জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

 আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, গাজীপুর, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয় ও গ্রেফতার করে। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের প্রায় ৩০ জন নেতা-কর্মীকে আহত এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় আহত হয়েছে ১৫ জন। পুলিশের গুলীতে কুমিল্লা ও লাকসামে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ১০ জন নেতা-কর্মী গুলীবিদ্ধ হয়েছে। 
রাজধানীর মিরপুরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেছেন, সরকার নেতৃত্বশূন্য করে দেশকে করদরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের  নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের এ ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে দন্ডাদেশ বাতিল করে এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে চরমমূল্য দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১১ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ১০ নং এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ  হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শেখ শরীফ উদ্দীন আহমদ, জিয়াউল হাসান, অধ্যাপক নূরনবী মানিক, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম ও নূরুল ইসলাম আকন্দ, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, শাহেদ আলম, নাসির উদ্দীন, আব্দুল মতিন খান ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাঈদ ও ঢাকা মহানগরীর পশ্চিমের সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান স্বপন প্রমুখ। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ জনতার উপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলী ছোড়ে।
মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দলন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ টি এম আজহারুল ইসলাম উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। তার পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে দেশের কোন থানায় মামলা তো দূরের কথা বরং কোন থানায় সাধারণ ডাইরীও করা হয়নি।  কিন্তু সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো সাক্ষীর মাধ্যমে একজন জাতীয় নেতাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনগণ সরকারের এহেন দেশ ও জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না বরং সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে প্রতিহিংসা ও হত্যার রাজনীতি পরিহার করে আমীরে জামায়াত মাওলানা  মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
পল্টন-মতিঝিল-খিলগাঁও জোন : পল্টন-মতিঝিল-খিলগাঁও জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নবাবপুর থেক শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গুলিস্তান কাপ্তান বাজারে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন ও অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য কামাল হোসাইন, শামসুর রহমান, সগীর বিন সাঈদ, আবু আব্দুল্লাহ ও আবু নাবিল, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও অফিস সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম, মিয়া মোহাম্মদ শোয়েব, আমিনুর রহমান, মুতাসিমবিল্লাহ, বনি ইয়ামিন ও শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকার রাজনৈতিক নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ সরকারের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং যেকোন মূল্যে রুখে দেবে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের দন্ডাদেশ বাতিল করে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় এজন্য সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
চট্টগ্রাম : এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখার এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল নগরীর মুরাদপুর মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নগর উত্তর শিবিরের সেক্রেটারি সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, জামায়াত নেতা আহমদ খালেদুল আনোয়ার, এস এম সোলায়মান, এস এম আলম, নুরুল মোস্তফা হেলালী, ফরিদুল আলম, শিবির নেতা মাহবুবুর রহমান, মামুনুর রহমান ভুইয়া, সাইফুল,আরিফ প্রমুখ।
সমাবেশে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামীলীগ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার রায় দিয়ে একের পর এক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেশের জনগণ এই রায় মানে না। তিনি অবিলম্বে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ এবং গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
রংপুর অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দেয়া রায় প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুর মহানগরীসহ আট উপজেলায় খন্ড খন্ড বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা যেকোন মূল্যে এটিএম আজহারকে মুক্ত করে আনার ঘোষণা দেন। রায় ঘোষণার পরপরই তার নিজ উপজেলা বদরগঞ্জে বিক্ষোভ শুরু করে নেতাকর্মীরা। উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড়, আজহারের নিজ গ্রাম লোহানী পাড়া, মধুপুর বোর্ডঘর, ট্যাক্সের হাট, নাগেরহাট, লালদীঘি, এরশাদ ব্রীজসহ বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড়ের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে উপজেলা আমীর শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী বুধবার বদরগঞ্জে সকাল সন্ধা হরতালের ঘোষণা দেন। পরে কেন্দ্রীয় ভাবে জামায়াত সারাদেশে ২ দিনের হরতালের ডাক দেয়।
