প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২ , রিভিউ

প্যারাডক্সিক্যাল  সাজিদ - ২ , রিভিউ
প্যারাডক্সিক্যাল  সাজিদ - ২ , রিভিউ 

প্যারাডক্সিক্যাল  সাজিদ - ২ , রিভিউ 

আরিফ আজাদ লিখিত  প্যারাডক্সিক্যাল  সাজিদ - ২  ২০১৯ বই মেলায় প্রকাশ হয়েছে সরি বই মেলা উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে। কারন বই মেলায় এই বই টি  কোথাও পাওয়া যায়নি,  সবাই কানা কানি করছে ফিস ফিসানি করছে যে বই টি নিসিদ্ধ ?  নিম্ন ঠিকানা থেকে আসল কারন জানা যায়, যদিও আসল কারন সম্মানিত পাঠক আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কারন মাটিতে বাড়ি দিলে গুনাহগার চেতবেই এটাই সত্যের পরিচয় , নিচ থেকে আপ্নারাও কিছু জেনে নিয়ে মগজ সমৃদ্ধ করতে পারেন ।
  http://www.m.somoynews.tv/pages/details/147909

 If You want to  Discover something new, click here

আরিফ আজাদের লেখা দ্বিতীয় বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রকাশকের হোল্ডিং নম্বর না থাকায় একুশে বইমেলায় থেকে বইটি সরিয়ে নিতে বলেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বইটি প্রকাশের পরপরই ব্যাপকহারে বিক্রি হচ্ছিল। প্রতি দিনই বইটি স্টক আউট হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন এর লেখক আরিফ আজাদ। 
এক সপ্তাহের মধ্যে ৮ হাজার কপির বেশি বিক্রি হয়ে গেছে বলে প্রকাশনা সংস্থাটি জানিয়েছে। এছাড়া অনলাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় রয়েছে এই বইটি।
আরিফ আজাদ বলেন, ‘আমার বইটা মেলায় এসেছে ১৫ তারিখে। তারপর থেকেই সেটার খুব চাহিদা ছিল, প্রতিদিনই বইটা স্টক আউট হয়ে যাচ্ছিল। গতকাল বাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তা এসে প্রথমে বইটা দেখতে চান। এরপর তিনি বলেন, আপনারা আর এই বইটা বিক্রি করবেন না। যখন তার কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলো, তখন তিনি বলছেন, প্রকাশনী অফিসের হোল্ডিং নম্বর নেই, তাই এখানে বিক্রি করা যাবে না।’
ঠিকানা কেন দেয়া হয়নি, সেটা জানতে চাইলে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান সমকালীন প্রকাশনীর কর্মকর্তা এস এম আখতারুল হক বলছেন, ‘হোল্ডিং নম্বরটা আসলে ভুলে বাদ পড়ে গেছে। আমাদের সবগুলো বইতেই সেটা বাদ পড়েছে। এ কারণে পুরো মেলাতেই আমাদের বই বিক্রি বন্ধ রেখেছি।’
এর আগে ২০১৭ সালে 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' নামে এর প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই দ্বিতীয় বইটি লেখা হয়েছে।  

অনলাইন বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান 'রকমারি' ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সেই বইটি এখনো তাদের বিক্রি তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় বইটিও রয়েছে বিক্রিত বইয়ের তালিকার শীর্ষে। ]

 যাই হোক
 বইটি লেখকের এই সিরিজের ২য় বই , আমার মনে হয়য় আপনারা যারা বই পাগল , তারা সবাই জানেন এই লেখকের ১ম বই টি ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর উস্কানিমুলক নাস্তিকদের উদ্দেশ্যমূলক প্রচারনার মুলে কিভাবে আঘাত হেনে আধুনিক মুসলিম মানসকে কিভাবে শক্তিশালী করেছে । ১ম বইটি বাংলা ভাষায় সাম্রতিক কালে ইসলামের সুষমাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সত্যি এক মাইল ফলক হিসাবে ইতিমধ্যে ইতিহাসে স্থান করে নিয়ে মুসলিম অমুস্লিম সব ধরনের পাঠক কে বইয়ের প্রতি আরও আগ্রহি করে তুলতে সাহায্য করেছে ।

বই টি সম্পর্কে লেখকের নিজের ভাষায় ভুমিকা থেকে-
এখন চলছে উত্তাল সময়। সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে মানুষের চিন্তা চেতনা আর আদর্শ মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে সর্বত্র । সোশাল মিডিয়ার অবাধ সুজুগ এবং ইন্টারনেটের সহজ লভ্য তা যেন ব্যাপার টিকে করে তুলছে আরও মোহনিয়া।

