পালালো পুলিশের এসআই
রাজধানীর কাফরুলের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় আদালত জামিন বাতিল করায় হাজতখানা থেকে পালিয়েছে পুলিশের এক এসআই। তার নাম রেজাউল করিম পাটোয়ারী। তিনি কাফরুল থানায় করা এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার আসামি। গতকাল ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ৫ নম্বর জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান তিন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনজনকেই নেয়া হয় হাজতখানায়। হাজতখানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় রেজাউল করিম পাটোয়ারী। একই ঘটনায় পুলিশের অপর এক এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স বাবু ওরফে রতন ওরফে বাবু মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে কোর্ট প্রাঙ্গণে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পলাতক আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের জন্যও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাফরুল এলাকার ভাঙ্গারির দোকান থেকে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনকে মামলা আছে তুলে নিয়ে যায় এসআই এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতন। ঐদিন রাত ১১টায় ফারুকের বোন থানায় গেলে থানা হাজতে তার ভাইয়ের চিৎকার শুনতে পান। পুলিশকে ম্যানেজ করে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলে ফারুক এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে বলেন। টাকা না দিলে মেরে ফেলবে বলেও জানান তিনি। টাকা জোগাড় করতে না পারায় দু’দিন পর ২১শে ফেব্রুয়ারি ফারুককে কাফরুল থানার একটি মামলায় (মামলা নং ৫৭(২)১২) গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত আসামির শরীরে জখমের চিহ্ন দেখে রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। ২২শে ফেব্রুয়ারি কারাগারে ফারুক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কারা হাসপাতালে তার রক্তবমি হলে তাকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান ফারুক। এ ঘটনায় ওই বছরই ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন ফারুকের বোন পারভীন হক। পরে ৬ই নভেম্বর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১লা মার্চ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মাজহারুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে পুলিশ ৩০৪ ধারায় (অপরাধজনক প্রাণনাশ) আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলেও আদালত তা নাকচ করে সরাসরি হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তৈয়ব জানান, মামলাটিতে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে প্রথম জামিন পায়। পরে সিএমএম আদালত চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন বাড়ান তাদের। গতকাল তারা ঢাকার ৫ নম্বর জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে হাজতখানায় নেয়া হয়। জানা যায় কৌশলে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান রেজাউল করিম পাটোয়ারী।
প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ১২টার দিকে আসামি রেজাউল করিম পালিয়েছেন। হাজতখানায় বিভিন্ন মামলার আসামিদের আনা নেয়ার এক ফাঁকে তিনি বেরিয়ে যান। হাজতখানার দায়িত্বে থাকা এক কনস্টেবল তাকে আটককালে তিনি সিটি এসবি’র দারোগা বলে পরিচয় দেন। হাজতখানার ভেতরে ‘প্রস্রাব করার’ জন্য ঢুকেছিলেন বলে জানায়। এ কথা শুনে ওই কনস্টেবল তাকে ছেড়ে দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাফরুল এলাকার ভাঙ্গারির দোকান থেকে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনকে মামলা আছে তুলে নিয়ে যায় এসআই এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতন। ঐদিন রাত ১১টায় ফারুকের বোন থানায় গেলে থানা হাজতে তার ভাইয়ের চিৎকার শুনতে পান। পুলিশকে ম্যানেজ করে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলে ফারুক এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে বলেন। টাকা না দিলে মেরে ফেলবে বলেও জানান তিনি। টাকা জোগাড় করতে না পারায় দু’দিন পর ২১শে ফেব্রুয়ারি ফারুককে কাফরুল থানার একটি মামলায় (মামলা নং ৫৭(২)১২) গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত আসামির শরীরে জখমের চিহ্ন দেখে রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। ২২শে ফেব্রুয়ারি কারাগারে ফারুক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কারা হাসপাতালে তার রক্তবমি হলে তাকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান ফারুক। এ ঘটনায় ওই বছরই ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন ফারুকের বোন পারভীন হক। পরে ৬ই নভেম্বর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১লা মার্চ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মাজহারুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে পুলিশ ৩০৪ ধারায় (অপরাধজনক প্রাণনাশ) আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলেও আদালত তা নাকচ করে সরাসরি হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তৈয়ব জানান, মামলাটিতে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে প্রথম জামিন পায়। পরে সিএমএম আদালত চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন বাড়ান তাদের। গতকাল তারা ঢাকার ৫ নম্বর জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে হাজতখানায় নেয়া হয়। জানা যায় কৌশলে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান রেজাউল করিম পাটোয়ারী।
প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ১২টার দিকে আসামি রেজাউল করিম পালিয়েছেন। হাজতখানায় বিভিন্ন মামলার আসামিদের আনা নেয়ার এক ফাঁকে তিনি বেরিয়ে যান। হাজতখানার দায়িত্বে থাকা এক কনস্টেবল তাকে আটককালে তিনি সিটি এসবি’র দারোগা বলে পরিচয় দেন। হাজতখানার ভেতরে ‘প্রস্রাব করার’ জন্য ঢুকেছিলেন বলে জানায়। এ কথা শুনে ওই কনস্টেবল তাকে ছেড়ে দেন।
Comments
Post a Comment