Posted by
shahin
তিন মাস পরেই সফলতা আসে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনী পেশা ও উদ্যোগ বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এগুলো বেশ জনপ্রিয়, তবে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তারপরও তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। তিন তরুণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ অ্যাপবাজার, জুমশেপার ও মার্কেেটভার নিয়ে আজকের আয়োজন। লিখেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী
স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) জন্য অনেক কাজই এখন সহজ হয়ে গেছে। সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ নামানোর ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর, আইওএসের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও উইন্ডোজের জন্য মাইক্রোসফট স্টোর থেকেই অ্যাপ নামানো হয়। বাংলাদেশের অনেকেই অ্যাপ তৈরি করছেন আর সেগুলোর সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালু হয়েছে ‘অ্যাপবাজার’ নামের একটি উদ্যোগ। বিভিন্ন অনলাইন স্টোরের মতো এখান থেকেও অ্যাপ নামানো, কেনাবেচা সবই করা যাবে বলে জানালেন অ্যাপবাজারের নির্মাতা অ্যাডভান্সড অ্যাপস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আলম।
অন্যান্য অ্যাপস্টোর থেকে পুরোপুরি ভিন্ন আদলে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপবাজার। এখানে একজন নির্মাতা কোনো টাকা ছাড়াই বিনা মূল্যে অ্যাপ অনলাইন স্টোরে ছাড়তে (আপলোড) পারবেন। ব্যবহারকারীরা সহজে নিজেদের মুদ্রায় অর্থাৎ টাকায় অ্যাপ কিনতে পারবেন এবং কম দামে অ্যাপ বিক্রিও করতে পারবেন। মাস শেষে কোনো ধরনের কার্ডের ঝামেলা ছাড়াই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অ্যাপ বিক্রির টাকা পাওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।
অ্যাপবাজারে আছে বাংলা ও ইংরেজির চমৎকার ইন্টারফেস। ফলে ব্যবহারকারী তাঁর ইচ্ছেমতো ভাষায় ব্যবহার করতে পারবেন এই অ্যাপবাজার।
অ্যাপবাজারে ব্যবহারকারী ও নির্মাতার মধ্যে রাখছে চ্যাট করার সুবিধা, ফলে একজন ব্যবহারকারী তাঁর পরিচিতজনদের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন।
শফিউল জানালেন, আগামী দুই বছরে ৫০ হাজার মানসম্পন্ন অ্যাপ নির্মাতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে চায় অ্যাপবাজার। পাশাপাশি সেসব অ্যাপ যাতে সহজেই কেনাবেচা বা নামানোর সহজ সুযোগ থাকে, সেটিও নিশ্চিত করার উদ্যোগে শামিল হতে চায় অ্যাপবাজার। অ্যাপবাজারের বিস্তারিত:www.appbajar.com।
বিষয়বস্তু নির্ভর ওয়েবসাইট তৈরির জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) সফটওয়্যার জুমলার টেম্পলেট, ডেভেলপমেন্ট ও এক্সটেনশন তৈরি করছে ‘জুমশেপার’। বাজার গবেষণা করে সময় উপযোগী সর্বাধুনিক সুবিধার টেম্পলেট তৈরি করার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গ্রাহকেরা নিজেদের প্রয়োজনমতো সেসব টেম্পলেট কিনে থাকেন। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে প্রায় ৭৮টি জুমলা টেম্পলেট ও ৪৩টি এক্সটেনশন। জুমশেপারের সঙ্গে চুক্তি করে গ্রাহকেরা সেবা নিয়ে থাকেন। জুমশেপারের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথমে প্রায় দুই
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করার মাধ্যমে চলছিল কাওসারের। এক বছর পর কিছু টাকা জমিয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় একটা পুরোনো কম্পিউটার কিনে প্রোগ্রামিং ও ছোট ছোট সফটওয়্যার তৈরি করা শুরু করেন। প্রায় দুই বছর প্রোগ্রামিং করেন এবং বেশ কিছু সফটওয়্যার বানিয়েও তেমন আর্থিক সফলতা আসেনি। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজ। তারপর থেকেই চিন্তার শুরু জুমশেপার নিয়ে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে দেশের কর্মী ছাড়াও আছেন চারজন আন্তর্জাতিক সাপোর্ট ম্যানেজার, যাঁরা জুমশেপারের নানা ধরনের কাজে সহযোগিতা করেন।
