অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠেন?

..বেশ খানিকটা দৌড়ালে, সিঁড়ি বেয়ে কয়েক তলা উঠলে, ভারী কাজ বা ব্যায়াম করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। তখন জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয়—এটাই স্বাভাবিক। 
কিন্তু যদি সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠেন, যেমন গোসল করে এসে বা পোশাক পাল্টানোর পর অথবা এ ঘর থেকে ও ঘরে যাওয়া-আসাতেই যদি শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে ওঠে, অনেক পরিশ্রম করার মতো অনুভূতি হয়—তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। 
হাঁটতে গিয়ে যদি আগের মতো আর জোর না পান, পিছিয়ে পড়েন অথবা বারবার বিরতি নিতে হয়, তবেও সতর্ক হতে হবে। 
বয়স যত বেশি হয়, মানুষের শারীরিক সামর্থ্য বা ফিটনেস কমতে থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সামান্য পরিশ্রমেই বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হাঁপিয়ে ওঠা হৃদ্রোগের লক্ষণ। ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সে এ রকম সমস্যা হলে হৃৎপিণ্ডের ভালভের সমস্যা বা জন্মগত কোনো ত্রুটি থাকার আশঙ্কা খতিয়ে দেখা উচিত। আরেকটু বেশি বয়সে বা চল্লিশের পর হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালিতে বাধা বা ব্লক তৈরি হয়েছে কি না, সেটা সন্দেহের তালিকায় আসবে। রাতে শোয়ার পর শ্বাসকষ্ট ও তার জন্য ঘুমাতে না পারা, বারবার উঠে বসা হৃদ্রোগের লক্ষণ। হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হলেও সামান্য কাজ করেই হাঁপিয়ে উঠবেন। দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের রোগী বা ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ধীরে ধীরে তাঁদের হৃদ্যন্ত্রেও সমস্যা ও অল্পেই হাঁপিয়ে ওঠার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। 
তবে হৃদ্রোগ ছাড়া আরও কিছু কারণে অল্পেই হাঁফ ধরে যেতে পারে। রক্তশূন্যতা এর অন্যতম কারণ হতে পারে। হাঁপানি বা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী বা অতি স্থূলকায় ব্যক্তিদের এ সমস্যা হতে পারে। 
সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Comments