শীর্ষ ধনী হলেন ব্রণের চিকিৎসা করে


ecurrenworld

 

শীর্ষ ধনী হলেন  ব্রণের চিকিৎসা করে

ক্যাটি রোডান ক্যাথি ফিল্ডস  ব্রণের  চিকিৎসা প্রোঅ্যাকটিভ তৈরি করে  অনেক পরিচিতি পান। আসলে অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তাঁরা। এরপর  প্রোঅ্যাকটিভের  বিক্রি করে ত্বকের যত্নে   রোডান+ফিল্ডস কোম্পানি তৈরি করেন । এতে ভাল  ফল আসতে শুরু করল। ইতিমধ্যে তাঁরা ঘোষণা দিলেন , এই কোম্পানি ছেলেমেয়েদের ব্রণের চিকিৎসার জন্য  বাজারে আসছে।
ক্যাটি রোডান ক্যাথি ফিল্ডস দুজনেই মেডিকেল স্কুলে পড়ান। সপ্তাহে দুই দিন ত্বকবিশারদ হিসেবে কাজ করেন তাঁরা। ফোর্বসকে তাঁরা বলেন, মানুষকে জীবন বদলে দিতে   এই উদ্যোগ। আরও জানান , ‘কিশোরী বয়সে আমারও ব্রণ ছিল। মনে আছে, তখন ব্রণ নিয়ে খুবই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল।আরও  যোগ করেন, এখন ৬০ বছর বয়সেও মাঝেমধ্যে ব্রণ হয়।

ecurrenworld

এই দুই ত্বকবিশারদের কল্যাণে  এই কম্পানি বিরাট  সফলতা অর্জন করেছে। বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম টিপিজি ক্যাপিটাল গত  মাসে কোম্পানির ২৫ শতাংশ অংশীদারির জন্য ১০০ কোটি ডলার দিয়েছে। এতে রোডান ফিল্ডস উভয়েরই সম্পদ মূল্য হচ্ছে  ১৫০ কোটি ডলার।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত  এই কোম্পানি  বয়স ধরে রাখার ক্রিম দিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে  কিছুটা সময় লেগে যায় প্রথম দিকে তারা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। ২০০৩ সালে তারা এই  কোম্পানি বিক্রি করে দেয়, যদিও ২০০৭ সালে তারা কোম্পানিটি আবার কিনে নেয়। এরপর তারা  যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অস্ট্রেলিয়ায় লাখ  বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়, যাঁদের হাত ধরেই কোম্পানির  এই অগ্রযাত্রা।
বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে কোম্পানি  এমনভাবে উপস্থাপন করে যে তারা  উদ্যোক্তা হওয়ার মতো স্বাবলম্বী করে থাকে। আসলে  খুব অল্প সংখ্যক বিক্রয় প্রতিনিধি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। ২০১৭ সালে কোম্পানির কর্মীদের আয়ের বিবরণীতে দেখা যায়, বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাঝে  মাত্র ৩৩ শতাংশ বছরে হাজার ডলারের নিচে আয় করে, ৪৪ শতাংশ কোনো আয় করেনি আর ২২ শতাংশের আয় হাজার থেকে ২৫ হাজার ডলারের মধ্যে। শুধু শতাংশ শীর্ষ বেতনভোগী বিক্রয় প্রতিনিধি বছরে ৩০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন।

ecurrenworld

এক বিবৃতিতে জানায় , ‘সমাজের সব স্তর থেকে বিক্রয় প্রতিনিধিরা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে আসেন। অনেকে দপ্তরে না এসে কাজ করার স্বাধীনতা উপভোগ করতে চান। অনেকে আবার এই সুযোগে নিজের ব্যবসা দল গুছিয়ে নিতে চান। তাঁরা আমাদের কাজে কতটা সময় শ্রম দেবেন, সেটা নিজেরাই ঠিক করেন।
তবে এই  পরিসংখ্যানে এই কম্পানির  তেমন কিছু এসেযায় না। কারণ, তাদের বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে। ২০০৮ সালে যা ছিল   হাজার ৩৫০ জন, যা ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে এসে হয়ে যায় পারায় দেড় লাখ। 
ecurrenworld


আজ সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রাজস্ব তো বারছেই , ২০১০ সালে যা ছিল কোটি ৪০ লাখ ডলার, তা ২০১৫ সালে এসে দাঁড়ায় ৬২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ১৫০ কোটি ডলার।
এই কম্পানির  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডিয়ানে ডিয়েৎজ প্রতিষ্ঠাতা  ত্বকবিশারদ বলেন, যে বাজারে সাধারণত অন্যরা ঢুকছে না, সেখানেই প্রবৃদ্ধির মূল সম্ভাবনা: কিশোর-কিশোরী ব্রণ। ডিয়ানে ডিয়েৎজ বলেন, বয়সরোধী ক্রিমের কাটতিই সবচেয়ে বেশি  নো ডাউট , কিন্তু ব্রণের চিকিৎসার চাহিদাও কম নয়। সে কারণেই তাঁরা ৮৯ ডলারের ব্রণের ক্রিম বাজারে এনেছেন।  কম বয়সী মানুষের জন্য তাঁরা আরও পণ্য নিয়ে আসছেন খুব তারাতারি ।
তবে ত্বক বিশারদ  বলেন, ‘আমাদের পণ্যের কার্যকারিতার ওপরই বিক্রি নির্ভর করে । আমরা শেষবিচারে ব্যবসায়ী  হলেও  আমরা একটি লক্ষ্য আছে ।



ecurrenworld

Comments