জাতিসংঘে আজ থেকে উড়বে ফিলিস্তিনি পতাকা


অবশেষে আজ থেকে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে উড়তে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা। দিনটিকে ফিলিস্তিনি নেতারা আখ্যায়িত করেছেন ‘সবচেয়ে আবেগময় ও গর্বের একটি দিন’। এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ও ভ্যাটিক্যান সিটির পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। এমনকি প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোটও দিয়েছিল দেশটি। একই অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্র সহ ৬টি দেশের। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হাফিংটন পোস্টে লিখেছেন, এ যুগান্তরী উদ্যোগের পক্ষে বিশ্ব যেদিন ভোট দিয়েছে, সেদিন ফিলিস্তিনি জনগণের মাঝে গর্বের ছোঁয়া ছিল অভুতপূর্ব। তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে, যেদিন আমাদের পতাকাও জাতিসংঘে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি উড়বে, সেদিনটি হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে আবেগময় গর্বের দিন। নিজের লেখা নিবন্ধে তিনি ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের একটি বহুমুখী সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমার জনগণকে আশার চেয়েও আরও বেশি কিছু দিতে হবে জাতিসংঘের। প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের প্রস্তাবটির পক্ষে ১১৯টি দেশের ভোট পড়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল ৪৫টি দেশ। বিপক্ষে ছিল মাত্র ৬টি দেশ। 
জাতিসংঘের ইসরাইলের প্রতিনিধি রন প্রসর বলেন, ওই পদক্ষেপ ছিল জাতিসংঘকে ছিনতাই করার একটি নগ্ন প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, যে উপায়ে ফিলিস্তিনিরা রাষ্ট্রত্ব অর্জন করতে পারে, তা হলো সরাসরি আলোচনা। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সংস্থাটিতে ফিলিস্তিনের মর্যাদা পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রে উন্নীত করে। তবে এর আগের বছর ২০১১ সালে ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হবার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সাধারণ পরিষদে ব্যাপক সমর্থন পেলেও, নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থনের অভাবে সে প্রস্তাব আটকে যায়। গতকাল জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল আব্বাসের। আজ ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানেয়াহু। সাম্প্রপ্তিক কয়েক বছরে মসজিদ উল আকসাকে ঘিরে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ইসরাইলী পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি গতকালও গাজায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

Comments