মানবজাতির জন্য হুমকি
বিশ্বনন্দিত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মানুষের প্রযুক্তিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারমাণবিক যুদ্ধ, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জিনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা কৃত্রিম ভাইরাসের মতো মানবসৃষ্ট সমস্যার কারণে গোটা মানবজাতি ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, পৃথিবী বাসযোগ্যতা হারালেও শেষ পর্যন্ত মানুষ অন্য গ্রহে পাড়ি জমিয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে।
বিবিসির বার্ষিক ‘রিথ লেকচার্স’-এর বক্তৃতায় হকিং এ কথা বলেন। তাঁর এ বক্তৃতা ২৬ জানুয়ারি ও আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিবিসি রেডিও ফোর-এ প্রচারিত হবে। খবর বিবিসির।
স্টিফেন হকিং বলেন, যে সময়ের মধ্যে পৃথিবী মহাদুর্যোগের মুখে পড়বে বলে বলা হচ্ছে, তিনি মনে করেন সেই ধ্বংসপ্রবণতা তার চেয়ে আরও কিছু পরে শুরু হবে। তিনি মনে করেন, সেই ধরনের মহাবিপর্যয় নেমে আসতে এক হাজার বা দশ হাজার বছরও লাগতে পারে। হকিং বলেন, ‘এর মধ্যেই আমাদের মহাকাশে অন্য নক্ষত্রপুঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে হবে, যাতে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে না যায়।’
জটিল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত অধ্যাপক হকিংয়ের প্রায় পুরো শরীর অসাড় হয়ে যাওয়ায় তিনি স্বাভাবিক মানুষের মতো কথা বলতে পারেন না। থুতনির সঙ্গে যুক্ত সূক্ষ্ম সেন্সরের সাহায্যে বিশেষভাবে নির্মিত কম্পিউটারের কী-বোর্ড চালিয়ে ভাববিনিময় করেন তিনি। খ্যাতনামা এ বিজ্ঞানী মনে করেন, মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারলেও সেখানে স্বনির্ভর আবাসস্থল গড়তে মানুষের অন্তত কয়েক শ বছর লেগে যাবে। ফলে সে পর্যন্ত মানুষকে সতর্কভাবে থাকতে হবে।
হকিং বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধান হতে হবে। এই প্রযুক্তির অপপ্রয়োগে মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিনি মনে করেন, নতুন নতুন গবেষণা ও আবিষ্কারের বিষয় যথাসম্ভব উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। এতে বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণের ধারণা স্পষ্ট হবে।
বিবিসির বার্ষিক ‘রিথ লেকচার্স’-এর বক্তৃতায় হকিং এ কথা বলেন। তাঁর এ বক্তৃতা ২৬ জানুয়ারি ও আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিবিসি রেডিও ফোর-এ প্রচারিত হবে। খবর বিবিসির।
স্টিফেন হকিং বলেন, যে সময়ের মধ্যে পৃথিবী মহাদুর্যোগের মুখে পড়বে বলে বলা হচ্ছে, তিনি মনে করেন সেই ধ্বংসপ্রবণতা তার চেয়ে আরও কিছু পরে শুরু হবে। তিনি মনে করেন, সেই ধরনের মহাবিপর্যয় নেমে আসতে এক হাজার বা দশ হাজার বছরও লাগতে পারে। হকিং বলেন, ‘এর মধ্যেই আমাদের মহাকাশে অন্য নক্ষত্রপুঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে হবে, যাতে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে না যায়।’
জটিল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত অধ্যাপক হকিংয়ের প্রায় পুরো শরীর অসাড় হয়ে যাওয়ায় তিনি স্বাভাবিক মানুষের মতো কথা বলতে পারেন না। থুতনির সঙ্গে যুক্ত সূক্ষ্ম সেন্সরের সাহায্যে বিশেষভাবে নির্মিত কম্পিউটারের কী-বোর্ড চালিয়ে ভাববিনিময় করেন তিনি। খ্যাতনামা এ বিজ্ঞানী মনে করেন, মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারলেও সেখানে স্বনির্ভর আবাসস্থল গড়তে মানুষের অন্তত কয়েক শ বছর লেগে যাবে। ফলে সে পর্যন্ত মানুষকে সতর্কভাবে থাকতে হবে।
হকিং বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধান হতে হবে। এই প্রযুক্তির অপপ্রয়োগে মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিনি মনে করেন, নতুন নতুন গবেষণা ও আবিষ্কারের বিষয় যথাসম্ভব উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। এতে বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণের ধারণা স্পষ্ট হবে।
Comments
Post a Comment