জনশক্তি, জনসমর্থন দুটোই বেড়েছে?
আদালত আর কারাগারে দৌড়াদৌড়িতে বছর পার করেছে জামায়াতে ইসলামী। বিদায়ী বছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে আছেন দলটির আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য মীর কাসেম আলী। বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আটক আছেন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থক। এসব মামলা পরিচালনায় এবং নেতাদের মুক্তির চেষ্টায় আদালত আর কারাগারেই কেটেছে জামায়াতের সারা বছর।
২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকা-চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খানিকটা কৌশলী অবস্থানে থাকে জামায়াত। এতে কিছু সুফলও পায় তারা। তবে বিদায়ী বছরে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি। এ বছর ১২ই এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধের দলের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার ছয় মাসের মাথায় নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক আছেন আমীর নায়েবে আমীরসহ চার শীর্ষ নেতা। এ নেতদের বাঁচানোর চেষ্টায় সারা বছর উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিল ২০ দলীয় জোটের শরিক দলটি। বিশেষ করে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোর লড়াইয়ে লিপ্ত হয় জামায়াত-শিবির। এ দুই ঘটনায় বছরের অনেক আলোচিত ঘটনাকে ছাপিয়ে যায়। কিন্তু পার পায়নি তারা। বছরের এই বিশেষ দুটি ঘটনা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বছরজুড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিশেষ করে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে মাঠপর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া বছরের পর বছর আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে প্রায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। সব মিলিয়ে কঠিন থেকে কঠিন অবস্থায় বছর পার করে জামায়াত। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর ৫০৫ বড় মগবাজার জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে পাড়া-গাঁয়ের বেশির ভাগ কার্যালয় চার বছরের বেশি সময় বন্ধ। ভারপ্রাপ্ত আমীর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও আত্মগোপনে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ পাঁচ শীর্ষনেতা এখনও বন্দি। ইতিমধ্যে তিন নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এ অবস্থায় আদালতে-রাজপথে সারা বছর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেছে দলটি। চার বছর ধরে দৃশ্যত কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় নেই জামায়াতের। সচরাচর দেখা যায় না দায়িত্বশীল কোনো নেতার। তার পরও নেতাদের মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পালন করেছে হরতাল, অবরোধ, বিক্ষিপ্ত মিছিল, সমাবেশ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার লড়াই করে ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে গৃহহারা হয়ে পড়ে জামায়াতে ইসলামী। দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদসহ প্রথম ও দ্বিতীয় সারির সব নেতা চার বছর বেশি সময় ধরে ঘরছাড়া। তৃতীয়-চতুর্থ সারির নেতারা নানা বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্ত মিছিল-সমাবেশ করছেন বটে, কিন্তু ঘরে ফিরতে পারেননি। এতে দলের মগবাজার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পুরানা পল্টনের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা। সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা সভার মতো ঘরোয়া কর্মসূচির জন্যও খোলা যায়নি তালাবদ্ধ এ দুটি রাজনৈতিক কার্যালয়। দলীয় কার্যালয় খোলার দাবিতে একবার উচ্চ আদালতেও যায় জামায়াত। কিন্তু এর পরও খোলা যায়নি মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি। একই অবস্থা দলটির ছাত্র সংগঠন শিবিরের ক্ষেত্রেও। পুরানা পল্টনে শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ডটি অনেক আগেই ভেঙে ফেলেছে পুলিশ। সংগঠনের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েক শ নেতাকর্মী কারাগারে। ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাকরাইল-শান্তিনগরসহ ১৩টি জেলায় পুলিশের সঙ্গে শক্তির মহড়া দেয়ার পর এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় জামায়াত-শিবির। এর দুদিন আগে এক ঘরোয়া সমাবেশে তখনকার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা গৃহবন্দি অবস্থায় আর কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করবো না। আমরা রাজপথে নামবো। হয় পুলিশের গুলিতে শহীদ হবো, না হয় জেলে যাবো।’
এরপর রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করতে গিয়ে দলের বহু নেতাকর্মী নিহত হন। আহতের সংখ্যাও অনেক। এ পর্যায়ে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়ে জামায়াত। ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হারান দলের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপাধের অভিযোগে আটক শীর্ষ নেতারা। ফলে বছরজুড়ে একের পর এক ঘটনা তাড়া করে বেড়ায় জামায়াত নেতাকর্মীদের। হামলা-মামলা এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ঘটনা মোকাবিলার চেষ্টা করে তারা। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারের মতো অধিকতর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়নি জামায়াত। সরকার কেবল আমাদের দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে একের পর এক শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি। রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার চেষ্টাও করছে। হামলা-মামলা দিয়ে বাসাবাড়িতেও থাকতে দিচ্ছেন না নেতাকর্মীদের। প্রায় সাত বছরের শাসনামলে দুই লাখ ১০ হাজার মামলা দিয়ে ৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। গ্রেপ্তার করেছে ৮৮ হাজার ৫০০ জামায়াত ও ৬০ হাজার শিবির নেতাকর্মীকে। আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত হয়েছেন জামায়াতের ১১৯ ও শিবিরের ১২৭ নেতাকর্মী। ক্রশফায়ারে নিহত ৮০ কর্মী। আহত হয়েছেন শিবিরের ৭৫ হাজার, পঙ্গু হয়েছেন ৫২০০। তবে এর পরও জামায়াত-শিবিরকে সরকার দুর্বল করতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি। শিবিরের সাবেক এ নেতা বলেন, এ সরকারের জুলুম-অত্যাচারের কারণে আমরা একের পর এক শীর্ষ নেতাদের হারাচ্ছি। হারিয়েছি অনেক মেধাবী সাথী ভাইদের। তবু আমাদের জনশক্তি, জনসমর্থন দুটোই বেড়েছে। অবশ্য দলের এ সংকটকালে আত্মসমালোচনা আত্মনির্ভরতা নিয়েও জামায়াতে আলোচনা চলছে।
