‘আবু লাউ’
বাঙালির খাদ্যতালিকায় লাউয়ের কদর কম নয়। কত কিছু দিয়েই তো লাউ রান্না করা যায়। কচি লাউ-চিংড়িতে অরুচি আছে—এমন বাঙালি পাওয়া ভার। খনার বচনে আছে লাউয়ের বন্দনা, ‘উঠান ভরা লাউ-শসা, ঘরে তার লক্ষ্মীর দশা’। লাউ নিয়ে গান গাইতে বাংলার বাউলদের ভালোবাসার প্রকাশ প্রায় সবারই জানা। এবার জানা গেল ‘আবু লাউ’ নামে একটি বিশেষ জাতের লাউয়ের প্রতি কৃষিবিদদের পছন্দ, পক্ষপাতিত্ব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিশেষ জাতের লাউকে চাষিদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প।
প্রথম পরিচয়েই আবু লাউয়ের প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন চাষি হাবিবুর রহমান। সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা সড়কের পাশে জামতারায় পর্যায়ক্রমে ২২ বিঘা জমিতে এর চাষ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে পাঁচ বিঘা জমির লাউ ৪৩ হাজার টাকায় এক সবজি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এ লাউ নিয়ে আশাবাদী। এটি চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। সারা বছর চাষযোগ্য এ লাউয়ে রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম। এখন পর্যন্ত কোনো কীটনাশক ব্যবহার করিনি।’ তিনি বলেন, ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার পর ২৩ বছর ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ করে ভালো লাভ করা যায়, এ কথা আগে জানতেন না। হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক সাইফুর রহমানের এ লাউ চাষের পরামর্শ শুনে তিনি লাভবান হয়েছেন। প্রকল্পের কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম তাঁকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন।
আবু লাউ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সেন্টারের উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, সাধারণ জাতের লাউয়ের সঙ্গে এর বড় পার্থক্য হচ্ছে, এ লাউগাছে ফুলের অনুপাত হচ্ছে পুরুষ ফুল ৩০ ভাগ ও নারী ফুল ৭০ ভাগ। এ লাউয়ে কৃত্রিম পরাগায়নের প্রয়োজন পড়ে না। আর সাধারণ জাতের লাউয়ে পুরুষ ও নারী ফুলের সংখ্যা সমান সমান। এ ছাড়া কৃত্রিম পরাগায়ন ছাড়া ভালো ফল দেয় না। ৫০ ভাগই মারা যায়। কিন্তু সাধারণ লাউয়ের তুলনায় আবু লাউয়ের ফলন দ্বিগুণের মতো। একেকটির ওজন এক থেকে দুই কেজি। রং গাঢ় সবুজ ও আকর্ষণীয়। স্বাদও ভালো, মোলায়েম। বিচি কম ও খাদ্যাংশ পুরু। কচি লাউ ছিলকাসহ খাওয়া যায়। মাচা ছাড়াই চাষ করা যায়। তবে মাচাতে ফলন আরও ভালো। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ লাউ চাষ তাই লাভজনক। ফলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প থেকে চাষিদের মাঝে আবু লাউ ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার বালুগ্রাম, ঘুঘুডিমা, গোবরাতলা, মহাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০০ কৃষকের কাছে এ লাউয়ের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
সাইফুর রহমান বলেন, চার বছর আগে তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যান। সেখানে চাষিদের আবু লাউ চাষ করতে দেখেন। এ লাউ আগে থেকেই সেখানে চাষ হতো। ওই সময় তিনি বেশ কিছু চাষিকে তাঁদের উৎপাদিত লাউ একত্র করে ট্রাকে বোঝাই করে ঢাকায় পাঠাতে দেখেন। এটা দেখে তিনি আগ্রহী হন। পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান অধিক ফলনের বৈশিষ্ট্য। সেখানকার চাষিরা তাঁকে জানান, আবু নামে কোনো এক কৃষক এ লাউ প্রথমে এলাকায় নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তাই তাঁর নামে এটা হয়ে যায় ‘আবু লাউ’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিশেষ জাতের লাউকে চাষিদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প।
প্রথম পরিচয়েই আবু লাউয়ের প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন চাষি হাবিবুর রহমান। সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা সড়কের পাশে জামতারায় পর্যায়ক্রমে ২২ বিঘা জমিতে এর চাষ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে পাঁচ বিঘা জমির লাউ ৪৩ হাজার টাকায় এক সবজি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এ লাউ নিয়ে আশাবাদী। এটি চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। সারা বছর চাষযোগ্য এ লাউয়ে রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম। এখন পর্যন্ত কোনো কীটনাশক ব্যবহার করিনি।’ তিনি বলেন, ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার পর ২৩ বছর ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ করে ভালো লাভ করা যায়, এ কথা আগে জানতেন না। হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক সাইফুর রহমানের এ লাউ চাষের পরামর্শ শুনে তিনি লাভবান হয়েছেন। প্রকল্পের কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম তাঁকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন।
আবু লাউ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সেন্টারের উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, সাধারণ জাতের লাউয়ের সঙ্গে এর বড় পার্থক্য হচ্ছে, এ লাউগাছে ফুলের অনুপাত হচ্ছে পুরুষ ফুল ৩০ ভাগ ও নারী ফুল ৭০ ভাগ। এ লাউয়ে কৃত্রিম পরাগায়নের প্রয়োজন পড়ে না। আর সাধারণ জাতের লাউয়ে পুরুষ ও নারী ফুলের সংখ্যা সমান সমান। এ ছাড়া কৃত্রিম পরাগায়ন ছাড়া ভালো ফল দেয় না। ৫০ ভাগই মারা যায়। কিন্তু সাধারণ লাউয়ের তুলনায় আবু লাউয়ের ফলন দ্বিগুণের মতো। একেকটির ওজন এক থেকে দুই কেজি। রং গাঢ় সবুজ ও আকর্ষণীয়। স্বাদও ভালো, মোলায়েম। বিচি কম ও খাদ্যাংশ পুরু। কচি লাউ ছিলকাসহ খাওয়া যায়। মাচা ছাড়াই চাষ করা যায়। তবে মাচাতে ফলন আরও ভালো। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ লাউ চাষ তাই লাভজনক। ফলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প থেকে চাষিদের মাঝে আবু লাউ ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার বালুগ্রাম, ঘুঘুডিমা, গোবরাতলা, মহাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০০ কৃষকের কাছে এ লাউয়ের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
সাইফুর রহমান বলেন, চার বছর আগে তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যান। সেখানে চাষিদের আবু লাউ চাষ করতে দেখেন। এ লাউ আগে থেকেই সেখানে চাষ হতো। ওই সময় তিনি বেশ কিছু চাষিকে তাঁদের উৎপাদিত লাউ একত্র করে ট্রাকে বোঝাই করে ঢাকায় পাঠাতে দেখেন। এটা দেখে তিনি আগ্রহী হন। পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান অধিক ফলনের বৈশিষ্ট্য। সেখানকার চাষিরা তাঁকে জানান, আবু নামে কোনো এক কৃষক এ লাউ প্রথমে এলাকায় নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তাই তাঁর নামে এটা হয়ে যায় ‘আবু লাউ’।
Comments
Post a Comment