৬ মাসে ৩ হাজার শিশু খুন ধর্ষণ অপহরণের শিকার
নাছির উদ্দিন শোয়েব : অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা বেড়েই চলছে। অপহরণের পর মোটা অংকের মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু অপহরণ ও হত্যার মতো জঘন্য ঘটনায় উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জে দু’শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- খুন, ধর্ষণ ও অপহরণসহ নানাভাবে গত ছয় মাসে প্রায় তিন হাজার শিশু নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৬ মাসে ১শ ৫৪ শিশুকে হত্যা করা হয়, ধর্ষিত হয়েছে ২শ ৩০ শিশু। ১শ ২৭ শিশু হয়েছে অপহরণের শিকার। অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ শিশুকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে ৬৬ শিশুকে। অন্যদিকে, পরের তিন মাসে হত্যার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ জনে। এভাবে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয় ৯৬ জন, যা পরের তিনমাসে বেড়ে দাঁড়ায় ১শ ৩৪। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে অপহরণের শিকার হয় ৪১ শিশু, যা পরের তিন মাসে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশমাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ৬৫৩ জন। কিন্তু বাস্তব চিত্র কয়েকগুণ বেশি।
অব্যাহত অপহরণের ঘটনা ও ঝুঁকির মাত্রা হিসেব করে কন্ট্রোল রিস্ক নামে একটি ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে গত ৩ আগস্ট জানিয়েছে, অপহরণের ব্যাপকতার মানদন্ডে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের অন্যতম। দুর্নীতির মতো, পুলিশে অনাস্থার মতো, নারী নির্যাতনের ব্যাপকতার মতো, মানব পাচারের মতো, এটিও বাংলাদেশের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার নতুন রেকর্ড।
তবে কন্ট্রোল রিস্ক নামে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠনের এই রিপোর্টটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপহরণ নিয়ে পৃথিবীর নানা দেশের নানা সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সতর্ককারী সংস্থা ‘হেল্প বিল্ড পিস’-এর রিপোর্টে অপহরণের অপরাধ সংঘটনে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ দশ দেশে বাংলাদেশের নাম নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। হাফসা আক্তার রূপা নামে পাঁচ বছরের মেয়েটি উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের গিরদা নজরুল ইসলাম বাবু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে পড়তো। গত বৃহস্পতিবার তাকে অপহরণের পর সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল পরিবারের কাছে। এ ঘটনার মাত্র তিনদিন আগে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে আকিব নামে এক শিশুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
গত ৮ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অপহরণের চার দিন পর জিহাদ (৮) নামে ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ফুলকলি কিন্ডার গার্ডেনের ২য় শ্রেণীর ছাত্র ও মির্জাপুর গ্রামের প্রবাসী বাবুল মিয়ার একমাত্র ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিপণ দাবির ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শিশুটিকে নির্মমভাবে খুন করে অপহরণকারীরা।
এর আগে ২৬ মে নড়াইলের লোহাগড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। অপহৃত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুমড়ী গ্রামের জাকির শেখের বখাটে ছেলে আশিক শেখ (২২) লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে মেয়েটি ঘরের বাইরে বের হয়। এ সুযোগে আশিক শেখ, জাকির শেখ, জান্নাত শেখ, তারিক শেখসহ পাঁচ-সাতজন মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
২৫ মে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার শমসের আলী (৫৫) নামে এক কৃষককে অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চিরকুট পাঠায় অপহরণকারীরা। অপহৃত শমসের আলী পৌরসভার সন্তোষপুর গ্রামের শেখ সৈয়দ আলীর ছেলে। ২২ মে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাগলারহাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মোত্তালেব চাঁদ মিয়াকে (৪৫) অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ২২ মে লক্ষ্মীপুরে মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানান, নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সালাহ উদ্দিনসহ ৪-৫ জন জোরপূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ২১ মে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে অপহরণের প্রায় পর মো. শাহাদাৎ হোসেন (৪৫) নামে একজনকে উদ্ধার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। একইসঙ্গে এক নারীসহ অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২১ মে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম মোতালেব হোসেন চানমিয়া (৪৫)। অপহরণের