“আওয়ামী লীগ করলে স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযোদ্ধা, আর না করলে মুক্তিযোদ্ধারাও হয়ে যায় রাজাকার।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, । বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন বাজি রেখেও শেষ পর্যন্ত আমরা হলাম রাজাকার। আর নেচে-গেয়ে অনেকে হলেন এমপি-মন্ত্রী।”
সোমবার অবস্থান কর্মসূচির ৬৩তম দিনে তার সাথে সংহতি প্রকাশ করতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবীর বলেন, “সরকার রাতদিন সংবিধানের কথা জপ করলেও প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছেন। সংবধিানমতে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর কারও কোন কোম্পানির কর্মকর্তা বা কোন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ সংস্কৃতি মন্ত্রী নিজ মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হলে কারও এখন সংবিধান মান্য করতে হয় না। এটাই বাংলাদেশের বিধিলিপি।”

তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার কাছেও এই দেশের সাধারণ মানুষের কোন মূল্য নেই। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য তিনি ঢাকা-চট্টগ্রামকে হরতালমুক্ত ঘোষণা করতে পারেন, খেলার জন্য হরতাল প্রত্যাহার করতে পারেন। কিন্তু ১৫ লক্ষ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করেন না।”
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলোচনায় বসে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহার করে দেশ ও মানুষ বাঁচানোর দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম মতিঝিলের ফুটপাথে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।

Comments