ভর্তি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে মামার চিকিত্সা!?
মনমেজাজ খারাপ, ভয়ংকর মাত্রায় খারাপ। এখন রাত দেড়টা, মামাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তার বলেছে, সিরিয়াস কিছু হয় নাই, তবে যেকোনো সময় বড় একটা স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। পুরোপুরি ঝড়–পূর্ববর্তী সতর্কসংকেত পরিস্থিতি। যত দ্রুত সম্ভব মামাকে ভর্তি
করাতে হবে।
একজন সংকটাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ঝামেলাটা বুঝলাম কাউন্টারে গিয়ে। ভদ্রলোক মামার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চান।
: আরে! শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে কী হবে?
: লাগবে। ন্যূনতম এসএসসি পাস না হলে আমরা হসপিটালে কাউকে ভর্তি করাই না।
কী মুসিবত! মামারাও যে পড়াশোনা করতে পারে, এটাই তো ভেবে দেখি নাই কোনো দিন। চট করে মনে পড়ল, মামা একবার আমাকে কলেজের পড়া বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তার মানে মামা অবশ্যই এসএসসি পাস এবং হাসপাতালে ভর্তির যোগ্য। সব পেমেন্ট শেষ করে ভর্তি যখন কমপ্লিট, তখনই আমাকে বলা হলো, ‘আপনাকে একটা ছোট্ট ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।’
চেঁচিয়ে বললাম, ‘এসবের মানে কী?’
: এসবের মানে হচ্ছে, আপনার মামা যেহেতু এক্সাম দিতে পারছেন না, তাই আপনাকেই দিতে হবে।
: কিন্তু কেন?
: হঠাৎ করেই রোগী বেড়ে গেছে, স্যার। সিটের চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুজন বেশি। এ জন্যই বাধ্য হয়ে এই অ্যাডমিশন টেস্ট। তবে চিন্তা করবেন না স্যার, কোশ্চেন সহজ। আপনার পেশেন্ট ভর্তি হয়ে যাবে।
বাইরে এসে ব্যাপারটা সবাইকে জানালাম। আমার ভর্তি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে মামার চিকিত্সা! এত রাতে অন্য হাসপাতালে মুভ করা প্রায় অসম্ভব। নেমে গেলাম যুদ্ধে। ভাবতেই ভালো লাগছে, মানবিকের ছাত্র হয়ে আমি আজ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেব। কিন্তু কী আসবে পরীক্ষায়? কিছুই তো জানি না। খালাতো ভাই আমার সঙ্গেই এসেছে, এখন খুঁজে পাচ্ছি না। গেল কোথায়? আশপাশে তাকিয়ে দেখি, দূরে এক লোকের সঙ্গে হাত নেড়ে নেড়ে কী যেন বলছে সে। খানিক পর ফিরে এসে আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গেল। হাতে একটা চিরকুট টাইপ জিনিস ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘এটা দেখে হালকা প্রিপারেশন নাও, পাস মার্কটা তুলতে পারলেই চান্স নিশ্চিত!’
: কিন্তু তুই কীভাবে প্রশ্ন পেলি?
: উফ্, ভাইয়া, এত কিছু জানতে হবে না তোমার! প্রশ্ন ফাঁস হওয়া এখন কোনো ব্যাপার নাকি! যাও, এক্সাম দাও।
স্বভাবতই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে দ্রুতই মামাকে ভর্তি করিয়ে ফেললাম। ছোট্ট একটা সমস্যা হয়ে গেছে। রেজাল্ট ততটা সুবিধার ছিল না বলে আইসিইউয়ে জায়গা হয়নি মামার। তবে শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস নিতে পারছি, প্রশ্ন ফাঁস না হলে কী যে হতো!
করাতে হবে।
একজন সংকটাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ঝামেলাটা বুঝলাম কাউন্টারে গিয়ে। ভদ্রলোক মামার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চান।
: আরে! শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে কী হবে?
: লাগবে। ন্যূনতম এসএসসি পাস না হলে আমরা হসপিটালে কাউকে ভর্তি করাই না।
কী মুসিবত! মামারাও যে পড়াশোনা করতে পারে, এটাই তো ভেবে দেখি নাই কোনো দিন। চট করে মনে পড়ল, মামা একবার আমাকে কলেজের পড়া বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তার মানে মামা অবশ্যই এসএসসি পাস এবং হাসপাতালে ভর্তির যোগ্য। সব পেমেন্ট শেষ করে ভর্তি যখন কমপ্লিট, তখনই আমাকে বলা হলো, ‘আপনাকে একটা ছোট্ট ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।’
চেঁচিয়ে বললাম, ‘এসবের মানে কী?’
: এসবের মানে হচ্ছে, আপনার মামা যেহেতু এক্সাম দিতে পারছেন না, তাই আপনাকেই দিতে হবে।
: কিন্তু কেন?
: হঠাৎ করেই রোগী বেড়ে গেছে, স্যার। সিটের চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুজন বেশি। এ জন্যই বাধ্য হয়ে এই অ্যাডমিশন টেস্ট। তবে চিন্তা করবেন না স্যার, কোশ্চেন সহজ। আপনার পেশেন্ট ভর্তি হয়ে যাবে।
বাইরে এসে ব্যাপারটা সবাইকে জানালাম। আমার ভর্তি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে মামার চিকিত্সা! এত রাতে অন্য হাসপাতালে মুভ করা প্রায় অসম্ভব। নেমে গেলাম যুদ্ধে। ভাবতেই ভালো লাগছে, মানবিকের ছাত্র হয়ে আমি আজ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেব। কিন্তু কী আসবে পরীক্ষায়? কিছুই তো জানি না। খালাতো ভাই আমার সঙ্গেই এসেছে, এখন খুঁজে পাচ্ছি না। গেল কোথায়? আশপাশে তাকিয়ে দেখি, দূরে এক লোকের সঙ্গে হাত নেড়ে নেড়ে কী যেন বলছে সে। খানিক পর ফিরে এসে আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গেল। হাতে একটা চিরকুট টাইপ জিনিস ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘এটা দেখে হালকা প্রিপারেশন নাও, পাস মার্কটা তুলতে পারলেই চান্স নিশ্চিত!’
: কিন্তু তুই কীভাবে প্রশ্ন পেলি?
: উফ্, ভাইয়া, এত কিছু জানতে হবে না তোমার! প্রশ্ন ফাঁস হওয়া এখন কোনো ব্যাপার নাকি! যাও, এক্সাম দাও।
স্বভাবতই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে দ্রুতই মামাকে ভর্তি করিয়ে ফেললাম। ছোট্ট একটা সমস্যা হয়ে গেছে। রেজাল্ট ততটা সুবিধার ছিল না বলে আইসিইউয়ে জায়গা হয়নি মামার। তবে শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস নিতে পারছি, প্রশ্ন ফাঁস না হলে কী যে হতো!
Comments
Post a Comment