মঙ্গল গ্রহে মানুষ হাঁটতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন নাসার এক সাবেক কর্মকর্তা।
জ্যাকি নামের ওই নারী কর্মী দাবি করেছেন, নাসা মঙ্গল গ্রহে গোপন একটি মানব মিশন পরিচালনা করেছিল। মার্কিন রেডিও স্টেশন কোস্ট টু কোস্ট এম-এ তিনি এ সব কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ১৯৭৯ সালের। একটি ভাইকিং ল্যান্ডার থেকে বেতার প্রেরিত তথ্য-উপাত্ত ডাউনলোড করার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দলে কাজ করছিলেন জ্যাকি। সে সময় তিনি মঙ্গলের বুকে মহাকাশ স্যুট পরা দুই মানুষ হাঁটার দৃশ্য লাইভ ফিডে দেখেন। তিনি বলেন, ভাইকিং রোভারটি মঙ্গলপৃষ্ঠে এদিক সেদিক চলাফেরা করছিল। তখন তিনি দেখতে পান স্পেস স্যুট পরা দু’জন মানুষ ভাইকিং এক্সপ্লোরারের কাছে এগিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, ওই দু’জন মানুষ আমাদের পরিচিত ভারি স্পেস-স্যুট পরা ছিলেন না। বরং এগুলো ছিল অপেক্ষাকৃত হালকা স্যুট। জ্যাকি দাবি করেছেন, এ দৃশ্য তিনি ছাড়াও নাসার আরও ছয়জন কর্মী দেখেছেন। নাসা কর্তৃপক্ষ এমন কোন ঘটনার স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এতে কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা তাদের দাবি করা থেকে থেমে নেই। তারা বলছেন, এটা গোপন মহাকাশ কার্যক্রমের প্রমাণ। জ্যাকি রেডিও অনুষ্ঠানে জানান, তার প্রশ্ন হলো তিনি যাদেরকে দেখেছিলেন তারা নাসার পাঠানো মানুষ ছিল কিনা। ৭০-এর দশকে মঙ্গলে ভাইকিং মিশন পরিচালিত হয়। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মঙ্গলে পাঠানো হয়, ভাইকিং ১ ও ভাইকিং ২। উভয় মহাকাশযানে একটি অরবিটার ও একটি ল্যান্ডার ছিল। প্রায় এক বছর যাত্রার পর তারা মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়। এরপর অরবিটার পৃথিবীতে পাঠাতে থাকে মঙ্গলপৃষ্ঠের নানা ছবি। সেখান থেকে বেছে নেয়া হয় অবতরণের একটি স্থান। পরে উভয় ল্যান্ডার অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মঙ্গলে অবতরণ করে। এদিকে কয়েকদিন আগে এক পদার্থবিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তার বিশ্বাস মঙ্গলে প্রাচীন এক সভ্যতা ছিল, যা অন্য কোন এলিয়েন প্রজাতির পারমাণবিক হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ড. জন ব্রান্ডেনবার্গ নামের ওই পদার্থবিদের দাবি, সাইডোনিয়ানস ও ইউটোপিয়ানস নাম মঙ্গলের দু’টি জাতি ওই হামলায় হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। আজও ওই গণহত্যার প্রমাণ দেখতে পাওয়া যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভাইকিং মিশনে মঙ্গলজুড়ে কোন প্রাণের চিহ্ন না মিললেও নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীতে জীবন ধারণে প্রয়োজন কার্বন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন আর ফসফরাস সবই পাওয়া গেছে মঙ্গলে। নাসার সাবেক কর্মকর্তা দাবি করেন, জ্যাকি কোস্ট টু কোস্টে যে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইউএফও বিশেষজ্ঞ নাইজেল ওয়াটসন। তিনি আদৌ নাসায় কাজ করেছেন কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
Comments
Post a Comment