দিনটা বড় ছিল এক সেকেন্ড

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাঁদের ছুটতে হয়, গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা বুঝি একটু বাড়তি সময় পেলেন! কেননা আর পাঁচটা দিনের চেয়ে গতকালের দিনটা ছিল এক সেকেন্ড বড়। ৩০ জুনের শেষ মিনিটটি তাই গড়াল ৬১ সেকেন্ডে। বিজ্ঞানীরা এই অতিরিক্ত সময়কে বলছেন ‘লিপ সেকেন্ড’। খবর গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ক্রমেই কমছে। তাই পারমাণবিক ঘড়ির (অত্যন্ত নিখুঁত সময় দেওয়ার জন্য খ্যাত) সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্যই ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করতে হয়।
ঘড়ির সময়ের সঙ্গে এই অতিরিক্ত এক সেকেন্ড যোগ করার ফলে কম্পিউটারব্যবস্থায় কিছু সমস্যা হতে পারে বলে উদ্বেগও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে বিজ্ঞানীদের একাংশ বলেছেন, এ ধরনের কারিগরি বাধা মোকাবিলা করা সম্ভব।
প্রথম লিপ সেকেন্ড যুক্ত করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্স ল্যাবরেটরির গবেষক পিটার হুইবার্লি বলেন, সময় মেনে চলার ক্ষেত্রে তাঁরা পৃথিবীর আবর্তনকেই সব সময় চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েছেন।

Comments