প্রজুক্তির এই ধারা কাজে লাগিয়ে ছে ধর্ম বিদ্বেষী এক দল মানুষ। সোশাল মিডিয়ার অবাধ ব্যাবহারের এই সুজুগে ইসলাম , আল্লাহ, এবং মুহাম্মেদ {স) কে নিয়ে ইন্টার নেটে এমন সব কথা  ছড়াতে লাগল যা মুখ বুঝে সজ্জ করা যে কোন ইমানদার ব্যাক্তির জন্য ছিল কঠিন। চারদিকের এই বিষ বাস্প , অন্ধকার , , অস্থিরতা দেখতে দেখতে বিষিয়ে উথছিল মন। এরকম অস্থির সময়ে এক দিন ঠিক করেই ফেললাম , কলমের জবাব কলমেই হোক।

ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্ন গুলোকে একত্র করে , তাদের যুক্তি গুলিকে একাধারে সাজিয়ে নিয়ে আমি চেষ্টা করেছি টার বিপরিতে আমাদের যুক্তিগুলিকে উপস্থাপন করতে। আল্লাহ সুবাহানাতায়লা আমাকে এই কাজে আমাকে সাহায্য করেছে, ২০১৭ সালে একুশে বই মেলায় সাজিদ সিরিজের ১ম বই প্রকাশিত হয়য় । সেই যে শুরু , সেই ধারা এখনও চলছে , আলাহামদুলিল্লাহ।

সাজিদ চরিত্র নিয়ে মানুষের পাথকের মনে ভালবাসার কমতি নেই, আলহামদুলিল্লহা । আমি এমন এমন রিভিউ পেয়েছি , যে গুলো আমাকে কাদিয়ে ছেরেছে। এক জন যুবক সাজিদ হতে চায় বলে , আমার চোখ দুটো তকন অশ্রু সজল হয়ে উঠে ।

প্যাঁরা ডক সিক্যাল সাজিদ-২ এই এই বই টি নাস্তিকতা বিরুধি বললে ভুল হবে, কারন এবারের বইতে নাস্তিকদের প্রস্নের উত্তরের পাশা পাশি খ্রিস্টান মিসনারিরদের কিছু প্রশ্নের  উত্তরের পাশা পাশাপাশি
কুরআনের কিছু অলৌকিক কিছু ব্যাপার, আর কিছু ভাষা তাত্তিক  মিরাকল স্থান পেয়েছে।
এই বইয়ের মূল আকর্ষণ হল এটি কোন প্রচলিত গল্প উপন্যাসের মতো না হয়েও গল্প উপন্যাসের স্বাদ দিচ্ছে পাঠক কে তাই এটি পড়তে কোন বোর হয়য় না ,
বই টি ১৭ টি অধ্যায়ে বিভক্ত , পাঠক যে কোন সময় যে কোন অধ্যায় ই পড়তে পারে এতে বইয়ের মূল আকর্ষণ এর কোন ক্ষতি হয়য় না ।
বইয়ের অধ্যায় গুলি নিম্নে দেওয়া হল --
১) কুরআন কি নারিদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
২)A Reply to christain missionary
৩) ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?
৪) কুরআনে বৈপরীত্য র সত্যাসত্য
৫) বনু কুরাইজা হত্যা কাণ্ড ঘটনার পিছনের ঘটনা
৬) স্যাটানিক ভারসেস  ও শয়তানের উপর ঈমান আনার গল্প
৭) রাসুলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে
8) জান্নাতেও মদ?
৯) গল্পে গল্পে ডার উই নিজম
১০) কুরআন কেন আরবি ভাষায়?
১১) সূর্য যাবে দুবে
১২) সমুদ্র বিজ্ঞান
১৩) লেট দেয়ার বি লাইট
১৪) কাবার অইতিসিক সত্যতা
১৫) নিউটনের ঈশ্বর
১৬) পরমানুর চেয়েও ছোট
১৭) লেখক পরিচতি

সম্মানিত পাঠক নিশ্চয় লক্ষ করেছে উপরের বিষয় গুলি কতটা সময় উপজুগি।আমাদের মতো কমজুরি মুসলমানদের ইমানের কমজুরি আর বিভ্রান্তি দূর করতে এন্ টি বাইও টিকের চেয়েও বহুগুন কার্যকারী আরিফ আজাদের সাজিদ সিরিজ , এটা আমাদের জন্য বিশেষ করে মানবতার জন্য বর্তমানে আল্লাহর এক বিশেষ দয়া আর কিছু না ।
এই বই টা পরে আমার যা হয়েছে, তা  হল , আল্লাহর প্রতি, রাসুলের প্রতি, কুরআনের প্রতি  বিশ্বাস ভালবাসা ,আস্থা বহুগুন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে , আমি মনে করি মুক্ত মন নিয়ে যে কেউ পড়লে ও আমার ই মতো অবস্থা সবার ই হবে্‌ এতে কোন সন্দেহ নাই অন্তত আমার ।
আমি বইটার সরবাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন উনাকে অনেক নেক হায়াত দারাজ করেন যাতে এমন বই আরও আরও লিখে আমাদের মনের আশা পূর্ণ করে, আমিন 

Comments