এদিকে একই দাবিতে পীরগাছা, মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়ায় উপজেলা এবং বিভিন্ন হাটবাজারে এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করে বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যদিকে রংপুর মহানগরীর কোচ স্ট্যান্ড, মাহিগঞ্জ ও সাতগড়া এলাকায় বিক্ষোভ করেছে জামায়াত নেতাকর্মীরা। 
বিবৃতি : এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেয়া রায় প্রত্যাখ্যান করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর জামায়াত আমীর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা আমীর এটিএম আযম খান, মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ সালাফী, মহানগর শিবির সভাপতি আল আমিন হাসান, সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, জেলা সভাপতি শাহীরাজ আলম, সেক্রেটারি নায়েবুজ্জামান নায়েব। তারা যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সাজানো মিথ্যা মামলার রায় জনগণ মানে না।
কুমিল্লা অফিস : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্বে রায়ের প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের উদ্যাগে নগরীর ছাতিপট্টি এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করলে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের মিছিলে গুলী করে।এসময় জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের ৭ জন আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২টি গ্যাস গানসহ ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগ নেতারা ২ জনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। 
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 
আটক হওয়া ২ জন হলেন, মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ও কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের মালিক খোরশেদ আলম।
আহতরা হলেন, শিবির কর্মী আব্দুর রহমান, রাশেদ, ইলিয়াস, জসিম, সোহাগ, কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের মালিক খোরশেদ ও মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। 
এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানটি ভাংচুর করে দোকান মালিক খোরশেদ আলম ও মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে।। 
মহানগর শিবিরের সভাপতি মোঃ শাহলম জানান, এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ আমাদের উপর বুলেট ছোঁড়ে। এ সময় আমাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়। 
অপরদিকে, মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ও খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দীন মোহাম্মদ, সেক্রেটারি মো মোছলেহ উদ্দিন, মহানগরী শিবির সভাপতি মো শাহ আলম, সেক্রেটারি কামাল হোসাইন। নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে জামায়াত নেতা মাহবুবর রহমান সহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
খুলনা অফিস : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর থানায় থানায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে মিছিল করার সময় খুলনা সদর থানা পুলিশ ছাত্রশিবির নেতা মোঃ তানভীর (২৬), মুজাহিদ (৩৪) ও মোঃ মাকসুদকে (২৩) গ্রেফতার করেছে।
খুলনা সদর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগরী সহকারি সেক্রেটারি খান গোলাম রসুল।
খালিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন হাফেজ আবুল বাশার, মোশাররফ আনছারি, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। 
অনুরূপভাবে সোনাডাঙ্গা, লবণচরা ও দৌলতপুর থানায় পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের শিকার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দ বলেন এ ন্যায়ভ্রষ্ট রায় জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের এক অন্যতম মাধ্যম। 
অবিলম্বে আটককৃত শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তি দেয়া না হলে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।
খুলনা মহানগরী শিবিরের বিক্ষোভ : এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ও তার মুক্তির দাবিতে খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল করেছে। 
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গায় পৃথকভাবে এ মিছিল বের করা হয়। নগরীর টুটপাড়া এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন হুমায়ুন কবীর, তানভির হোসেন, আবু বকর, রাফসান জানি প্রমুখ। অপরদিকে নগরীর শেরেবাংলা রোডের আলকাতরা মিল মোড়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
দিনাজপুর অফিস : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় প্রদানের সাথে সাথে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে দিনাজপুর শহর জামায়াতে ইসলামী। এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
