Skip to main content
তারা গুলি না করুক, কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে পারতো
নিহত মাদরাসা ছাত্র মাসুদুর রহমানের শরীরে আঘাতের ৩টি চিহ্ন ছিল। তার ফুসফুস ফেটে গিয়েছিল। আর এ জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ১২ই জানুয়ারি মাসুদের লাশের ময়নাতদন্ত ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ: শহর জুড়ে যখন তাণ্ডব চলছিল তখন নিষ্ক্রিয় ছিল প্রশাসন। ঘটনার পর থেকেই এ অভিযোগ করে আসছে আওয়ামী লীগ। বারবার প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও পাননি তারা। বরং ঘটনার পর প্রশাসন আরও আপোসকামী হয়ে উঠে। ভাঙচুরে যারা মদদ দিয়েছেন তাদের পক্ষ নেয়। এনিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোনো নেতার সঙ্গেই কথা বলেনি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে দলের নেতাকর্মী সূত্রে। প্রশাসন এবিষয়ে পুরোপুরি এড়িয়ে যায় আওয়ামী লীগকে। ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা এখন প্রশাসনকে এড়িয়ে চলছেন। ঘটনার পরদিন ক্ষতিগ্রস্ত আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম মাসুদ সেখানে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মামুন তাদের এড়িয়ে যান। বলেন- আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা নেই। এমনকি এডিশনাল ডিআইজি মামুনের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে নিতে চাইলে মামুন ফিরিয়ে দেন। সদর সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ঘটনার সময় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন সে কারণে নির্বিঘ্নে তাণ্ডব চলে। প্রশাসন তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তিনি বলেন তারা গুলি না করুক, কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে পারতো, লাঠি পেটা করতে পারতো, স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে পারতো, কিন্তু কোনোটাই করেনি। তিনি বলেন- একটা ছেলে মারা গেছে। এর জন্য যে দায়ী তার ওপর আক্রমণ হতে পারতো, যদি আমিও দায়ী হতাম তাহলে আমার ওপর আক্রমণ করতো। কিন্তু তা না করে তারা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে আক্রমণ করেছে। কারণ তাদের আক্রোশ হলো মুক্তিযোদ্ধের ওপর। আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আক্রমণ হয়েছে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কারও ক্ষতি করেননি। আর এই প্রতিষ্ঠানে তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো কাজ হয় না। আসলে তারা সংস্কৃতি বিকাশের বিরুদ্ধে। রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। মোট ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা সরকারের কাছে এই ক্ষতিপূরণ চাইবো। তিনি বলেন মামলা কিভাবে হচ্ছে তা আমি জানি না। এখন আসামি অজ্ঞাত থাকলে হয়তো পরে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করবে প্রশাসন। ভাঙচুরকালীন সময়ে মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকের মিছিল থেকে তার মাথা চেয়ে স্লোগান এবং তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবাঞ্ছিত করার বিষয়ে সংসদ সদস্য বলেন- আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উত্থান ঘটাচ্ছি। যেমন বঙ্গ সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হয়েছে। জনমানুষের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধের চেতনার প্রভাব বাড়ছে। আমি এসব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সে কারণেই তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন- সারাদিন একের পর এক প্রতিষ্ঠানে হামলা হলো। প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করলাম নিরাপত্তা প্রদানের জন্য। কিন্তু তারা কোনো কিছুই করলো না। তারা আমাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে গেছে শুধু। তাদের নির্লিপ্ত ভূমিকা সন্দেহজনক। এরও অনুসন্ধান হওয়া দরকার। আমি প্রশাসনে ফোন করে বলেছিলাম আপনারা নিরাপত্তা দেন, নয়তো আমরা প্রতিহত করবো। তারা বললেন ধৈর্য ধরেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এগিয়ে আসেনি। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন আমরা একটা ক্রিটিক্যাল সময় পার করেছি। আমি সকল পক্ষকে ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিয়েছি
Comments
Post a Comment