আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নামে প্রায় ২০০০ মানুষ। ক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদ সহিংস রূপ নেয়।
মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারোকের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ খারিজের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নামে প্রায় ২০০০ মানুষ। ক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদ সহিংস রূপ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় প্রতিবাদকারীদের। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে এক ব্যক্তি। এছাড়াও আহত হয়েছে অনেকে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। ২০১১ সালের গণঅভূত্থাণে ক্ষমতাচ্যুত হন মোবারক। সেসময় প্রায় ৯০০ প্রতিবাদকারী হত্যার অভিযোগ আনা হয় মোবারক সহ তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে। তাদেরকেও এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। এছাড়াও ইসরাইলে গ্যাস রপ্তানি সংক্রান্ত দূর্নীতি অভিযোগ থেকে মোবারক ও তার তার দুই পুত্র আলা ও গামালকে অব্যাহতি দিয়েছে শীর্ষ বিচারক মাহমুদ কামেল আল রাশিদি। তবে আদালতের এ রায়ে মুক্তি পাচ্ছেন না ৮৬ বছরের সাবেক এ স্বৈরশাসক। মে মাসে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অপর একটি মামলায় তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হন। তিন বছরের কারাদ- ভোগ করছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে তাকে কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। শনিবার আদালতের দেয়া অব্যাহতির রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকতে পারে। এটা সম্ভব কিনা তারা খতিয়ে দেখতে অ্যাটর্নি জেনারেল তার দলকে মামলাটি পূনরায় পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আদালতের রায়ের পর মোবারক সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়লেও নিহতদের স্বজনদের আদলত চত্তরের বাইরে মর্মাহত দেখা যায়। গণঅভূত্থাণের সময় প্রায় ৯০০ জন মারা গেলেও মামলার চার্জশিটে ২৩৯ জন নিহত প্রতিবাদকারীর কথা আমলে নেয়া হয়েছে। সন্তান হারানো এমন এক পিতা মোস্তফা মোরসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা নিষ্ঠুর রায়। আমার ছেলের রক্ত বৃথা গেছে।
Comments
Post a Comment