শহর জামায়াতের আমীর মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত নেতা এ্যাড. মাইনুল আলম, মোল্লা মোঃ তোয়াব আলী, শহর শিবির সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়্যুম প্রমুখ। সমাবেশের আগে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের লিলি মোড় থেকে শুরু হয়ে স্টেশন চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
পাবনা সংবাদদাতা : এটিএম আজহারের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ও হরতালের সমর্থনে পাবনা জেলা জামায়াত শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় পিছন থেকে পুলিশ এসে মিছিলে হামলা চালালে পুলিশের সাথে বেশ কিছু সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যাপক রেজাউল করিম, পৌর সেক্রেটারি ইকরামুল হকসহ জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মিছিল থেকে রায়কে প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয় এবং আজ বুধবারের হরতাল সফল করতে পাবনাবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়। 
ঝিনাইদহ : সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেয়ার প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ শহর শাখা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় শহরের হামদহ ট্রাকটার্মিনাল মহাসড়কে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আলী আজমের নেতৃত্বে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। অবিলম্বে অবৈধ ট্রাইবুনাল ভেঙে দিয়ে নিরপরাধ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা : এটিএম আজহারুল ইসলামকে মানবতাবিরোধী মামলায় দেয়া রায়ের প্রতিবাদে বাগমারায় জামায়াতের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। গতকাল ফাঁসির রায়ের খবরের পর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সামসুল হকের নেতৃত্বে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে গোবিন্দপাড়া বাজারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে জামায়াতের এটিএম আজাহারুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় বাতিলের দাবিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বেলকুচি উপজেলা জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মী ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। গতকাল রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে কল্যাণপুর মাদ্রাসা মাঠে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা গোলাম আযম, উপজেলা এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রশিদ শামীম, জামায়াত নেতা-সাইদুল ইসলাম মোতাহার, গোলাম সারোয়ার,আবুল হাসানাত মঞ্জু,শাহাব উদ্দিন মোল্লাহ্,আলহাজ নূরুল ইসলাম, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আলীম ও উপজেলা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। 
সমাবেশ শেষে উপজেলা আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকারের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মোহনপুর (রাজশাহী) সংবাদদাতা : এটিএম আজাহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে গতকাল মোহনপুর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। গতকাল ফাঁসির রায়ের খবরের পর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এফ এম ইসমাইল আলম আল হাসানির নেতৃত্বে¡ উপজেলার কেশরহাট পৌরসভায় কেশরহাট বাজারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোহনপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, উপজেলা নায়েবে আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সহকারী সেক্রেটারি আঃ আজিজ, পৌর আমীর মাওলানা আব্দুল জলিল ক্বারী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গতকাল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ শহর জামায়াতের উদ্যোগে শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাঃ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রায় ঘোষণার পরপরই বেলা একটার দিকে তাৎক্ষণিক শহরের প্রাণকেন্দ্র কালিবাড়ি বাজারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বক্তারা ট্রাইবুনালের রায় প্রত্যাহার করার দাবি জানান। রায়ের প্রতিবাদে গোটা সিরাজগঞ্জবাসীকে জামায়াত ঘোষিত দুইদিনের শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের আহ্বান জানান।
এদিকে এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশের প্রতিবাদে এনায়েতপুর থানা জামায়াতের উদ্যোগে থানা সেক্রেটারি ডা: মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল স্থানীয় গাবতলা থেকে শুরু হয়ে থানার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে রূপনাই বাজারে এসে এক পথসভায় মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন, থানা আমীর ডা: সেলিম রেজা, জামায়াত নেতা হাজী আনোয়ার হোসেন, শেখ আইয়ুব আলী, শিবির সভাপতি আবু তালহা খান ও সেক্রেটারি ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
ফেনী সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে এবং বুধবার-বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে গতকাল দুপুরে ফেনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াতে ইসলামী। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শহর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আনম আবদুর রহিম ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শহর সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস। অগ্রভাগে ছিলেন ছাত্রশিবিরের শহর সেক্রেটারি মঈনুল ইসলাম যোবায়ের, শিবির নেতা নাজমুস সাকিব, জামায়াত নেতা মোশারফ হোসেন প্রমুখ। মিছিলটি শহরের ট্রাক রোড থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
