দুনিয়ায় কি আসলেই এলিয়েন বা ভিন গ্রহের কোন প্রাণীর অস্তিত্ব আছে? এমন
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সারা বিশ্বের মানুষ কোটি কোটি ডলার খরচ করছে।
বিজ্ঞানীরা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ওই দূর আকাশের দিকে চোখ রেখে সময়
পাড় করছেন। কিন্তু এ প্রশ্নের শতভাগ খাঁটি কোন উত্তর এখনও আসে নি।
বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন দেশ, এলাকা থেকে খবর পাওয়া যায় ফ্লাইং সসারে বা
ইউএফওতে করে তারা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এ নিয়ে নানা মিথ প্রচলিত। এ
কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে অনেক হলিউডি ছায়াছবি। এবার বিজ্ঞানীরা
এলিয়েনের জীবনাচরণ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। এলিয়েন যদি থেকেই থাকে তাহলে
কিভাবে তারা বংশ বিস্তার করে, তাদেরও কি মানুষের মতো শারীরিক সম্পর্কের ফলে
বংশানুক্রম টিকে আছে? এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এলিয়েন সম্পর্কে যে ধারণা
দিয়েছেন তাতে তাদের শরীর সবুজ। তবে কি একটি সবুজ দেহের অধিকারী কোন পুরুষ
এলিয়েনের সঙ্গে সবুজ দেহের অধিকারী একটি নারী এলিয়েনের শারীরিক সম্পর্কের
ফলে জন্ম হয় আরেকটি ছোট্ট সবুজ শিশু? এখনও এ প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেন
নি। কারণ, মানুষ এখন পর্যন্ত মহাশূন্য জয় করলেও কোন এলিয়েনের সন্ধান পায়
নি, পায় নি তাদের শারীরিক চাহিদার বিষয়ে কোন তথ্য। কিন্তু বিবর্তন বিষয়ক
শীর্ষ একজন জীববিজ্ঞানী কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কিভাবে এলিয়েনদের
মধ্যে ভালবাসা হয়, শারীরিক সম্পর্ক হয় সে বিষয়ে। তিনি হলেন ড. সারাহ অটো।
ইউনিভার্সিটি অব বৃটিশ কলম্বিয়ার জীববিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কেন্দ্রের
পরিচালক তিনি। তিনি বলেন, এর আগে এলিয়েনদের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে ভাবি
নি। কিন্তু আমার মনে হলো এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌতুহল উদ্দীপক বিষয়।
আমরা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিবর্তনের চার শত কোটি বছরের ইতিহাস সম্পর্কে
জানি। আমরা যদি অন্য গ্রহে এমন বিষয় চিন্তা করি তাহলে কি পূর্বাভাষ দেব? এ
মাসের শুধুতে আমেরিকার একজন নারী নাইরা তেরেলা ইসলে অভিযোগ করেছেন সরীসৃপ
আকৃতির এলিয়েনরা তাকে ধর্ষণ করেছে তাদের ঘাঁটিতে নিয়ে। তার এ অভিযোগ কতটা
সত্য তা বিজ্ঞজনদের গবেষণার বিষয়। তবে এটা বলা যায়, সম্ভবত মানুষের সঙ্গে
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কোন আগ্রহ হয়তো এলিয়েনদের নেই। কারণ, আমাদের
শারীরিক গঠন তাদের থেকে আলাদা। ধারণা করা হয়, এলিয়েনরা নিয়ন্ত্রিত হয়
বাইনারি কোন ব্যবস্থাপনায়। মানুষের সঙ্গে তাদের মোটেও মিল নেই। তাই তাদের
মধ্যে যে জৈবিক ক্ষুধা তৈরি হয় তা পুরোপুরি আলাদা। এটা তাদের ধরনের মাধ্যমে
বিবর্তিত হয়ে থাকতে পারে। ড. অটো বলেন, কোন গ্রহে দু’ ধরণের লিঙ্গের বসবাস
আলাদাভাবে থাকাটা সম্ভব নয়। পৃথিবীতেও নারী ও পুরুষের আলাদা বসবাস সম্ভব
নয়। আর তো অন্য গ্রহে। যদি তা-ই না হয় তাহলে এলিয়েনরা শারীরিক সম্পর্কে
মিলিত হয়। নারী ও পুরুষ এলিয়েন কোন গ্রহে থাকলে তারা এক সঙ্গে বসবাস করে।
যদি তা-ই করে তাহলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকা খুবই সম্ভব।
এক্ষেত্রে তারা হয়তো নিজেদের মতো করে সঙ্গী বেছে নেয়।
Comments
Post a Comment