জনগণকে হয় ইসলামপন্থীদের, নয়তো সামরিক শাসনকে বেছে নিতে হচ্ছে।?
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি। মিসরীয়দের জন্য তো বটেই, আধুনিক ইতিহাসেরই উল্লেখযোগ্য একটি দিন। মিসরের টানা প্রায় তিন দশকের একনায়ক হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে এই দিনেই শুরু হয়েছিল গণজাগরণ।
গণজাগরণের ঢেউ তুঙ্গে উঠলে ১১ ফেব্রুয়ারিই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন মোবারক। মাঝের ১৩ দিনে কায়রোর তাহরির স্কয়ার হয়ে উঠেছিল স্বৈরশাসনবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। দেশবাসীর প্রতিবাদী চেতনার প্রতীক। এই ১৩ দিনে মোবারক সরকারের সেনা ও পুলিশ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় বিক্ষোভ করা ৮৪৬ জন মিসরীয়কে।
প্রশ্নটা উঠেছিল তখনই—গণজাগরণ ঠেকাতে জনতার প্রতি গুলি চালানোর নির্দেশ কি একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে এসেছিল? তখনকার মিসরে শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছে, এমনটা ভাবাও ছিল অসম্ভব।
কিন্তু মিসরের একটি আদালত গত শনিবার রায় দিলেন, গুলির নির্দেশ শীর্ষ পর্যায় থেকে আসেনি। তাই হত্যার নির্দেশের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন মোবারক। আদালত রায়ে যা-ই বলুন না কেন, বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ থেকে মোবারককে খালাস দেওয়ার মধ্য দিয়ে যেন একটি বৃত্ত পূরণ হলো। মিসরে বিভক্তির রাজনীতিতে উভয় অংশই স্বীকার করবে, শনিবারের রায় ২০১১ সালের তাহরির স্কয়ারের চেতনার বিপরীত।
মিসরের বর্তমান রাজনীতিতে হোসনি মোবারক বা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকে ওই দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর জন্য সত্যিকারের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, এটা নিশ্চিত। কারণ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মোবারকের মতোই কঠোর নীতি নিয়েছেন তিনিও। গত বছরের আগস্টে সিসির বিরুদ্ধেও রাজপথে নেমেছিল হাজারো মানুষ। ওই আন্দোলন ঠেকাতে সিসির বাহিনী হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। সিসির মন্ত্রিসভা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, এর চেয়ে বেশি প্রাণহানি হলেও আন্দোলন ঠেকাতে তা করতে সরকারের দ্বিধা ছিল না। এখন ওই প্রাণহানির ঘটনায় সিসি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনো একটা সময় বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনাও হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন সিসি। তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রাণ দেওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই ছিলেন ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মী।
সত্যি কথা হলো, দেশটির উদারপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো এতটাই অসংগঠিত ও দায়িত্বহীন যে জনগণকে হয় ইসলামপন্থীদের, নয়তো সামরিক শাসনকে বেছে নিতে হচ্ছে। উদারপন্থীদের একটি অংশ আবার এখন সিসি সরকারকেই সমর্থন দেওয়া শুরু করেছে। তাদের যুক্তি, গণতন্ত্রের বীজ বুনতে স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন।
মিসরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে দেশটিতে সত্যিকারের গণতন্ত্র আসতে কয়েক দশক সময় প্রয়োজন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার কোনো বিচার হবে না মিসরে।
গণজাগরণের ঢেউ তুঙ্গে উঠলে ১১ ফেব্রুয়ারিই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন মোবারক। মাঝের ১৩ দিনে কায়রোর তাহরির স্কয়ার হয়ে উঠেছিল স্বৈরশাসনবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। দেশবাসীর প্রতিবাদী চেতনার প্রতীক। এই ১৩ দিনে মোবারক সরকারের সেনা ও পুলিশ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় বিক্ষোভ করা ৮৪৬ জন মিসরীয়কে।
প্রশ্নটা উঠেছিল তখনই—গণজাগরণ ঠেকাতে জনতার প্রতি গুলি চালানোর নির্দেশ কি একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে এসেছিল? তখনকার মিসরে শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছে, এমনটা ভাবাও ছিল অসম্ভব।
কিন্তু মিসরের একটি আদালত গত শনিবার রায় দিলেন, গুলির নির্দেশ শীর্ষ পর্যায় থেকে আসেনি। তাই হত্যার নির্দেশের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন মোবারক। আদালত রায়ে যা-ই বলুন না কেন, বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ থেকে মোবারককে খালাস দেওয়ার মধ্য দিয়ে যেন একটি বৃত্ত পূরণ হলো। মিসরে বিভক্তির রাজনীতিতে উভয় অংশই স্বীকার করবে, শনিবারের রায় ২০১১ সালের তাহরির স্কয়ারের চেতনার বিপরীত।
মিসরের বর্তমান রাজনীতিতে হোসনি মোবারক বা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকে ওই দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর জন্য সত্যিকারের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, এটা নিশ্চিত। কারণ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মোবারকের মতোই কঠোর নীতি নিয়েছেন তিনিও। গত বছরের আগস্টে সিসির বিরুদ্ধেও রাজপথে নেমেছিল হাজারো মানুষ। ওই আন্দোলন ঠেকাতে সিসির বাহিনী হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। সিসির মন্ত্রিসভা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, এর চেয়ে বেশি প্রাণহানি হলেও আন্দোলন ঠেকাতে তা করতে সরকারের দ্বিধা ছিল না। এখন ওই প্রাণহানির ঘটনায় সিসি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনো একটা সময় বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনাও হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন সিসি। তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রাণ দেওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই ছিলেন ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মী।
সত্যি কথা হলো, দেশটির উদারপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো এতটাই অসংগঠিত ও দায়িত্বহীন যে জনগণকে হয় ইসলামপন্থীদের, নয়তো সামরিক শাসনকে বেছে নিতে হচ্ছে। উদারপন্থীদের একটি অংশ আবার এখন সিসি সরকারকেই সমর্থন দেওয়া শুরু করেছে। তাদের যুক্তি, গণতন্ত্রের বীজ বুনতে স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন।
মিসরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে দেশটিতে সত্যিকারের গণতন্ত্র আসতে কয়েক দশক সময় প্রয়োজন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার কোনো বিচার হবে না মিসরে।
Comments
Post a Comment