মবিনকে প্রধানমন্ত্রী ‘বেইমান’ বলেছিলেন
ঢাকা: রাজনীতি থেকেই অবসরে যাওয়া শমসের মবিন চৌধুরীকে তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ‘বেইমান’ বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের আগস্টে কৃষক লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী একজন বেইমান। বঙ্গবন্ধু তাকে জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করেছিলেন শমসের মবিন।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে পুনর্বাসন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পুনর্বাসনের ওই দায়িত্ব পড়েছিলো আজকের শমসের মবিন চৌধুরীর ওপর।
‘তাকে (শমসের মবিন চৌধুরীকে) বঙ্গবন্ধু জার্মানিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বেইমান চিরকালই বেইমান। এটা হয়তো অনেকে জানেন না,’ এভাবেই শমসের মবিন চৌধুরী সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
যেভাবে আহত হয়েছিলেন শমসের মবিন
একাত্তরে সেনাবাহিনীতে ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। ২৫ মার্চ তাকে চট্টগ্রামে জনতার ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে রাতে বাঙালি অন্য সেনা সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে ২৬ মার্চ ভোরে কালুরঘাট পৌঁছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করেন তিনি।
১১ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী কালুরঘাটে হামলা করলে বাঙালি অন্য অফিসাররা সরে যেতে পারলেও পাকিস্তানী গোলায় আহত হন শমসের মবিন। তখন আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের প্রস্তুতির মধ্যেই ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে তিনি মুক্তি পান। তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তবে কোমরে গুলি লাগায় তিনি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনীতে মেজর পদে থাকা অবস্থায় তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠান।
শেখ হাসিনার মতো তার অনেক সহকর্মীও বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী তার প্রতিদান দিয়েছেন।
চাকুরি জীবন শেষে বিএনপিতে
জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবারের সঙ্গে সবসময়ই ঘনিষ্ঠ ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতাতেই পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রদূতের চাকরি জীবন শেষে ২০০৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অনেক কর্মকর্তার অভিযোগ, সরকারি চাকরি করার সময়ও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করে সেখানকার বিএনপি নেতাদেরও তটস্থ অবস্থায় রেখেছিলেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
গত বছর তারেক রহমানের সঙ্গে তার একটি টেলিসংলাপ ফাঁস হয়ে গেলেও তিনি আলোচনায় আসেন।
বিএনপির কয়েকজন নেতা অবশ্য বলছেন, তারেক রহমানের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই বিএনপি এবং রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সবসময়ই আলোচনায় থাকা এবং আলোচনার জন্ম দেয়া শমসের মবিন চৌধুরী
গত বছরের আগস্টে কৃষক লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী একজন বেইমান। বঙ্গবন্ধু তাকে জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করেছিলেন শমসের মবিন।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে পুনর্বাসন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পুনর্বাসনের ওই দায়িত্ব পড়েছিলো আজকের শমসের মবিন চৌধুরীর ওপর।
‘তাকে (শমসের মবিন চৌধুরীকে) বঙ্গবন্ধু জার্মানিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বেইমান চিরকালই বেইমান। এটা হয়তো অনেকে জানেন না,’ এভাবেই শমসের মবিন চৌধুরী সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
যেভাবে আহত হয়েছিলেন শমসের মবিন
একাত্তরে সেনাবাহিনীতে ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। ২৫ মার্চ তাকে চট্টগ্রামে জনতার ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে রাতে বাঙালি অন্য সেনা সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে ২৬ মার্চ ভোরে কালুরঘাট পৌঁছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করেন তিনি।
১১ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী কালুরঘাটে হামলা করলে বাঙালি অন্য অফিসাররা সরে যেতে পারলেও পাকিস্তানী গোলায় আহত হন শমসের মবিন। তখন আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের প্রস্তুতির মধ্যেই ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে তিনি মুক্তি পান। তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তবে কোমরে গুলি লাগায় তিনি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনীতে মেজর পদে থাকা অবস্থায় তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠান।
শেখ হাসিনার মতো তার অনেক সহকর্মীও বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী তার প্রতিদান দিয়েছেন।
চাকুরি জীবন শেষে বিএনপিতে
জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবারের সঙ্গে সবসময়ই ঘনিষ্ঠ ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতাতেই পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রদূতের চাকরি জীবন শেষে ২০০৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অনেক কর্মকর্তার অভিযোগ, সরকারি চাকরি করার সময়ও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করে সেখানকার বিএনপি নেতাদেরও তটস্থ অবস্থায় রেখেছিলেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
গত বছর তারেক রহমানের সঙ্গে তার একটি টেলিসংলাপ ফাঁস হয়ে গেলেও তিনি আলোচনায় আসেন।
বিএনপির কয়েকজন নেতা অবশ্য বলছেন, তারেক রহমানের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই বিএনপি এবং রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সবসময়ই আলোচনায় থাকা এবং আলোচনার জন্ম দেয়া শমসের মবিন চৌধুরী
Comments
Post a Comment