে কখনো ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে প্রতিবেশিরা। ১১ বারই ভারত জিতেছে।
Comments
Post a Comment