নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে চলাফেরার ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। গতকাল সোমবার ভ্রমণবিষয়ক হালনাগাদ বার্তায় দেশ দুটি তাদের নাগরিকদের ভিড় আছে—এমন পরিবেশে চলাফেরা সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি আছে, এমন আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ঢাকায় আসা পিছিয়ে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট দল। গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার হালনাগাদ বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য তথ্যে জানা গেছে।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হলেও ক্রিকেট দলটির বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ঢাকা সফররত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি ও আশ্বাসের বিষয়গুলো তারা অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানাবে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণবিষয়ক বার্তাটি হালনাগাদ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য নতুন তথ্যে জানা গেছে। এ ধরনের হামলা হলে মার্কিন নাগরিকসহ অন্য বিদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। হুমকি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে বিদেশিরা সমবেত হন, এমন স্থানে যাওয়া সীমিত করতে মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করেছে। আর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যদের দূতাবাসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। গত রাতে কূটনৈতিক সূত্র প্রথম আলোকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাজ্য তাদের ভ্রমণবিষয়ক হালনাগাদ বার্তায় উল্লেখ করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জঙ্গিরা বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। বিদেশিরা উপস্থিত হন এমন স্থানে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বৈঠকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তাপ্রধান শন ক্যারলের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্রসচিব, র্যাব ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বা প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এলে তাদের ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এরপরও বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে, তাও দিতে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদল তাদের ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট দলের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপগুলো জানানো হয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানানো হবে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সমস্যা কী? অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এ কারণে তাঁরা আসতে চাচ্ছেন না। এ বিষয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াকে বলেছি, তোমরা টিম পাঠাও। আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা দেব। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না।’
অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদলটি গতকাল বিকেলে র্যাবের সঙ্গে উত্তরায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বৈঠক করে
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি আছে, এমন আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ঢাকায় আসা পিছিয়ে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট দল। গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার হালনাগাদ বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য তথ্যে জানা গেছে।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হলেও ক্রিকেট দলটির বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ঢাকা সফররত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি ও আশ্বাসের বিষয়গুলো তারা অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানাবে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণবিষয়ক বার্তাটি হালনাগাদ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য নতুন তথ্যে জানা গেছে। এ ধরনের হামলা হলে মার্কিন নাগরিকসহ অন্য বিদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। হুমকি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে বিদেশিরা সমবেত হন, এমন স্থানে যাওয়া সীমিত করতে মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করেছে। আর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যদের দূতাবাসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। গত রাতে কূটনৈতিক সূত্র প্রথম আলোকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাজ্য তাদের ভ্রমণবিষয়ক হালনাগাদ বার্তায় উল্লেখ করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জঙ্গিরা বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। বিদেশিরা উপস্থিত হন এমন স্থানে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বৈঠকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তাপ্রধান শন ক্যারলের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্রসচিব, র্যাব ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বা প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এলে তাদের ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এরপরও বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে, তাও দিতে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদল তাদের ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট দলের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপগুলো জানানো হয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানানো হবে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সমস্যা কী? অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এ কারণে তাঁরা আসতে চাচ্ছেন না। এ বিষয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াকে বলেছি, তোমরা টিম পাঠাও। আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা দেব। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না।’
অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদলটি গতকাল বিকেলে র্যাবের সঙ্গে উত্তরায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বৈঠক করে
Comments
Post a Comment