ব্রাজিলের গম শেষ করতে তড়িঘড়ি
ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত ২ লাখ টন গমের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার টন গম তড়িঘড়ি করে বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় এ গম দ্রুত শেষ করছে। টিআর ও কাবিখা কর্মসূচিতে এসব গম দেদারসে দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে খোলা বাজারে নিম্নমানের আটা দেয়া হচ্ছে। তবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের গম গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলেও ১৫ দিন পর খারাপ প্রতিক্রিয়া পেয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। ওই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত গম গন্ধযুক্ত বলে ওএমএস ডিলাররা ওই গম থেকে উৎপাদিত আটা নিচ্ছেন না। ফলে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৫ দিন ধরে ওএমএসের মাধ্যমে আটা বিক্রি বন্ধ রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ ও এপ্রিলে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের রেশনের জন্য নিম্নমানের গম দেয়া হয়। গন্ধযুক্ত এ গমের অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানায় এসব বাহিনী। কিন্তু এ চিঠির বিষয়ে কোন সাড়া দেয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য বিভাগ। এরপর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানায়। এরপরই গম কেলেঙ্কারির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো চিঠি দিয়ে জানায়, ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত দুই লাখ টন পচা গমের আকার সরু। ওই দেশে এ গমটি জিরা নামে পরিচিত। এই গম ব্রাজিলে সাধারণত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পরীক্ষায় ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত গম অত্যন্ত নিম্নমানের প্রমাণিত হলেও খাদ্য মন্ত্রণালয় সেই গমকে ভাল বলছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব পরীক্ষার বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, এই গম খাওয়ার উপযোগী। তবে আমদানি করা গম নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর তিনটি পরীক্ষাগারে গমগুলো পরীক্ষা করা হলেও গম খাওয়ার যোগ্য কি-না বা এর মধ্যে কোন বিষাক্ত পদার্থ আছে কি-না দেশে সেই ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি। সবচেয়ে জরুরি পরীক্ষা না করেই খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা এবং আমদানি করা গম বাজারে না ছাড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের। এদিকে ব্রাজিলের গম নিয়ে তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে। গত রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে এ গম খাবার উপযোগী বলে দাবি করা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব পরীক্ষার বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, এই গম খাওয়ার উপযোগী। তবে আমদানি করা গম নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর তিনটি পরীক্ষাগারে গমগুলো পরীক্ষা করা হলেও গম খাওয়ার যোগ্য কি-না বা এর মধ্যে কোন বিষাক্ত পদার্থ আছে কি-না দেশে সেই ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি। সবচেয়ে জরুরি পরীক্ষা না করেই খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা এবং আমদানি করা গম বাজারে না ছাড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের। এদিকে ব্রাজিলের গম নিয়ে তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে। গত রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে এ গম খাবার উপযোগী বলে দাবি করা হয়।
Comments
Post a Comment