সমঝোতার সম্ভাবনা কম
জোটগতভাবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ২০-দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপি। তবে আরেক বড় শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার সম্ভাবনা কম। কেন্দ্রীয়ভাবে জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে জোটের মধ্যে সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
অবশ্য শরিক দলগুলোর নেতারা মনে করছেন, এবারও শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি জোটগত সমন্বয় হবে না। বিএনপি তার অন্য শরিক দলগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। গত শুক্রবার রাতে জোটের শরিক দলগুলোর মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দেন পৌরসভার মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট।
জোটের সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত বিএনপি জোটের শরিকদের কাকে কোন জায়গায় ছাড় দেবে, তা ঠিক হয়নি। অবশ্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২ মার্চ পর্যন্ত এ নিয়ে সমন্বয়ের সুযোগ আছে। জোটের গত শুক্রবারের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও এলডিপির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপির নির্বাচন সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, জামায়াতকে ছাড় দেওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জামায়াতের বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের সম্ভাবনা কম। স্থানীয়ভাবে দুই দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করতে বলা হচ্ছে।
জামায়াতও তেমনটি বলছে। কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়ভাবে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ ছাড়া বিজেপি ও খেলাফত মজলিসকে কয়েকটি ইউনিয়নে ছাড় দেওয়া হতে পারে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বৃহত্তর রংপুরে জামায়াত নিজেদের মতো আলাদা প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া শরিক আরও কয়েকটি দলও কিছু ইউপিতে প্রার্থী দিচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনের আগেও জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। দুটি জায়গায় বিএনপি শরিকদের ছাড় দিয়েছিল। জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো সমন্বয় হয়নি। ২৮টি পৌরসভায় বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে জামায়াতের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। পৌর নির্বাচনে জামায়াতের নেতারা ‘স্বতন্ত্র’ নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ সে সময় তাঁরা দেখাননি। দুই দলের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দলের চার নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমন্বয় হয়নি। জোটের একাধিক সূত্র জানায়, এবারও জামায়াত আগের অবস্থানেই থাকছে বলে তাদের ধারণা। তবে এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সমন্বয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান মনোনয়নের বিষয়াদি সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, সমন্বয় করা হবে।
বিএনপি জোটের শরিক তিনটি দলের শীর্ষস্থানীয় তিনজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করছেন সর্বশেষ উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো এবারও জোটগত সমন্বয় হবে না। এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে সমন্বয়ের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে শরিক দলগুলোর নেতাদের অনেকে ক্ষুব্ধ। জোটে প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াত। এই দুই দলের মধ্যে সমন্বয় হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তাঁরা মনে করছেন। তবে তাঁরা আশা করছেন, যেহেতু মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় আছে এর মধ্যে জোটের বৈঠকে ছাড় দেওয়া নিয়ে আবার আলাপ-আলোচনা হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রথম আলোকে বলেন, সব ধাপের নির্বাচন মিলিয়ে তাঁদের দলের ৫০ জন প্রার্থী আছেন। তাঁরা তাঁদের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর তালিকা বিএনপিকে দেবেন। পরে তা সমন্বয় করা হবে।
বিএনপি জোটের একাধিক সূত্র জানায়, মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোন প্রক্রিয়ায় শরিকদের মধ্যে সমন্বয় হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। শরিক একটি দলের মহাসচিব প্রথম আলোর কাছে ওই বৈঠককে ‘আই ওয়াশ’ বলে আখ্যা দেন। অবশ্য ওই নেতা এটিও স্বীকার করেন, জোটের বেশির ভাগ দল নামমাত্র। তাই বিএনপির ওপর চাপ তৈরি করারও সুযোগ নেই।
প্রার্থী না পাওয়া ইউপি কমছে: বিএনপির প্রার্থী না পাওয়া ইউনিয়নের সংখ্যা কমছে। গত শনিবার পর্যন্ত ২২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী পাচ্ছিল না। সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত এ সংখ্যা ১৫তে নেমেছে। বিএনপি আশা করছে শেষ পর্যন্ত সব জায়গায় প্রার্থী দেওয়া যাবে। বিএনপি না হলে জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থী থাকবে। বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপি ৬৯২টি ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। রাতের মধ্যে আরও ৩০-৪০টি ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