শিকার হন বলে জানা যায়। মোতালেব উপজেলার সীমান্তবর্তী পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। ২০ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামের কলেজ ছাত্র আরিফ ওরফে জনিকে (২২) ঝিনাইদহ শহর থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ১৮ মে কুমিল্লার লাকসাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম বাজার দৌলতগঞ্জ কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লাকসাম পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে র্যাব-১১ এর সাবেক সিও লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ পাঁচজনকে আসামী করে লাকসাম উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ২নং ভিকটিম হুমায়ুন কবিরের পিতা মোঃ রঙ্গু মিয়া (৭৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ১৩ মে গাজীপুরের জয়দেবপুরে অপহৃত এক শিশুকে নেত্রকোনা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সন্দেহে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অপহৃত শিশুর নাম রিফাত (৫)। সে জয়দেবপুরের চান্দিনার রওশন রোডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ১০ মে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তুহিন নামে সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। তুহিন উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বগাদি গ্রামের নাসিরউদ্দিনের ছেলে। নাসিরউদ্দিন স্থানীয় একটি বাজারের দন্ত চিকিৎসক। ১০ মে ঢাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র মোমিনুর রহমানকে (৮) ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার সাথে যুক্ত পাচারকারীদের কেউ আটক হয়নি। বেনাপোল লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
৯ মে ঢাকায় অপহৃত শিশু মো. শহিদুল ইসলামকে (৬) দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শহিদুল ইসলাম ঢাকা কড়াইল এলাকার ইকবাল কাদেরের পুত্র। প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন র্যাবকে অবহিত করে। র্যাব পরিচয় গোপন রেখে অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু মো. শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে। ৮ মে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তাদের শিশুকে অপহরণ করেছে এক যুবক। অপহৃত আরিফ উদ্দিন (১২) জৈন্তাপুরের হরিপুর ইউনিয়নের ওপর শ্যামপুর গ্রামের ফইজ উদ্দিনের ছেলে। ৬ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু পারভেজ আহম্মদ ওরফে জয়কে (১০) ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মো. রাসেল (২২) নামে একজ
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- খুন, ধর্ষণ ও অপহরণসহ নানাভাবে গত ছয় মাসে প্রায় তিন হাজার শিশু নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৬ মাসে ১শ ৫৪ শিশুকে হত্যা করা হয়, ধর্ষিত হয়েছে ২শ ৩০ শিশু। ১শ ২৭ শিশু হয়েছে অপহরণের শিকার। অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ শিশুকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে ৬৬ শিশুকে। অন্যদিকে, পরের তিন মাসে হত্যার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ জনে। এভাবে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয় ৯৬ জন, যা পরের তিনমাসে বেড়ে দাঁড়ায় ১শ ৩৪। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে অপহরণের শিকার হয় ৪১ শিশু, যা পরের তিন মাসে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশমাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ৬৫৩ জন। কিন্তু বাস্তব চিত্র কয়েকগুণ বেশি।
অব্যাহত অপহরণের ঘটনা ও ঝুঁকির মাত্রা হিসেব করে কন্ট্রোল রিস্ক নামে একটি ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে গত ৩ আগস্ট জানিয়েছে, অপহরণের ব্যাপকতার মানদন্ডে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের অন্যতম। দুর্নীতির মতো, পুলিশে অনাস্থার মতো, নারী নির্যাতনের ব্যাপকতার মতো, মানব পাচারের মতো, এটিও বাংলাদেশের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার নতুন রেকর্ড।
তবে কন্ট্রোল রিস্ক নামে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠনের এই রিপোর্টটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপহরণ নিয়ে পৃথিবীর নানা দেশের নানা সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সতর্ককারী সংস্থা ‘হেল্প বিল্ড পিস’-এর রিপোর্টে অপহরণের অপরাধ সংঘটনে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ দশ দেশে বাংলাদেশের নাম নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। হাফসা আক্তার রূপা নামে পাঁচ বছরের মেয়েটি উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের গিরদা নজরুল ইসলাম বাবু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে পড়তো। গত বৃহস্পতিবার তাকে অপহরণের পর সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল পরিবারের কাছে। এ ঘটনার মাত্র তিনদিন আগে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে আকিব নামে এক শিশুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
