‘বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করার পরে চাল রপ্তানি করা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।’
সরকারি তরফে চাল রপ্তানির বিষয়টি বেশ জোরেশোরে বলা হলেও চলতি বছর নভেম্বরে চাল আমদানি ব্যয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯৫ শতাংশ বা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অথচ শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানি করা হয়েছে। ভারতের রপ্তানির ঘোষণা এসেছে।
গত নভেম্বরে প্রায় ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের (প্রায় ৫০০ কোটি টাকার) চাল আমদানি করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আমদানি করা হয়েছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের চাল।
সোমবার প্রকাশ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর এই বিপুল পরিমাণ অর্থের চাল আমদানি ছাড়াও পুনরায় এ মাসে খাদ্য শস্য আমদানির জন্য আরো ৫ কোটি ৯৮ লাখ ১০ ডলারের টাকার ঋণপত্র খোলা হয়েছে।
সরকার শ্রীলঙ্কায় ৫০,০০০ টন চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার প্রথম চালান হিসেবে ১২,৫০০ টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ কলম্বোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার চাল রপ্তানি করার জন্য ভারতীয় প্রস্তাবও বিবেচনা করছে। ভারতে ৩০,০০০ টন চাল রপ্তানি করা হতে পারে বলে তারা জানান।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও ভারতের চাল রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, চাল রপ্তানি করার সরকারের এই উদ্যোগের কারণে আমদানিকারকরা চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুযোগ নিতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের শুধুমাত্র ১ জুলাই থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪,৫৮,০০০ টন চাল আমদানি করেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরে আমদানি করা হয় ৩,৭৪,০০০ টন চাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চাল আমদানি গত অথবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮১.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারে। আগের অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
তবে বাংলাদেশ রাইচ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কাওসার আলম খান জানান, বিদেশ থেকে বিভিন্ন মোটা চাল আমদানি করার কোনো দরকার ছিল না। কেননা আমাদের দেশীয় চালের সামান্য কিছু এখনো উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ব্যবসায়ীদের বার বার প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার চাল আমদানি নিষিদ্ধ করেনি এবং এই ধরনের আমদানির কারণে একটি ক্ষুদ্র প্রভাবশালী গোষ্ঠী সুবিধা ভোগ করছে।’
তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে চাল আমদানি নিষিদ্ধ করা উচিত।
তিনি জানান, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মোটা চাল আমদানি করতে কেজি প্রতি খরচ হচ্ছে ২৬ থেকে ২৬.৫০ এবং এটি খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ থেকে ২৯ টাকা দরে। অন্যদিকে স্থানীয় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩১ টাকা দরে।
কাওসার অভিযোগ করেন, কম দামে চাল আমদানির কারণে কৃষকরা চালের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করার পরে চাল রপ্তানি করা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।’
অথচ শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানি করা হয়েছে। ভারতের রপ্তানির ঘোষণা এসেছে।
গত নভেম্বরে প্রায় ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের (প্রায় ৫০০ কোটি টাকার) চাল আমদানি করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আমদানি করা হয়েছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের চাল।
সোমবার প্রকাশ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর এই বিপুল পরিমাণ অর্থের চাল আমদানি ছাড়াও পুনরায় এ মাসে খাদ্য শস্য আমদানির জন্য আরো ৫ কোটি ৯৮ লাখ ১০ ডলারের টাকার ঋণপত্র খোলা হয়েছে।
সরকার শ্রীলঙ্কায় ৫০,০০০ টন চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার প্রথম চালান হিসেবে ১২,৫০০ টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ কলম্বোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার চাল রপ্তানি করার জন্য ভারতীয় প্রস্তাবও বিবেচনা করছে। ভারতে ৩০,০০০ টন চাল রপ্তানি করা হতে পারে বলে তারা জানান।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও ভারতের চাল রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, চাল রপ্তানি করার সরকারের এই উদ্যোগের কারণে আমদানিকারকরা চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুযোগ নিতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের শুধুমাত্র ১ জুলাই থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪,৫৮,০০০ টন চাল আমদানি করেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরে আমদানি করা হয় ৩,৭৪,০০০ টন চাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চাল আমদানি গত অথবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮১.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারে। আগের অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
তবে বাংলাদেশ রাইচ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কাওসার আলম খান জানান, বিদেশ থেকে বিভিন্ন মোটা চাল আমদানি করার কোনো দরকার ছিল না। কেননা আমাদের দেশীয় চালের সামান্য কিছু এখনো উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ব্যবসায়ীদের বার বার প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার চাল আমদানি নিষিদ্ধ করেনি এবং এই ধরনের আমদানির কারণে একটি ক্ষুদ্র প্রভাবশালী গোষ্ঠী সুবিধা ভোগ করছে।’
তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে চাল আমদানি নিষিদ্ধ করা উচিত।
তিনি জানান, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মোটা চাল আমদানি করতে কেজি প্রতি খরচ হচ্ছে ২৬ থেকে ২৬.৫০ এবং এটি খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ থেকে ২৯ টাকা দরে। অন্যদিকে স্থানীয় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩১ টাকা দরে।
কাওসার অভিযোগ করেন, কম দামে চাল আমদানির কারণে কৃষকরা চালের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করার পরে চাল রপ্তানি করা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।’
Comments
Post a Comment