বিএনপির বর্জন সত্ত্বেও জামায়াত নির্বাচনে ছিল
বিএনপি মাঝপথে ভোট বর্জন করলেও শেষ পর্যন্তই নির্বাচনে ছিল ২০-দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনে নারী-পুরুষ মিলিয়ে জামায়াত-সমর্থিত পাঁচজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের বিবৃতি এবং দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, তিন সিটি নির্বাচনে ‘ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির’ ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ব্যাপারে ভোটের দিন দুপুরে দলের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তাতে সিটি নির্বাচনকে ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের চেয়েও প্রহসনমূলক বলা হলেও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছিল না। ওই দিন সন্ধ্যায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে যে বিবৃতি পাঠান, তাতে ‘কলঙ্কজনক নির্বাচন’ প্রত্যাখ্যান করে নতুন সিটি নির্বাচনের দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে ২০-দলীয় জোটের নামে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এরপর জামায়াতের নামে আলাদা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। প্রসঙ্গত, তিন সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তৈরি হয়। এর রেশ ধরে জোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের প্রচারে মাঠে ছিল না জামায়াত। এমনকি জোটের সমন্বয় কমিটির সভাগুলোতেও যায়নি তারা। এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের মান ভাঙানোর উদ্যোগ নেয় বিএনপির নেতাদের একটি অংশ। তারই অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের প্রতিনিধি অংশ নেন। তবে দলটির সঙ্গে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নিয়ে বিএনপির কোনো সমঝোতা হয়নি। এ অবস্থায় জামায়াত এককভাবে নির্বাচন করে।
জামায়াত সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে জামায়াত সাধারণ ওয়ার্ডে ১৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাতজনসহ ২৬ জন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের মাসুদা আক্তার (ওয়ার্ড ১২, ১৩ ও ১৪), আমেনা বেগম (২২, ২৩ ও ৩৬) ও কাওসার জাহান (২৯, ৩০ ও ৩২) নির্বাচিত হন। আর চট্টগ্রামে মো. শফিউল আলম (৩৭ নম্বর ওয়ার্ড) ও ফারজানা ইয়াসমিন (সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড) জয়ী হন।
নির্বাচন বর্জনের পর জামায়াতের পাঁচজন কীভাবে জিতলেন জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শুধু জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরাই নন, বিএনপিরও তো অনেকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বলেন, এত নগ্নভাবে ভোট জালিয়াতি এবং ২০ দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পরও ঘোষিত ফলাফলে প্রমাণ করে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জামায়াতের সব প্রার্থীই জয়ী হতেন।
জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। অনেক কেন্দ্রে তাঁরা সরকার-সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হন, কোথাও কোথাও মারধরের শিকার হন, কোথাও কোথাও গ্রেপ্তারও হয়েছেন। তবে তাঁরা অনেক জায়গায় শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচনে ‘ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতির’ ঘটনায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ আছে। তবে নেতারা মনে করছেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয় বা বর্জন করা হলেও শেষ বিচারে ২০-দলীয় জোট লাভবান হয়েছে। এতে বর্তমান সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না, তা প্রমাণিত হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের জন্য জোটের চলমান আন্দোলনের দাবি ও যৌক্তিকতা একটা শক্ত ভিত্তি পেয়েছে।prothomalo
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের বিবৃতি এবং দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, তিন সিটি নির্বাচনে ‘ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির’ ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ব্যাপারে ভোটের দিন দুপুরে দলের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তাতে সিটি নির্বাচনকে ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের চেয়েও প্রহসনমূলক বলা হলেও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছিল না। ওই দিন সন্ধ্যায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে যে বিবৃতি পাঠান, তাতে ‘কলঙ্কজনক নির্বাচন’ প্রত্যাখ্যান করে নতুন সিটি নির্বাচনের দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে ২০-দলীয় জোটের নামে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এরপর জামায়াতের নামে আলাদা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। প্রসঙ্গত, তিন সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তৈরি হয়। এর রেশ ধরে জোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের প্রচারে মাঠে ছিল না জামায়াত। এমনকি জোটের সমন্বয় কমিটির সভাগুলোতেও যায়নি তারা। এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের মান ভাঙানোর উদ্যোগ নেয় বিএনপির নেতাদের একটি অংশ। তারই অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের প্রতিনিধি অংশ নেন। তবে দলটির সঙ্গে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নিয়ে বিএনপির কোনো সমঝোতা হয়নি। এ অবস্থায় জামায়াত এককভাবে নির্বাচন করে।
জামায়াত সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে জামায়াত সাধারণ ওয়ার্ডে ১৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাতজনসহ ২৬ জন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের মাসুদা আক্তার (ওয়ার্ড ১২, ১৩ ও ১৪), আমেনা বেগম (২২, ২৩ ও ৩৬) ও কাওসার জাহান (২৯, ৩০ ও ৩২) নির্বাচিত হন। আর চট্টগ্রামে মো. শফিউল আলম (৩৭ নম্বর ওয়ার্ড) ও ফারজানা ইয়াসমিন (সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড) জয়ী হন।
নির্বাচন বর্জনের পর জামায়াতের পাঁচজন কীভাবে জিতলেন জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শুধু জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরাই নন, বিএনপিরও তো অনেকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বলেন, এত নগ্নভাবে ভোট জালিয়াতি এবং ২০ দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পরও ঘোষিত ফলাফলে প্রমাণ করে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জামায়াতের সব প্রার্থীই জয়ী হতেন।
জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। অনেক কেন্দ্রে তাঁরা সরকার-সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হন, কোথাও কোথাও মারধরের শিকার হন, কোথাও কোথাও গ্রেপ্তারও হয়েছেন। তবে তাঁরা অনেক জায়গায় শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচনে ‘ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতির’ ঘটনায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ আছে। তবে নেতারা মনে করছেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয় বা বর্জন করা হলেও শেষ বিচারে ২০-দলীয় জোট লাভবান হয়েছে। এতে বর্তমান সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না, তা প্রমাণিত হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের জন্য জোটের চলমান আন্দোলনের দাবি ও যৌক্তিকতা একটা শক্ত ভিত্তি পেয়েছে।prothomalo
Comments
Post a Comment