রাজশাহী অফিস : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষনার পরে রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর জামায়াত। এসময় রাজশাহী-নওগাঁ রোডের বিন্দুর মোড় এলাকায় সাধারন জনতা রাস্তা অবরোধ করে। 
বিক্ষোভ উত্তর সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলাম এর  বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় পূর্ব পরিকল্পিত। সরকার জামায়াতের নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য একের পর এক ফাঁসির ঘোষনা করছে। সরকারের এরায় দেশবাসী জীবন দিয়ে প্রতিহত করবে। নেতৃবৃন্দ জামায়াত নেতাদের রায় বাতিলের জোর দাবি জানিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বত্বঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করতে রাজশাহীবাসীর প্রতি আহবান জানান।
বরিশাল : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ.টি.এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাণদন্ডাশের রায় প্রদান করেছে। তার বিরুদ্ধে দেয়া রায় বাতিল করে তার মুক্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বরিশাল মহানগর ও জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি দাতারা হলেন, জামায়াতের বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমীর এ্যাড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, বরিশাল পূর্ব জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, পশ্চিম জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগর নায়েব আমীর বজলুর রহমান বাচ্চু ও অধ্যক্ষ আমিনুল আসলাম খসরু, সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মু. বাবর, জেলা পশ্চিম জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল মন্নান, জেলা পূর্ব জামায়াতের সেক্রেটারি ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান। 
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আদালতের রায় ন্যায়ভ্রষ্ট, সুবিচার থেকে আমরা বার বার বঞ্চিত হচ্ছি। বিচারের নামে জুডিশিয়াল কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করতে আজ্ঞাবহ আদালত এ প্রহসনের রায় দিয়েছে। সরকার বিচারের নামে পৃথিবীর জঘন্নতম মিথ্যাচার ও চুড়্ন্তা প্রহসন করেছে। সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে দলীয় আজ্ঞাবহ বিচারকরা তাকে অন্যায়ভাবে মৃত্যু দন্ড দিয়েছে। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই বিচার এবং রায়কে মেনে নেয়নি। বিবৃতিদাতারা ফরমায়েশিপ্রহসনের রায় বাতিল করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী করেন এবং রায় প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা দুই দিনের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে প্রহসনের রায় প্রত্যাখ্যান ও এর প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর জামায়াত তৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। নগরীর নবগ্রাম সড়ক ও কাশিপুর সড়কে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নবগ্রম সড়কের মিছিলে নেতৃত্বদেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান ও মোঃ শামিম কবির। অপরদিকে বিমান বন্দর থানার মিছিলে নেতৃত্বদেন মহানগর শিবির সভাপতি আহমদ শিহাব। রায়ের প্রতিবাদে ডাকা হরতালের সমর্থনে নগরীর বগুড়া রোডে মিছিল করে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। মিছিলে নেতৃত্বদেন শ্রমিক নেতা মোঃ শাহজাহান ও শাহিন আলম। মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোঃ আনিসুর রহমান নামের এক শিবির কর্মীকে নবগ্রাম রোড থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গাজীপুর সংবাদদাতা : এ.টি.এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ জামায়াতের ৫নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিকেলে নগরের রাজবাড়ি রুটে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জয়দেবপুর থানা উত্তরের সভাপতি ছাদেকুজ্জামান খানের নেতৃত্বে মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি খায়রুল হাসান।
সন্ধ্যায় মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসেন আলীর নেতৃত্বে কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় মহানগর শিবির সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী ও মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি আফজাল হোসাইনের নেতৃত্বে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে ফেরার পথে ৪৪ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি আবু হানিফ ও ৪৫ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি হারুনুর রশীদ, জামায়াত কর্মী আমিরুল ইসলাম, রুবেল ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্মী জহিরকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ, সেক্রেটারি খায়রুল হাসান ও টঙ্গী পূর্ব সাংগঠনিক থানার আমীর নজরুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে ৪৪ ও ৪৫ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সহ ৫ জামায়াত নেতা-কর্মী আটকের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ দু’দিনের হরতাল সর্বাত্মক সফল করার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান।