২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকা-চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খানিকটা কৌশলী অবস্থানে থাকে জামায়াত। এতে কিছু সুফলও পায় তারা। তবে বিদায়ী বছরে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি। এ বছর ১২ই এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধের দলের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার ছয় মাসের মাথায় নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক আছেন আমীর নায়েবে আমীরসহ চার শীর্ষ নেতা। এ নেতদের বাঁচানোর চেষ্টায় সারা বছর উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিল ২০ দলীয় জোটের শরিক দলটি। বিশেষ করে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোর লড়াইয়ে লিপ্ত হয় জামায়াত-শিবির। এ দুই ঘটনায় বছরের অনেক আলোচিত ঘটনাকে ছাপিয়ে যায়। কিন্তু পার পায়নি তারা। বছরের এই বিশেষ দুটি ঘটনা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বছরজুড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিশেষ করে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে মাঠপর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া বছরের পর বছর আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে প্রায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। সব মিলিয়ে কঠিন থেকে কঠিন অবস্থায় বছর পার করে জামায়াত। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর ৫০৫ বড় মগবাজার জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে পাড়া-গাঁয়ের বেশির ভাগ কার্যালয় চার বছরের বেশি সময় বন্ধ। ভারপ্রাপ্ত আমীর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও আত্মগোপনে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ পাঁচ শীর্ষনেতা এখনও বন্দি। ইতিমধ্যে তিন নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এ অবস্থায় আদালতে-রাজপথে সারা বছর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেছে দলটি। চার বছর ধরে দৃশ্যত কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় নেই জামায়াতের। সচরাচর দেখা যায় না দায়িত্বশীল কোনো নেতার। তার পরও নেতাদের মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পালন করেছে হরতাল, অবরোধ, বিক্ষিপ্ত মিছিল, সমাবেশ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার লড়াই করে ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে গৃহহারা হয়ে পড়ে জামায়াতে ইসলামী। দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদসহ প্রথম ও দ্বিতীয় সারির সব নেতা চার বছর বেশি সময় ধরে ঘরছাড়া। তৃতীয়-চতুর্থ সারির নেতারা নানা বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্ত মিছিল-সমাবেশ করছেন বটে, কিন্তু ঘরে ফিরতে পারেননি। এতে দলের মগবাজার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পুরানা পল্টনের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা। সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা সভার মতো ঘরোয়া কর্মসূচির জন্যও খোলা যায়নি তালাবদ্ধ এ দুটি রাজনৈতিক কার্যালয়। দলীয় কার্যালয় খোলার দাবিতে একবার উচ্চ আদালতেও যায় জামায়াত। কিন্তু এর পরও খোলা যায়নি মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি। একই অবস্থা দলটির ছাত্র সংগঠন শিবিরের ক্ষেত্রেও। পুরানা পল্টনে শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ডটি অনেক আগেই ভেঙে ফেলেছে পুলিশ। সংগঠনের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েক শ নেতাকর্মী কারাগারে। ২০১১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাকরাইল-শান্তিনগরসহ ১৩টি জেলায় পুলিশের সঙ্গে শক্তির মহড়া দেয়ার পর এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় জামায়াত-শিবির। এর দুদিন আগে এক ঘরোয়া সমাবেশে তখনকার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা গৃহবন্দি অবস্থায় আর কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করবো না। আমরা রাজপথে নামবো। হয় পুলিশের গুলিতে শহীদ হবো, না হয় জেলে যাবো।’
এরপর রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করতে গিয়ে দলের বহু নেতাকর্মী নিহত হন। আহতের সংখ্যাও অনেক। এ পর্যায়ে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়ে জামায়াত। ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হারান দলের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপাধের অভিযোগে আটক শীর্ষ নেতারা। ফলে বছরজুড়ে একের পর এক ঘটনা তাড়া করে বেড়ায় জামায়াত নেতাকর্মীদের। হামলা-মামলা এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ঘটনা মোকাবিলার চেষ্টা করে তারা। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারের মতো অধিকতর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়নি জামায়াত। সরকার কেবল আমাদের দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে একের পর এক শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি। রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার চেষ্টাও করছে। হামলা-মামলা দিয়ে বাসাবাড়িতেও থাকতে দিচ্ছেন না নেতাকর্মীদের। প্রায় সাত বছরের শাসনামলে দুই লাখ ১০ হাজার মামলা দিয়ে ৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। গ্রেপ্তার করেছে ৮৮ হাজার ৫০০ জামায়াত ও ৬০ হাজার শিবির নেতাকর্মীকে। আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত হয়েছেন জামায়াতের ১১৯ ও শিবিরের ১২৭ নেতাকর্মী। ক্রশফায়ারে নিহত ৮০ কর্মী। আহত হয়েছেন শিবিরের ৭৫ হাজার, পঙ্গু হয়েছেন ৫২০০। তবে এর পরও জামায়াত-শিবিরকে সরকার দুর্বল করতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি। শিবিরের সাবেক এ নেতা বলেন, এ সরকারের জুলুম-অত্যাচারের কারণে আমরা একের পর এক শীর্ষ নেতাদের হারাচ্ছি। হারিয়েছি অনেক মেধাবী সাথী ভাইদের। তবু আমাদের জনশক্তি, জনসমর্থন দুটোই বেড়েছে। অবশ্য দলের এ সংকটকালে আত্মসমালোচনা আত্মনির্ভরতা নিয়েও জামায়াতে আলোচনা চলছে।
Comments
Post a Comment