‘পৃথিবীর কোথাও এটা কল্পনা করা যায় না
অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারককে রায় লিখতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পর আমি কোনো পাবলিক ডকুমেন্টে হাত দিতে দেব না। অবসরে যাওয়ার পর বিচারকের রায় লেখার জন্য কেন ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট থাকবে। এটা কোর্ট দেখবে। এখানে একটা ভুল নীতি চলে আসছে। আমি এই ভুল করতে দেব না। আমাদের সংশোধন হতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক বার্ষিক নৈশভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মোছাব্বির এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের গণতন্ত্র আসছে। সংবিধান চলছে। এখন আমরা আইনে চলব। আমরা কি আবার মার্শাল ল পিরিয়ডের মতো চলব? অবশ্যই না। আইনের শাসন বলতে, আইন যে রকম; আইনকে সমুন্নত রাখতে হবে। কোনোমতেই আইন ও সংবিধান পরিপন্থী কোনো কাজ প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি করতে দেব না।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সফিকুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহির আলী, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, প্রধান বিচারিক হাকিম এ কিউ এম নাছির উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবীণ আইনজীবী শান্তিপদ ঘোষ, মুজিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখা প্রসঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিচারব্যবস্থার উদাহরণ টেনে সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এটা কল্পনা করা যায় না। আমরা এমন এক আজব দেশে আছি। আমরা বিচারকেরা তিন বছর, চার বছর; এখন পাঁচ বছর, সাত বছর উচ্চ আদালতের বিচারক। ছুটি হলে বিদেশ চলে যান। লন্ডন, আমেরিকা সরকারি খরচে চলে যান। রায় লেখেন না। তিন বছর, চার বছর আগের রায় তাঁরা লিখতেও পারেন না। এখন বলছেন পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, কিছু বিচারক আগে ভুল করেছেন। তাঁরা জানতেন না বা জেনেও প্রধান বিচারপতি চাপিয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি নিজেও রায় লিখতে পারেননি। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রধান বিচারপতিদের, বিচারপতি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কাছে আবেদন করব। আপনারা যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ নাগরিকেরা কী করবেন। আইন ভঙ্গ করবেন না। পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, ত্রয়োদশ সম্পূর্ণ সংশোধনী। কারণ, এটা ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে। এটা কোর্টের সিদ্ধান্ত।’
আইন পেশা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীর পেশা যে মহান পেশা ছিল, সেটাকে আমরা পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা আরম্ভ করেছি। আইন পেশাটা কি পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত ছিল? এটা যতই দেখি ততই আমাকে পীড়া দেয়। আমরা কোথায় চলে যাচ্ছি। আমরা যদি পলিটিকস করতে চাই, পলিটিকসের জায়গা তো আছে। এই মহান পেশা তো পলিটিকস করার জন্য না।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক বার্ষিক নৈশভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মোছাব্বির এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের গণতন্ত্র আসছে। সংবিধান চলছে। এখন আমরা আইনে চলব। আমরা কি আবার মার্শাল ল পিরিয়ডের মতো চলব? অবশ্যই না। আইনের শাসন বলতে, আইন যে রকম; আইনকে সমুন্নত রাখতে হবে। কোনোমতেই আইন ও সংবিধান পরিপন্থী কোনো কাজ প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি করতে দেব না।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সফিকুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহির আলী, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, প্রধান বিচারিক হাকিম এ কিউ এম নাছির উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবীণ আইনজীবী শান্তিপদ ঘোষ, মুজিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখা প্রসঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিচারব্যবস্থার উদাহরণ টেনে সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এটা কল্পনা করা যায় না। আমরা এমন এক আজব দেশে আছি। আমরা বিচারকেরা তিন বছর, চার বছর; এখন পাঁচ বছর, সাত বছর উচ্চ আদালতের বিচারক। ছুটি হলে বিদেশ চলে যান। লন্ডন, আমেরিকা সরকারি খরচে চলে যান। রায় লেখেন না। তিন বছর, চার বছর আগের রায় তাঁরা লিখতেও পারেন না। এখন বলছেন পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, কিছু বিচারক আগে ভুল করেছেন। তাঁরা জানতেন না বা জেনেও প্রধান বিচারপতি চাপিয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি নিজেও রায় লিখতে পারেননি। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রধান বিচারপতিদের, বিচারপতি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কাছে আবেদন করব। আপনারা যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ নাগরিকেরা কী করবেন। আইন ভঙ্গ করবেন না। পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, ত্রয়োদশ সম্পূর্ণ সংশোধনী। কারণ, এটা ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে। এটা কোর্টের সিদ্ধান্ত।’
আইন পেশা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীর পেশা যে মহান পেশা ছিল, সেটাকে আমরা পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা আরম্ভ করেছি। আইন পেশাটা কি পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত ছিল? এটা যতই দেখি ততই আমাকে পীড়া দেয়। আমরা কোথায় চলে যাচ্ছি। আমরা যদি পলিটিকস করতে চাই, পলিটিকসের জায়গা তো আছে। এই মহান পেশা তো পলিটিকস করার জন্য না।
Comments
Post a Comment