সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের মধ্যে বেশির ভাগ দেখা দেয় ব্রেস্ট
ক্যান্সার। কিন্তু এখন তা দেখা যাচ্ছে যুবতী, এমনকি কিশোরীদের মাঝেও। এর
কারণ কি তা নির্ধারণে চিকিৎসকরা দ্বিধাবিভক্ত। তারা বলতে পারছেন না এর কারণ
জেনেটিক না কি জীবন যাপনের ধরণ। সম্প্রতি দিল্লিতে ১৯ বছর বয়সী এক যুবতীর
ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়েছে। প্রতি বছরই এ রকম দুই থেকে তিনটি ঘটনা
ধরা পড়ছে প্রতিটি হাসপাতালে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে
বলা হয়েছে, কিশোরীদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঘটনা বিরল হলেও
কয়েমবাটোরে শ্রী রামকৃষ্ণ ইন্সটিটিউট অব অনকোলজি অ্যান্ড রিচার্স থেকে তথ্য
মিলছে যে,ত ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের হার
এক দশকে শতকরা ৩ ভাগ থেকে বেড়ে ৮ ভাগে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে দ্য ইন্ডিয়ান
কাউন্সিল অব মেডিকেল রিচার্সের রেজিস্ট্রিও এমন প্রবণতার সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের গত ২০ বছরে ব্রেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ শতকরা ৫ ভাগ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা
১৫ ভাগে। কয়েমবাটোরের কোভাই মেডিকেল সেন্টারের রেকর্ড বলছে, নারীদের জন্য
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো ৩৫ পরবর্তী সময়। এটাকে তাদের জন্য ডেঞ্জার
জোন হিসেবে ধরা হয়। ওই সেন্টারের চিকিৎসক রুপা রেঙ্গানাথান বলেছেন, আমাদের
এখানে এ সমস্যা নিয়ে যত রোগি আসেন তার মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগের বয়স ৪০ বছরের
নিচে। এখন থেকে সাত বছর আগে এ বয়সসীমার যত রোগি আসতেন তার মধ্যে এ সংখ্যা
শতকরা ১০ ভাগ। ভারতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্যান্সার রেজিস্ট্রি করায় ঘাতটি
আছে। তবে কি করণে ক্যান্সার সৃষ্টি হচ্ছে তা এখনও অনেকটাই অজানা থেকে
যাচ্ছে। তবে অনেক অনকোলজিস্ট বিশ্বাস করেন, জীবনধারার পরিবর্তনের সঙ্গে
সঙ্গে হরমনও পরিবর্তন হচ্ছে। জি কুপুস্বামী নাইডু মেমোরিয়াল হাসপাতালের
অনকোলজিস্ট আনন্দ নারায়ণ বলেন, এসবের একটি কারণ হতে পারে মানুষ মুটিয়ে
যাওয়া। ডায়েটারি ফ্যাট বৃদ্ধির ফলে হরমোন পরিবর্তন হতে পারে। এস্ট্রোজেন
অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য এই
হরমোনটি বড় ধরনের ঝুঁকি বহন করে
Comments
Post a Comment