কে শোনে কার কথা?
১৫ থেকে ২০টি সংগঠন। অন্তত ২০টি মাইক। তীব্র শব্দে কানপাতা দায়। কেউ কারও কথা শুনছে না। একের পর এক সংগঠন
আসছে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আবার চলেও যাচ্ছে। স্থান সংকুলান নেই। তাই কিছু সংগঠনের নেতাকর্মী আছেন অপেক্ষায়। কখন তাদের সুযোগ হবে। এই ছিল গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রেস ক্লাব ও তার আশপাশের চিত্র। এ যেন নচিকেতার গানের মতো। ...শব্দ দূষণ প্রতিকার এটাতো বিজ্ঞাপনের কথা, ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে নেই কারও মাথাব্যথা...।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাব ও তার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সংগঠনগুলো মানববন্ধনে ব্যস্ত। একই সঙ্গে উচ্চস্বরে চলছে ভাষণের নামে প্রবল চিৎকার। দাবি না মানলে কদিন পর শুরু হবে প্রবল আন্দোলন, অনশন মিছিল। দাবি মানতেই হবে, না হয় দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। মানববন্ধন ও সমাবেশের মূল বক্তব্য ছিল এসবই। মানববন্ধনের সীমারেখা পেরিয়ে যায় প্রেস ক্লাবের ২ নম্বর গেট থেকে মূল গেটের সড়ক পার হয়ে পল্টন অভিমুখী সচিবালয়ে ঢোকার রাস্তা পর্যন্ত। আর যারা এ সীমারেখায় দাঁড়াতে পারেনি তাদের অনেকেই চলে যান প্রেস ক্লাবের উল্টো পাশের সড়কে। সেখানেও বেশ কিছু সংগঠনকে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করতে দেখা যায়। এমন অবস্থায় প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়মিত যারা অবস্থান করেন বিশেষ করে হকার ও চায়ের দোকানিরা বলছেন, সাধারণত শুক্রবারে প্রেস ক্লাব এলাকা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে সরব থাকে। কিন্তু আজ (গতকাল) মনে হয় লোকসমাগম ও কর্মসূচি একটু বেশিই। মাইকের প্রবল চিৎকারে এসময় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী নারী-পুরুষ ও গণপরিবহনের যাত্রীদের কেউ কেউ কানে আঙুল দিয়ে শব্দ দূষণ থেকে বাচার চেষ্টা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেস ক্লাবের উল্টো পাশের সড়কে অবস্থান নেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, সাগরে ভাসমান, বন্দিশিবির ও জেলাখানায় আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার, পাচারকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি। এ সংগঠনের কয়েকজন নেতা জানান, প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক আগেই ‘বুকড’ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা উল্টো পাশের রাস্তায় তাদের কর্মসূচি পালন করছেন। একই স্থানে বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন অয়োজন করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি। প্রেস ক্লাবের মূল গেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। এ মানববন্ধনে অন্তত কয়েকশ’ সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ারও আহবান নেতারা। একটানা দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলে। এ সংগঠনের কর্মসূচি চলাকালীন পাশেই ‘রাজধানীতে গারো আদিবাসী তরুণীর ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সমাবেশ’ করে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)। এখানে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। একই সময়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম মানববন্ধন, সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। প্রেস ক্লাবের ২ নম্বর গেটের পাশেই চা বিক্রেতা হাসনা বেগম বলেন, সকাল থাইক্যা মাইকের আওয়াজে কান ঝালাপালা। অন্য দিনের চেয়ে আইজকা (গতকাল) লোক বেশি। মাইকও বেশি। তয় সব সইয়া গেছে। প্রেস ক্লাবের সামনের শসা বিক্রেতা রবিন মিয়া বলেন, সকাল থেইক্যা একটানা চলতাছে। একদল আসে আরেক দল যায়। তাতে আমার সমস্যা নেই। আমার শসা বিক্রি দিয়া হইলো কথা। এতসব মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচির মাঝেও ব্যতিক্রম একজনের অবস্থান কর্মসূচি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মো. মোখলেছুর রহমান সাগর নামে তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজের এক শিক্ষার্থী একটি বাঁশে বেশকিছু প্লাকার্ড ঝুলিয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নেন একাই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের বিবেকের তাড়নায় আমি এখানে এসেছি। তবে, অনেক সংগঠনের মানববন্ধন ও সমাবেশের কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও তা সয়ে নিয়েছি।