রায়ের প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় কালিয়াকৈর উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ শফিউদ্দিনের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড হতে মিছিলটি শুরু হয়ে কালিয়াকৈর বাইপাস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। উক্ত মিছিলে অন্যান্যের আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওঃ মোঃ আফছার উদ্দিন, উপজেলাসাংগঠনিক সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
শ্রীপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ মোজা্েম্মল হকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, শ্রীপুর পৌর সভাপতি মোঃ শিবলী সাদিক প্রমুখ।
কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুরে জামায়াত নেতা মোঃ আবুল ফাত্তাহ’র বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়াতেও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ শেফাউল হক। এছাড়া কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাবতে জামায়াত নেতা মাওলানা মোঃ মতিউর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া অফিস : এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটায় বগুড়া শহর জামায়াতের উদ্যোগে শহরের বড়গোলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে দত্তবাড়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ বেগ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আজগর আলী, জামায়াত নেতা শাহীন মিয়া, জাকির হোসেন সেলিম, শিবির নেতা সাব্বির শাহরিয়ার শুভ, মুতাসিম বিল্লাহ প্রমূখ।
বগুড়ার পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, রায়কে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদ ও  বুধ  বারের  হরতালের সমার্থনে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার দুপুরের শহরের একটি মিলনায়তনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে শহর জামায়াত নিশ্চিত করেছে। সভায় বক্তব্য রাখেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি ওমর ফারুক,শহর শিবিরের সভাপতি আবু তালেব সহ অনেকে।
নওগাঁ : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এটি এম আজহারের বিরুদ্ধে দেয়া রায় প্রত্যাখান করে নওগাঁ জেলা পূর্ব শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষনিক মিছিলটি  স্থানীয় তাজের মোড় হতে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ট্রাক টার্মিনাল মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর উপজেলা ভাইস চেয়্যারম্যান এ্যাডঃ আ স ম সায়েম, নওগাঁ জেলা শিবির সভাপতি নাসির উদ্দীন, জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুর রহিমসহ নেতৃতৃবৃন্দ। 
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের কথিত অভিযোগের মামলায় ট্রাইবুনালের দেয়া রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা দুই দিনের সকাল সন্ধা হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে মৌলভীবাজার পৌর জামায়াত। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়। সদর উপজেলা আমীর আলাউদ্দিন শাহর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর আমীর ইয়ামীর আলী।
মাধবদী (নরসিংদী) : তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা এ.টি.এম আজহারের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে দেয়া 'মৃত্যুদন্ড' রায়কে প্রত্যাখ্যান করে গতকাল বা'দ আছর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী সদর দক্ষিণ থানা শাখার উদ্যোগে মাধবদীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । মিছিলটি নরসিংদী সদর দক্ষিনের থানা সেক্রেটারি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে যমুনা ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মাধবদী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা, যেকোন মূল্যে এ.টি.এম আজহারের মুক্তি চেয়ে সর্বস্তরের জনগণকে হরতাল পালনের আহবান জানান। 
মিঠাপুকুর (রংপুর) সংবাদদাতা : হরতালের সমর্থনে মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা এনামুল হক, শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল বাতেন হারুন প্রমুখ। উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা এনামুল হক জানান, আজকের হরতালের সমর্থনের মিঠাপুকুরে প্রতিটি ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশুন্য করতে একের পর এক শীর্ষ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ফরমায়েসী মৃত্যুদন্ডের রায় দিতে বাধ্য করছে। অবিলম্বে এই রায় বাতিল করে নিরীহ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে জালিম সরকারের চুড়ান্ত পতন নিশ্চিত করা হবে। 
গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের প্রতিবাদে নগরীতে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর জামায়াত। রায় ঘোষনার পরপরই দুপরে নগরীর সুরমা পয়েন্টে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষনিক মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জিয়াউদ্দিন নাদের, মুফতী আলী হায়দার, ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি মু. আব্দুর রাজ্জাক ও সেক্রেটারি মাসুক আহমদ প্রমুখ

Comments