general Knowledge

দুই বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম সন্ধ্যেবেলায়। খোশগল্প করবো এই ইচ্ছাতে৷ তারা খাবার অর্ডার করলো। বেশ ভারি ভারি ভাজাপোড়া খাবার। খাবার পরিবেশন করা হলে আমি 'সরি' বলে হাত গুটিয়ে বসে রইলাম। মুচকি হেসে বললাম- 'খাবো না'।
তারা অবাক হলো। জানতে চাইলো খাবো না কেনো। বললাম, 'ভাজাপোড়া খেতে পারিনা আজকাল। খেলেই বমি হয়। এসব খেয়ে পেটের অসুখ বাড়াতে চাইনা'।
আমি সত্যি সত্যিই খাইনি। এমনকি, ভাজাপোড়ার পর্ব শেষে মিন্ট লেমনের জুস খেতেও ভয় লাগছিলো। বাইরের খাবার। কি থেকে না জানি কি হয়!!
চিন্তা করলাম, নিজের শরীরের একটু সুস্থতার জন্য কতো নিয়মকানুন মেনে চলি আমরা। একটু ভালো থাকার জন্য চোখের সামনে থাকা কতো সুস্বাদু, সুপেয় জিনিস ফিরিয়ে দিই। খাইনা। সেক্রিফাইস করি।
অথচ, যেখানে আমাদের অনন্তকাল থাকতে হবে, অসীম সময়ের জন্য যে জগতে আমাদের বসতি গড়তে হবে, সেখানে ভালো থাকার জন্য কি আমরা এই সেক্রিফাইসটুকু করি?
পাঁচতলা বেঁয়ে নেমে কি প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ করি? মিথ্যে কথা বলার আগে কি একবার ভাবি আমার পরজগতের সুখের জন্য এই মিথ্যা কাল হয়ে দাঁড়াবে কিনা? মানুষের হক মেরে খাওয়ার সময়, মানুষ ঠকানোর সময় কি একটিবারের জন্যও চিন্তা করি আখিরাতে এসব আমার জন্য 'বিষফোঁড়া' হয়ে দাঁড়াবে কি না?
শরীরের সুস্থতার জন্য দুনিয়ার ভাজাপোড়া আমরা ঠিকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু, আখিরাতের সুস্থতার জন্য দুনিয়ার ভাজাপোড়াগুলো (মিথ্যে বলা, লোক ঠকানো, খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া, সালাত না পড়া, গীবত করা) আমরা এড়িয়ে চলতে পারিনা। ওগুলো ছাড়া যেন আমাদের চলেইনা।

Comments