বেলুন চক্র
আকাশে বেলুন উড়িয়ে তা থেকে মানুষকে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে কাজ শুরু করেছে গুগল। এ প্রকল্পের নাম লুন। আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্ট্রাটোস্ফিয়ারে (৬০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায়) ইন্টারনেট সুবিধার এ বেলুনের একটি বিশেষ চক্র তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বেলুনের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে পড়া বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ইন্টারনেটের আওতায় চলে আসবে।
গুগল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার তিনটি টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে ইন্টারনেট বেলুন পরীক্ষা করে দেখার চুক্তি করেছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাও গুগলের সঙ্গে ইন্টারনেট বেলুন নিয়ে একটি চুক্তি করে।
২০১৩ সালে ইন্টারনেট বেলুন প্রকল্পের কথা প্রথম প্রকাশ করে গুগল। এ পদ্ধতিতে বেলুনের সঙ্গে একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট বিম করতে পারে এমন যন্ত্র ও জিপিএস ট্র্যাকার যুক্ত থাকে। এতে দুটি রেডিও ট্রানসরিসিভার ও একটি ব্যাকআপ রেডিও থাকে। এতে উচ্চতা নিয়ন্ত্রক যন্ত্রও থাকে। সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পুরো সিস্টেম চলে। এ বেলুন থেকে নেটওয়ার্ক পেতে ভূমিতে একটি বিশেষ অ্যানটেনা বসাতে হবে। থ্রিজির গতিতে ডেটা স্থানান্তর করার কথা বলা হলেও গুগলের দাবি এ বেলুন দিয়ে যে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে তার গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১০ এমবিপিএস।
লুন প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক ক্যাসিডি বিবিসিকে বলেছেন, এর আগে আকাশে একটি বেলুন বড়জোর ১০দিন থাকত। কিন্তু গুগলের তৈরি এ বেলুন কমপক্ষে ১৮৭দিন পর্যন্ত আকাশে থাকতে সক্ষম। এ ছাড়া বেলুন ওড়াতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে। বেলুনের মধ্যে হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি করে ছেড়ে দিলে তা ৬০ হাজার ফুট উঁচুতে যাবে। সারা বিশ্ব পরিভ্রমণ করার জন্য ৩০০টির মতো বেলুন লাগবে। একটি যদি বাতাসের কারণে আওতার বাইরে চলে যায় তবে আরেকটি তার জায়গা নেবে। এভাবে একটি পুরো বিশ্বজুড়ে একটি বেলুন চক্র গড়ে তোলা যাবে। ২০১৬ সাল নাগাদ এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ড্রোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিতে এ রকম একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি
গুগল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার তিনটি টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে ইন্টারনেট বেলুন পরীক্ষা করে দেখার চুক্তি করেছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাও গুগলের সঙ্গে ইন্টারনেট বেলুন নিয়ে একটি চুক্তি করে।
২০১৩ সালে ইন্টারনেট বেলুন প্রকল্পের কথা প্রথম প্রকাশ করে গুগল। এ পদ্ধতিতে বেলুনের সঙ্গে একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট বিম করতে পারে এমন যন্ত্র ও জিপিএস ট্র্যাকার যুক্ত থাকে। এতে দুটি রেডিও ট্রানসরিসিভার ও একটি ব্যাকআপ রেডিও থাকে। এতে উচ্চতা নিয়ন্ত্রক যন্ত্রও থাকে। সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পুরো সিস্টেম চলে। এ বেলুন থেকে নেটওয়ার্ক পেতে ভূমিতে একটি বিশেষ অ্যানটেনা বসাতে হবে। থ্রিজির গতিতে ডেটা স্থানান্তর করার কথা বলা হলেও গুগলের দাবি এ বেলুন দিয়ে যে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে তার গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১০ এমবিপিএস।
লুন প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক ক্যাসিডি বিবিসিকে বলেছেন, এর আগে আকাশে একটি বেলুন বড়জোর ১০দিন থাকত। কিন্তু গুগলের তৈরি এ বেলুন কমপক্ষে ১৮৭দিন পর্যন্ত আকাশে থাকতে সক্ষম। এ ছাড়া বেলুন ওড়াতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে। বেলুনের মধ্যে হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি করে ছেড়ে দিলে তা ৬০ হাজার ফুট উঁচুতে যাবে। সারা বিশ্ব পরিভ্রমণ করার জন্য ৩০০টির মতো বেলুন লাগবে। একটি যদি বাতাসের কারণে আওতার বাইরে চলে যায় তবে আরেকটি তার জায়গা নেবে। এভাবে একটি পুরো বিশ্বজুড়ে একটি বেলুন চক্র গড়ে তোলা যাবে। ২০১৬ সাল নাগাদ এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ড্রোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিতে এ রকম একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি
Comments
Post a Comment