গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন শাইখ সিরাজ
কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ কৃষি ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় সুদীর্ঘ পথচলার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৫ সালে লাভ করেন দেশের অন্যতম সম্মানসূচক জাতীয় পুরস্কার একুশে পদক, ২০০৯ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ক্ষুধার বিরুদ্ধে সফল ও কৃতিত্বপূর্ণ সাংবাদিকতার জন্য এএইচ বুর্মা অ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অর্ধশতাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
শাইখ সিরাজের গণমাধ্যম পেশার সঙ্গে সংযুক্তি গত শতকের সত্তরের দশকে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে টানা ১৪ বছর মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান করে তিনি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। এ দেশে পতিত পুকুরের মাছ চাষ, খাঁচায় হাঁস-মুরগি পালন, বাড়ির আঙিনা ও ছাদে সবজি চাষ, কাজি পেয়ারার চাষ, ধান ও পাটের বাইরে সমন্বিত কৃষিকাজ, উচ্চমূল্যের ফসল আবাদের মতো কৃষি কৌশলের সফল সম্প্রসারক শাইখ সিরাজ। এ সম্প্রসারণ কাজে সহায়ক হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন টেলিভিশন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গণমুখী তৎপরতারও এক নতুন ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত চ্যানেল আইতে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ ও হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ডাক অনুষ্ঠান করছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি চ্যানেল আই পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রতিদিনের বিশেষায়িত কৃষি সংবাদ ও জাতীয় সংবাদের সঙ্গে কৃষি সংবাদকে অপরিহার্য করে এক নতুন নজির প্রতিষ্ঠা করেন। শাইখ সিরাজ এ দেশের কৃষককে অধিকার সচেতন করে তোলা, কৃষকের সঙ্গে সরকার ও নীতিনির্ধারকের সেতুবন্ধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক সফল ও বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সেরা অনুশীলনগুলো দেশের কৃষিতে যুক্ত করতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন সারা পৃথিবীর কৃষির ক্রমবিকাশ ও উৎকর্ষকে সর্বজনীন করে তোলার। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আজকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার দিকনির্দেশনা অনুসন্ধানে সব সময় সক্রিয় তিনি। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে আজকের বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুততম ও কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে তিনি খাদ্য নিরাপত্তার দারিদ্র্য নিরসন ও কৃষি উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। তিনি চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে
Comments
Post a Comment