অবশ্য শরিক দলগুলোর নেতারা মনে করছেন, এবারও শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি জোটগত সমন্বয় হবে না। বিএনপি তার অন্য শরিক দলগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। গত শুক্রবার রাতে জোটের শরিক দলগুলোর মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দেন পৌরসভার মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট।
জোটের সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত বিএনপি জোটের শরিকদের কাকে কোন জায়গায় ছাড় দেবে, তা ঠিক হয়নি। অবশ্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২ মার্চ পর্যন্ত এ নিয়ে সমন্বয়ের সুযোগ আছে। জোটের গত শুক্রবারের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও এলডিপির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপির নির্বাচন সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, জামায়াতকে ছাড় দেওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জামায়াতের বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের সম্ভাবনা কম। স্থানীয়ভাবে দুই দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করতে বলা হচ্ছে।
জামায়াতও তেমনটি বলছে। কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়ভাবে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ ছাড়া বিজেপি ও খেলাফত মজলিসকে কয়েকটি ইউনিয়নে ছাড় দেওয়া হতে পারে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বৃহত্তর রংপুরে জামায়াত নিজেদের মতো আলাদা প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া শরিক আরও কয়েকটি দলও কিছু ইউপিতে প্রার্থী দিচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনের আগেও জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। দুটি জায়গায় বিএনপি শরিকদের ছাড় দিয়েছিল। জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো সমন্বয় হয়নি। ২৮টি পৌরসভায় বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে জামায়াতের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। পৌর নির্বাচনে জামায়াতের নেতারা ‘স্বতন্ত্র’ নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ সে সময় তাঁরা দেখাননি। দুই দলের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দলের চার নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমন্বয় হয়নি। জোটের একাধিক সূত্র জানায়, এবারও জামায়াত আগের অবস্থানেই থাকছে বলে তাদের ধারণা। তবে এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সমন্বয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান মনোনয়নের বিষয়াদি সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, সমন্বয় করা হবে।
বিএনপি জোটের শরিক তিনটি দলের শীর্ষস্থানীয় তিনজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করছেন সর্বশেষ উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো এবারও জোটগত সমন্বয় হবে না। এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে সমন্বয়ের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে শরিক দলগুলোর নেতাদের অনেকে ক্ষুব্ধ। জোটে প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াত। এই দুই দলের মধ্যে সমন্বয় হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তাঁরা মনে করছেন। তবে তাঁরা আশা করছেন, যেহেতু মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় আছে এর মধ্যে জোটের বৈঠকে ছাড় দেওয়া নিয়ে আবার আলাপ-আলোচনা হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রথম আলোকে বলেন, সব ধাপের নির্বাচন মিলিয়ে তাঁদের দলের ৫০ জন প্রার্থী আছেন। তাঁরা তাঁদের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর তালিকা বিএনপিকে দেবেন। পরে তা সমন্বয় করা হবে।
বিএনপি জোটের একাধিক সূত্র জানায়, মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোন প্রক্রিয়ায় শরিকদের মধ্যে সমন্বয় হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। শরিক একটি দলের মহাসচিব প্রথম আলোর কাছে ওই বৈঠককে ‘আই ওয়াশ’ বলে আখ্যা দেন। অবশ্য ওই নেতা এটিও স্বীকার করেন, জোটের বেশির ভাগ দল নামমাত্র। তাই বিএনপির ওপর চাপ তৈরি করারও সুযোগ নেই।
প্রার্থী না পাওয়া ইউপি কমছে: বিএনপির প্রার্থী না পাওয়া ইউনিয়নের সংখ্যা কমছে। গত শনিবার পর্যন্ত ২২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী পাচ্ছিল না। সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত এ সংখ্যা ১৫তে নেমেছে। বিএনপি আশা করছে শেষ পর্যন্ত সব জায়গায় প্রার্থী দেওয়া যাবে। বিএনপি না হলে জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থী থাকবে। বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপি ৬৯২টি ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। রাতের মধ্যে আরও ৩০-৪০টি ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
Comments
Post a Comment