জুমলা টেম্পলেটের পাশাপাশি দেড় বছর ধরে আরেক জনপ্রিয় সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেসের থিম বিক্রি শুরু করেছেন। এটা করছেন থিমিয়াম নামে। এখানেও যে-কেউ তাঁদের ডিজাইন করা টেম্পলেট জমা দিতে পারেন। প্রতি বিক্রিতে কমিশন পেতে পারেন বলে জানালেন কাওসার আহমেদ। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জুমলার সবচেয়ে বড় সম্মেলন ‘জুমলা ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স ২০১৫’-এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিল। কাওসার জানান, শুধু এবারই নয়, জুমলা ডে ফ্লোরিডা ২০১৬-এরও পৃষ্ঠপোষক হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তী জুমলা ওয়ার্ল্ড সম্মেলনেরও পৃষ্ঠপোষকতা করছে জুমশেপার। বর্তমানে ১৬ জন সদস্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে জুমশেপার। ওয়েব ঠিকানা: www.joomshaper.com।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কার্যক্রম বেশ জনপ্রিয়। সহজ কথায় বিশ্বসেরা ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে পণ্য কেনার আগে পণ্যের একটা রিভিউ বা ভালো-মন্দ দেখে পণ্য কিনে থাকেন বেশির ভাগ ক্রেতা। আর এর রিভিউ বা পণ্যের নানা গুণাগুণের ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার ও রিসোর্স তৈরির কাজগুলো করছে ‘মার্কেটেভার’। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করতে চান, এমন আগ্রহী ব্যক্তিদের শুধু সহযোগিতাই নয়, প্রয়োজনীয় রিসোর্স তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু দেশেই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী এ কাজে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাহায্য করার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আগ্রহের বিষয়ে আল-আমিন জানালেন, এই কাজে আগ্রহের মূল একটা কারণ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা বা পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে কাজ করলে আর নিয়মিতভাবে কাজ করার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ সঠিকভাবে কাজটা শুরু করলে এবং নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত লেগে থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে আর্থিকভাবে সফল হওয়া সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে আল-আমিন জানালেন, বিষয়টা অনেকটা বই লেখার মতো। একবার লিখলে সেটি যত দিন বিক্রি হবে, সে হিসাবে নির্দিষ্ট রয়্যালটি পেতে থাকবেন লেখক।
তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আল–আমিন কাজ করছেন অনেক দিন হলো। এর আগে চার সহযোগী মিলে করেছিলেন আরেকটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে সফল হওয়ায় পেয়েছেন শীর্ষ তরুণ উদ্যোক্তা পুরস্কার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজে শুরুতে মাত্র দুটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ শুরু করে তিন মাস পরেই সফলতা আসে মার্কেটেভারের। এর প্রায় দেড় বছর পর গত বছরের ডিসেম্বরে আরও কয়েকটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতেই সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কেটেভার। যেহেতু বাজারটি বেশ বড়, তাই অনেকেরই আগ্রহ আছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাজ করার। তবে রয়েছে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা। কাজ করতে গিয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতা পেয়েছেন, সেগুলো সমাধানের বিষয়ে আল-আমিন বলেন, ‘এ কাজে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে দক্ষতার অভাব। দেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগও খুব কম রয়েছে। সমস্যাটি মোকাবিলা করতে আমাকে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করতে হয়েছে অনলাইনে। সেসব অভিজ্ঞতা আবার মার্কেটেভারের ওয়েবসাইটে লিখেও রাখছি।’
সমস্যার সমাধান ও সহজে কাজটি করতে তাই মার্কেটেভারের উদ্যোগে তৈরি করেছেন বাংলায় ‘আজন রকস্টার’ (www.azonrockstar.com) নামের ভিডিও টিউটোরিয়াল। যার সাহায্যে যে-কেউ চাইলে এ কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন। মার্কেটেভারের ওয়েব ঠিকানা:www.marketever.com
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment