বিনা খরচে হাতেকলমে সনদসহ প্রশিক্ষণের সুযোগ
দারিদ্র্যের কারণে অনেকেরই খুব বেশি দূর লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না। তাই অসময়েই ঝরে পড়তে হয় তাঁদের। জীবন জীবিকার জন্য নামতে হয় কঠিন কোনো কাজে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় কম বেতন বা মজুরিতে কাজ শুরু করতে হয়। পরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেও স্বীকৃত প্রশিক্ষণ সনদ না থাকার কারণে ভালো বেতন বা মজুরি, পদবি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এসব স্বল্প শিক্ষিত ছেলেমেয়েকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল ও সনদ অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ)।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দেশ-বিদেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে দুবার তিন দিন করে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা সনদ দেবে বলে জানিয়েছে। দেশের মোট ১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতি বিষয়ে ১০ জন করে প্রশিক্ষণার্থী এসব প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। স্টেপের যোগাযোগ পরামর্শক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে-বিদেশে এখন দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তির অনেক চাহিদা আছে। আর এই প্রশিক্ষণ সনদ থাকলে কাউকে বেকার থাকতে হবে না। তাই এই সনদ একজন কর্মীকে আরও দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। জিল্লুর রহমান আরও বলেন, এই সনদ থাকলে দেশে-বিদেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হবে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণটি নিয়ে কেউ চাইলে নিজে উদ্যোগী হয়েও ব্যবসা করে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।
এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এর মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (সিভিল কনস্ট্রাকশন), প্লাম্বিং, মোটরসাইকেল সার্ভিসিং, ব্লক-বুটিক অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং, সুইং মেশিন অপারেশন ও টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, ওয়েল্ডিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ও আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে বিষয়ভেদে এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ বিষয়গুলোতে আবেদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবেদনকারীকে অষ্টম শ্রেণি পাসসহ কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এসব প্রশিক্ষণে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলো থেকে বা স্টেপের ওয়েবসাইট (www.step-dte.gov.bd) থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে এবং আবেদনপত্রে প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, কর্মস্থলের ঠিকানা, পদবি, পছন্দের বিষয়, জন্মতারিখ এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কর্মের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, পরীক্ষা পাসের সনদসহ লিখিত আবেদনপত্র প্রার্থীর নিকটস্থ বা পছন্দের কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বরাবর জমা দিতে হবে। জিল্লুর রহমান জানান, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই দুই দিনে মূলত তাঁদেরকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর তৃতীয় দিনে প্রার্থীরা হাতেকলমে যে কাজগুলো করবেন, তার মূল্যায়ন করা হবে। এই প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন মো. ফরিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি প্যাকেজিং বাংলাদেশ ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সনদ। এই সনদ থাকলে কাউকে চাকরির জন্য সুপারিশ করতে হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদেরকে অনেক মূল্যায়ন করেন এবং খুব সহজেই উচ্চ পদে যাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন কলকারখানায় ওয়ারিংয়ের কাজ করেও ভালো মজুরি পাওয়া যায় বলে জানান ফরিদ হোসেন।
বিস্তারিত জানতে
বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুর-২, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৫-১৫৮১৫৩।
স্টার বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর। মোবাইল: ০১৭২৭-২২৮০৪১।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ২২৪/৩২৯, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৭৭৬-৫২৭৪৫৭।
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, সাগরিকা রোড, ব্লক-বি, বেসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৮১৬-৬০৯৪৭২।
খুলনা শিপইয়ার্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, রূপসা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৮-৬২৭০৪৮।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দারুস সালাম, মিরপুর, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৬-৭৪০৭৪৪।
ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ভিটিটিআই) শেরপুর রোড, বগুড়া। মোবাইল: ০১৯১৬-১২৫৫৪৬।
ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইটি), হারাগাছা রোড, শালবন, রংপুর। মোবাইল: ০১৭১২-১৯০১২২।
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি) নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৭১১-২৭৩৭০৮।
ইউসেপ-ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল, প্লট নম্বর ২ ও ৩, মিরপুর-২, ঢাকা ১২১৬। মোবাইল: ০১৮১৯-১৪৫১৫৮।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দেশ-বিদেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে দুবার তিন দিন করে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা সনদ দেবে বলে জানিয়েছে। দেশের মোট ১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতি বিষয়ে ১০ জন করে প্রশিক্ষণার্থী এসব প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। স্টেপের যোগাযোগ পরামর্শক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে-বিদেশে এখন দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তির অনেক চাহিদা আছে। আর এই প্রশিক্ষণ সনদ থাকলে কাউকে বেকার থাকতে হবে না। তাই এই সনদ একজন কর্মীকে আরও দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। জিল্লুর রহমান আরও বলেন, এই সনদ থাকলে দেশে-বিদেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হবে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণটি নিয়ে কেউ চাইলে নিজে উদ্যোগী হয়েও ব্যবসা করে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।
এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এর মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (সিভিল কনস্ট্রাকশন), প্লাম্বিং, মোটরসাইকেল সার্ভিসিং, ব্লক-বুটিক অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং, সুইং মেশিন অপারেশন ও টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, ওয়েল্ডিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ও আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে বিষয়ভেদে এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ বিষয়গুলোতে আবেদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবেদনকারীকে অষ্টম শ্রেণি পাসসহ কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এসব প্রশিক্ষণে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলো থেকে বা স্টেপের ওয়েবসাইট (www.step-dte.gov.bd) থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে এবং আবেদনপত্রে প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, কর্মস্থলের ঠিকানা, পদবি, পছন্দের বিষয়, জন্মতারিখ এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কর্মের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, পরীক্ষা পাসের সনদসহ লিখিত আবেদনপত্র প্রার্থীর নিকটস্থ বা পছন্দের কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বরাবর জমা দিতে হবে। জিল্লুর রহমান জানান, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই দুই দিনে মূলত তাঁদেরকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর তৃতীয় দিনে প্রার্থীরা হাতেকলমে যে কাজগুলো করবেন, তার মূল্যায়ন করা হবে। এই প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন মো. ফরিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি প্যাকেজিং বাংলাদেশ ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সনদ। এই সনদ থাকলে কাউকে চাকরির জন্য সুপারিশ করতে হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদেরকে অনেক মূল্যায়ন করেন এবং খুব সহজেই উচ্চ পদে যাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন কলকারখানায় ওয়ারিংয়ের কাজ করেও ভালো মজুরি পাওয়া যায় বলে জানান ফরিদ হোসেন।
বিস্তারিত জানতে
বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুর-২, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৫-১৫৮১৫৩।
স্টার বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর। মোবাইল: ০১৭২৭-২২৮০৪১।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ২২৪/৩২৯, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৭৭৬-৫২৭৪৫৭।
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, সাগরিকা রোড, ব্লক-বি, বেসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৮১৬-৬০৯৪৭২।
খুলনা শিপইয়ার্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, রূপসা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৮-৬২৭০৪৮।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দারুস সালাম, মিরপুর, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৬-৭৪০৭৪৪।
ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ভিটিটিআই) শেরপুর রোড, বগুড়া। মোবাইল: ০১৯১৬-১২৫৫৪৬।
ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইটি), হারাগাছা রোড, শালবন, রংপুর। মোবাইল: ০১৭১২-১৯০১২২।
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি) নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম। মোবাইল: ০১৭১১-২৭৩৭০৮।
ইউসেপ-ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল, প্লট নম্বর ২ ও ৩, মিরপুর-২, ঢাকা ১২১৬। মোবাইল: ০১৮১৯-১৪৫১৫৮।
Comments
Post a Comment