গত ৮ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অপহরণের চার দিন পর জিহাদ (৮) নামে ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ফুলকলি কিন্ডার গার্ডেনের ২য় শ্রেণীর ছাত্র ও মির্জাপুর গ্রামের প্রবাসী বাবুল মিয়ার একমাত্র ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিপণ দাবির ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শিশুটিকে নির্মমভাবে খুন করে অপহরণকারীরা।
এর আগে ২৬ মে নড়াইলের লোহাগড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। অপহৃত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুমড়ী গ্রামের জাকির শেখের বখাটে ছেলে আশিক শেখ (২২) লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে মেয়েটি ঘরের বাইরে বের হয়। এ সুযোগে আশিক শেখ, জাকির শেখ, জান্নাত শেখ, তারিক শেখসহ পাঁচ-সাতজন মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
২৫ মে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার শমসের আলী (৫৫) নামে এক কৃষককে অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চিরকুট পাঠায় অপহরণকারীরা। অপহৃত শমসের আলী পৌরসভার সন্তোষপুর গ্রামের শেখ সৈয়দ আলীর ছেলে। ২২ মে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাগলারহাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মোত্তালেব চাঁদ মিয়াকে (৪৫) অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ২২ মে লক্ষ্মীপুরে মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানান, নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সালাহ উদ্দিনসহ ৪-৫ জন জোরপূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ২১ মে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে অপহরণের প্রায় পর মো. শাহাদাৎ হোসেন (৪৫) নামে একজনকে উদ্ধার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। একইসঙ্গে এক নারীসহ অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২১ মে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম মোতালেব হোসেন চানমিয়া (৪৫)। অপহরণের শিকার হন বলে জানা যায়। মোতালেব উপজেলার সীমান্তবর্তী পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। ২০ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামের কলেজ ছাত্র আরিফ ওরফে জনিকে (২২) ঝিনাইদহ শহর থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ১৮ মে কুমিল্লার লাকসাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম বাজার দৌলতগঞ্জ কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লাকসাম পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে র্যাব-১১ এর সাবেক সিও লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ পাঁচজনকে আসামী করে লাকসাম উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ২নং ভিকটিম হুমায়ুন কবিরের পিতা মোঃ রঙ্গু মিয়া (৭৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ১৩ মে গাজীপুরের জয়দেবপুরে অপহৃত এক শিশুকে নেত্রকোনা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সন্দেহে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অপহৃত শিশুর নাম রিফাত (৫)। সে জয়দেবপুরের চান্দিনার রওশন রোডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ১০ মে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তুহিন নামে সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। তুহিন উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বগাদি গ্রামের নাসিরউদ্দিনের ছেলে। নাসিরউদ্দিন স্থানীয় একটি বাজারের দন্ত চিকিৎসক। ১০ মে ঢাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র মোমিনুর রহমানকে (৮) ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার সাথে যুক্ত পাচারকারীদের কেউ আটক হয়নি। বেনাপোল লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
৯ মে ঢাকায় অপহৃত শিশু মো. শহিদুল ইসলামকে (৬) দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শহিদুল ইসলাম ঢাকা কড়াইল এলাকার ইকবাল কাদেরের পুত্র। প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন র্যাবকে অবহিত করে। র্যাব পরিচয় গোপন রেখে অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু মো. শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে। ৮ মে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তাদের শিশুকে অপহরণ করেছে এক যুবক। অপহৃত আরিফ উদ্দিন (১২) জৈন্তাপুরের হরিপুর ইউনিয়নের ওপর শ্যামপুর গ্রামের ফইজ উদ্দিনের ছেলে। ৬ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু পারভেজ আহম্মদ ওরফে জয়কে (১০) ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মো. রাসেল (২২) নামে একজ
Comments
Post a Comment