আসছে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আবার চলেও যাচ্ছে। স্থান সংকুলান নেই। তাই কিছু সংগঠনের নেতাকর্মী আছেন অপেক্ষায়। কখন তাদের সুযোগ হবে। এই ছিল গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রেস ক্লাব ও তার আশপাশের চিত্র। এ যেন নচিকেতার গানের মতো। ...শব্দ দূষণ প্রতিকার এটাতো বিজ্ঞাপনের কথা, ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে নেই কারও মাথাব্যথা...।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাব ও তার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সংগঠনগুলো মানববন্ধনে ব্যস্ত। একই সঙ্গে উচ্চস্বরে চলছে ভাষণের নামে প্রবল চিৎকার। দাবি না মানলে কদিন পর শুরু হবে প্রবল আন্দোলন, অনশন মিছিল। দাবি মানতেই হবে, না হয় দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। মানববন্ধন ও সমাবেশের মূল বক্তব্য ছিল এসবই। মানববন্ধনের সীমারেখা পেরিয়ে যায় প্রেস ক্লাবের ২ নম্বর গেট থেকে মূল গেটের সড়ক পার হয়ে পল্টন অভিমুখী সচিবালয়ে ঢোকার রাস্তা পর্যন্ত। আর যারা এ সীমারেখায় দাঁড়াতে পারেনি তাদের অনেকেই চলে যান প্রেস ক্লাবের উল্টো পাশের সড়কে। সেখানেও বেশ কিছু সংগঠনকে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করতে দেখা যায়। এমন অবস্থায় প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়মিত যারা অবস্থান করেন বিশেষ করে হকার ও চায়ের দোকানিরা বলছেন, সাধারণত শুক্রবারে প্রেস ক্লাব এলাকা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে সরব থাকে। কিন্তু আজ (গতকাল) মনে হয় লোকসমাগম ও কর্মসূচি একটু বেশিই। মাইকের প্রবল চিৎকারে এসময় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী নারী-পুরুষ ও গণপরিবহনের যাত্রীদের কেউ কেউ কানে আঙুল দিয়ে শব্দ দূষণ থেকে বাচার চেষ্টা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেস ক্লাবের উল্টো পাশের সড়কে অবস্থান নেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, সাগরে ভাসমান, বন্দিশিবির ও জেলাখানায় আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার, পাচারকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি। এ সংগঠনের কয়েকজন নেতা জানান, প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক আগেই ‘বুকড’ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা উল্টো পাশের রাস্তায় তাদের কর্মসূচি পালন করছেন। একই স্থানে বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন অয়োজন করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি। প্রেস ক্লাবের মূল গেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। এ মানববন্ধনে অন্তত কয়েকশ’ সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ারও আহবান নেতারা। একটানা দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলে। এ সংগঠনের কর্মসূচি চলাকালীন পাশেই ‘রাজধানীতে গারো আদিবাসী তরুণীর ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সমাবেশ’ করে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)। এখানে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। একই সময়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম মানববন্ধন, সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। প্রেস ক্লাবের ২ নম্বর গেটের পাশেই চা বিক্রেতা হাসনা বেগম বলেন, সকাল থাইক্যা মাইকের আওয়াজে কান ঝালাপালা। অন্য দিনের চেয়ে আইজকা (গতকাল) লোক বেশি। মাইকও বেশি। তয় সব সইয়া গেছে। প্রেস ক্লাবের সামনের শসা বিক্রেতা রবিন মিয়া বলেন, সকাল থেইক্যা একটানা চলতাছে। একদল আসে আরেক দল যায়। তাতে আমার সমস্যা নেই। আমার শসা বিক্রি দিয়া হইলো কথা। এতসব মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচির মাঝেও ব্যতিক্রম একজনের অবস্থান কর্মসূচি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মো. মোখলেছুর রহমান সাগর নামে তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজের এক শিক্ষার্থী একটি বাঁশে বেশকিছু প্লাকার্ড ঝুলিয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নেন একাই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের বিবেকের তাড়নায় আমি এখানে এসেছি। তবে, অনেক সংগঠনের মানববন্ধন ও সমাবেশের কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও তা সয়ে নিয়েছি।
Comments
Post a Comment