Posted by
shahin
রাঙ্গামুড়ি
টংঘরটির পেছনের দিকে পরিত্যক্ত একটি চিংড়িঘের, তারপরে পতিত জলাশয়। জলজ উদ্ভিদ-গুল্মের ঠাসবুনুনির পাশাপাশি আছে টলটলে জলাভূমি। জলের পাখিদের জন্য আদর্শ চারণক্ষেত্র। ওখানেই সকালবেলায় ৫০-৬০টি ছোট সরালি হাঁস, ১২-১৪টা বালিহাঁস ডুব-সাঁতারে মত্ত। পৌষের শীতে মোটেই কাবু নয় ওরা। ওদের ভেতর আটটি অন্য রকম বুনোহাঁস আছে, দারুণ সুন্দর দেখতে।
এক ঘেরশ্রমিক নৌকায় চড়ে ও পথেই যাচ্ছেন। সব কটি হাঁস স্থির হয়ে গেল, বিপৎসীমায় নৌকা আসতেই একসঙ্গে উড়াল দিল সব পাখি। একটা ঝোড়ো হাওয়া যেন বয়ে গেল!
বালিহাঁস ও সরালিগুলো আর ফিরল না, ফিরল সেই আটটি সুন্দর হাঁস, নামল শোলাবনের পাশেই। অপূর্ব সুন্দর এরা। মাথায় গাঢ় কমলা হলুদ রং। ঘাড়-গলা-বুক-পেট ও লেজের প্রান্তের উপরিভাগ চকচকে কালো। ওড়ার মুহূর্তে এবং জলে নামার মুহূর্তে পেটের দুপাশ, ডানার তলায় সাদা রং চোখে পড়বে। পালকের প্রান্ত কালচে, বোজা অবস্থায় ডানার উপরিভাগ বাদামি, আলতা-লাল ঠোঁট ও পা দুখানা। এরা পরিযায়ী বুনোহাঁস। আশ্বিন থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত দেশের বড় বড় হাওর, লেক, জলাশয়, দ্বীপ, চর ও মোহনায় দেখা যায়। বিল-ঝিল বা ছোট হাওর-বাঁওড়ে এরা সংখ্যায় বেশি থাকে না। জলচর পাখি এরা। এদের পুরুষটির সৌন্দর্য চেয়ে দেখার মতো। মেয়েটি সেই তুলনায় ম্লান।
আমাদের দেশে এরা আগেও আসত ঝাঁকে ঝাঁকে, এখন আর অত আসে না। এ দেশের সব হাওর-জলাশয়-বিল-বাঁওড় আজ বলতে গেলে মাছের খামারের পেটে চলে গেছে, শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিদের উৎপাত তো আছেই। নামার জায়গার অভাবও প্রকট। তবু আসতেই হয় ওদের পেটের দায়ে, জীবনের দায়ে।
এক ঘেরশ্রমিক নৌকায় চড়ে ও পথেই যাচ্ছেন। সব কটি হাঁস স্থির হয়ে গেল, বিপৎসীমায় নৌকা আসতেই একসঙ্গে উড়াল দিল সব পাখি। একটা ঝোড়ো হাওয়া যেন বয়ে গেল!
বালিহাঁস ও সরালিগুলো আর ফিরল না, ফিরল সেই আটটি সুন্দর হাঁস, নামল শোলাবনের পাশেই। অপূর্ব সুন্দর এরা। মাথায় গাঢ় কমলা হলুদ রং। ঘাড়-গলা-বুক-পেট ও লেজের প্রান্তের উপরিভাগ চকচকে কালো। ওড়ার মুহূর্তে এবং জলে নামার মুহূর্তে পেটের দুপাশ, ডানার তলায় সাদা রং চোখে পড়বে। পালকের প্রান্ত কালচে, বোজা অবস্থায় ডানার উপরিভাগ বাদামি, আলতা-লাল ঠোঁট ও পা দুখানা। এরা পরিযায়ী বুনোহাঁস। আশ্বিন থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত দেশের বড় বড় হাওর, লেক, জলাশয়, দ্বীপ, চর ও মোহনায় দেখা যায়। বিল-ঝিল বা ছোট হাওর-বাঁওড়ে এরা সংখ্যায় বেশি থাকে না। জলচর পাখি এরা। এদের পুরুষটির সৌন্দর্য চেয়ে দেখার মতো। মেয়েটি সেই তুলনায় ম্লান।
আমাদের দেশে এরা আগেও আসত ঝাঁকে ঝাঁকে, এখন আর অত আসে না। এ দেশের সব হাওর-জলাশয়-বিল-বাঁওড় আজ বলতে গেলে মাছের খামারের পেটে চলে গেছে, শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিদের উৎপাত তো আছেই। নামার জায়গার অভাবও প্রকট। তবু আসতেই হয় ওদের পেটের দায়ে, জীবনের দায়ে।
সুন্দর এই হাঁসটির নাম রাঙ্গামুড়ি। সিলেটে এটি মৌলভীহাঁস নামে পরিচিত। বাগেরহাটে এটির নাম বজ্রমুড়ি হাঁস। মূল খাদ্য জলজ কচি ঘাস-লতার ডগা, গুল্ম, ছোট মাছ ও জলজ নরম পোকা-কীট। কেঁচো বা ঘাসফড়িং অথবা ছোট ব্যাঙ গেঁথে বড়শি পাতলে টোপ গিলে আটকে যায়। অর্থাৎ, কেঁচো ও ঘাসফড়িংও এরা খায়। বন্দুকের গুলির দু-একটা ছররা যদি লাগে এদের ঠোঁটে, তাহলে যন্ত্রণায় জলের উপরে প্রায় লাটিমের বা চরকির মতো ঘুরতে থাকে, তারপর হয় দেয় ডুব, না হয় উড়াল।
ইংরেজি নাম Red-crested pochard। বৈজ্ঞানিক নাম Rhodonessa rufina। মাপ ৫৫ সেন্টিমিটার। ওজন এক কেজি। সর্বশেষ ওদের দেখলাম গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, খুলনার তেরখাদা অঞ্চলের একটি চিংড়িঘেরের পাশের টংঘরে বসে। এরা ডিম পাড়ে ৮-১০টি। ফোটে ২৬-২৮ দিনে। বাচ্চারা উড়তে পারে ৪৯ দিনে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment