মিসরে সালাফি ফ্রন্টের ডাকে সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভকালে রাজধানী কায়রোয় কমপক্ষে তিন বিক্ষোভকারী নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে। এ দিকে বিক্ষোভ শুরুর আগে অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারীর হামলায় সেনাবাহিনীর এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ দুই সেনাকর্মকর্তা নিহত ও দুই সেনা আহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির সরকারের বিরুদ্ধে এবং মিসরের ইসলামি পরিচিতি অুণœ রাখার দাবিতে এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড এতে সমর্থন দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কায়রোর মাত্রিয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়লে তিন বিক্ষোভকারী নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়। মিসরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে প্রায় প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ করে আসছে মুসলিম ব্রাদারহুড। এরই মাঝে বিক্ষোভের ডাক দেয় সালাফিরা। কয়েক মাসের মধ্যে এটি ছিল বড় আকারে বিক্ষোভ আয়োজনের চেষ্টা। সালাফিদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সামনে রেখে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তা ছাড়া তাহরি স্কোয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ দিকে কায়রোর পূর্বাঞ্চলে একটি হোটেলের বাইরে বন্দুকধারীদের গুলিতে গতকাল শুক্রবার সেনাবাহিনীর এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ দুই সেনাকর্মকর্তা নিহত ও দুই সেনা আহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি গাড়ি থেকে সেনাকর্মকর্তাদের ল্য করে গুলি চালানো হয়েছে। গাড়িটিতে লাইসেন্স প্লেট ছিল না। এখন পর্যন্ত হামলাকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সরকার-বিরোধীদের বিােভ সামনে রেখে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের একই সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটল। কেউ কেউ বলছেন, রাজধানীতে বেশি সংখ্যায় সেনাসদস্য মোতায়েনের কারণে সেখানে সেনাকর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া বেড়ে গেছে। আর এ সুযোগেই সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ওই অস্ত্রধারী।9%E0%A6%A4-%E0%A7%A9#sthash.7AUIXFWP.dpuf
Comments
Post a Comment