ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পেল কীভাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো বিএনপির মতো একটি কুৎসিত দলকে ভোট দেবে না। ভবিষ্যতে দেশবাসী বিএনপিকে গতকালের (মঙ্গলবার) ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনের মতো প্রত্যাখ্যান করবে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে—বিএনপির এই অভিযোগ নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পেল কীভাবে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন এবং আহত ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে। বরং জনগণ তাদের চিরদিন ঘৃণা করবে। কারণ তারা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে এবং মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।’ তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু পরিবেশে সিটি নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি একটি বা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধিক সতর্কতার জন্য তারা এটা করতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়েও মঙ্গলবারের নির্বাচন অধিক শান্তিপূর্ণ ছিল। ২ হাজার ৭০০-এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ও কিছু বুথে গোলযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল মেয়র নয়, কাউন্সিলর পদেও সিটি নির্বাচন হয়েছে। এ জন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। হিসাব করলে দেখা যাবে পূর্ববর্তী নির্বাচন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের নির্বাচনী গোলযোগের চেয়ে মঙ্গলবারের ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল ২৫৮টি চেকে মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও আহত ব্যক্তিদের ৮ কোটি ৪১ লাখ এবং ৬৫ জন বাস মালিককে ২ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের সময় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ৭৭২টি চেকে ২৫ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার টাকা প্রদান করলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গত তিন মাস হত্যার নেশায় মেতে ছিলেন। মানুষের জীবন-জীবিকা অচল করে দিয়েছেন এবং ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পর মানুষ কীভাবে ওই দলটিকে ভোট দেবে?’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে (এমাজউদ্দীন) প্রশ্ন করি, তিনি জিয়ার হ্যাঁ ও না ভোট, তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বেগম জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছেন কি না? প্রকৃতপক্ষে তাঁরা তাঁদের নিজেদের ত্রুটি দেখতে পান না।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞে বিপুল জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে নীরব থাকেন।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন এবং আহত ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে। বরং জনগণ তাদের চিরদিন ঘৃণা করবে। কারণ তারা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে এবং মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।’ তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু পরিবেশে সিটি নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি একটি বা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধিক সতর্কতার জন্য তারা এটা করতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়েও মঙ্গলবারের নির্বাচন অধিক শান্তিপূর্ণ ছিল। ২ হাজার ৭০০-এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ও কিছু বুথে গোলযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল মেয়র নয়, কাউন্সিলর পদেও সিটি নির্বাচন হয়েছে। এ জন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। হিসাব করলে দেখা যাবে পূর্ববর্তী নির্বাচন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের নির্বাচনী গোলযোগের চেয়ে মঙ্গলবারের ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল ২৫৮টি চেকে মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও আহত ব্যক্তিদের ৮ কোটি ৪১ লাখ এবং ৬৫ জন বাস মালিককে ২ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের সময় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ৭৭২টি চেকে ২৫ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার টাকা প্রদান করলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গত তিন মাস হত্যার নেশায় মেতে ছিলেন। মানুষের জীবন-জীবিকা অচল করে দিয়েছেন এবং ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পর মানুষ কীভাবে ওই দলটিকে ভোট দেবে?’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে (এমাজউদ্দীন) প্রশ্ন করি, তিনি জিয়ার হ্যাঁ ও না ভোট, তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বেগম জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছেন কি না? প্রকৃতপক্ষে তাঁরা তাঁদের নিজেদের ত্রুটি দেখতে পান না।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞে বিপুল জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে নীরব থাকেন।
Comments
Post a Comment