ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সারদা ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলার মুসলিমদের কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত এটা।’
ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ও দৈনিক ‘কলম’ পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক আহমদ হাসানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবাংলার মুসলিমরা। একইসাথে উদার মনোভাবাপন্ন অমুসলিম বুদ্ধিজীবীরাও সরব হয়েছেন এ নিয়ে। একশ্রেণীর মিডিয়া ও রাজনৈতিক দল এই অপপ্রচার চালানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়েছে সংসদ সদস্য আহমদ হাসানের পক্ষ থেকে।
আগেই কলকাতা থেকে প্রকাশিত স্টেটসম্যান পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার নোটিশ দেয়া হয়। সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসানের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী মারফত মানহানি মামলার নোটিশ দেন ওই পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক-মুদ্রক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এবার ক্রমাগত কুত্সা ও অপপ্রচারের অভিযোগে চেন্নাই থেকে প্রকাশিত ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র কলকাতার সাংবাদিক অরূপ চন্দ ও ওই পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন সংসদ সদস্য আহমদ হাসান ইমরান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে অরূপ চন্দ এবং ওই কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রটিতে সাংসদ আহমদ হাসানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানকে নিয়ে লাগাতার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ। মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণসংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এমনকি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা থেকে শুরু করে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম সাহেবও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিদিনই এই প্রতিবাদ জানানো বিশিষ্ট মানুষ এবং নানা সংগঠনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একশ্রেণীর মিডিয়ায় ডাহা মিথ্যা কথা প্রচার করায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওইসব সংবাদ মাধ্যমের প্রতি।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সারদা ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলার মুসলিমদের কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত এটা।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া সংসদ সদস্য তথা ‘কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করার ঘৃণ্য খেলায় মেতেছে।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন’র পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান বরকতি সাফ জানিয়ে দেন, ‘সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।’
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, অল ইন্ডিয়া মুসলিম থিংক ট্যাংক, বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, স্টুডেন্ট ইসলামিক অরগানাইজেশন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, জামায়াতে ইসলামী হিন্দসহ বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিমবাংলার কোনো না কোনো স্থান থেকে প্রতিবাদের উচ্চকিত কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হচ্ছে।
এদিকে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে একশ্রেণীর মিডিয়া কার্যত খেই হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে এবার। একই প্রকাশনা হওয়া সত্ত্বেও সোমবার আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সিমির সাবেক নেতা আহমদ হাসান ইমরানের সঙ্গে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের দহরম-মহরম নিয়েও নানা তথ্য তুলে দেয়া হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।’
যদিও এবিপি প্রকাশনেরই অন্য কাগজ ‘এবেলা’ সোমবার পাঁচ পাতায় একই বিষয়ে একটি খবর ছেপেছে। সেই খবরের শিরোনাম, ‘সারদা নথি দেননি হাসিনা’। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত খবরের শিরোনাম ছিল, ‘তৃণমূলের জামাত-যোগ, মোদিকে তথ্য দিলেন হাসিনা’।
এভাবে পরস্পরবিরোধী খবর করেছে একই প্রকাশনার দুটি কাগজ। ‘এবেলা’র বিস্তারিত সংবাদের মধ্যে লেখা হয়েছে, ‘বৈঠকে সারদা সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র মোদিকে দিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, আলোচ্যসূচিতে নথিপত্রের বিষয়টি ছিল না।’ এছাড়া বিডি মনিটর এবং ভারতের নিউজএক্স-এর সাংবাদিকদের প্রতিবেদনেও স্পষ্ট ‘এটা আলোচ্যসূচিতেই ছিল না। যদিও একশ্রেণীর মিডিয়া সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানের নামে কাদা ছিটাতেই ব্যস্ত। এনডিটিভি
আগেই কলকাতা থেকে প্রকাশিত স্টেটসম্যান পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার নোটিশ দেয়া হয়। সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসানের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী মারফত মানহানি মামলার নোটিশ দেন ওই পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক-মুদ্রক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এবার ক্রমাগত কুত্সা ও অপপ্রচারের অভিযোগে চেন্নাই থেকে প্রকাশিত ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র কলকাতার সাংবাদিক অরূপ চন্দ ও ওই পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন সংসদ সদস্য আহমদ হাসান ইমরান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে অরূপ চন্দ এবং ওই কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রটিতে সাংসদ আহমদ হাসানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানকে নিয়ে লাগাতার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ। মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণসংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এমনকি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা থেকে শুরু করে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম সাহেবও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিদিনই এই প্রতিবাদ জানানো বিশিষ্ট মানুষ এবং নানা সংগঠনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একশ্রেণীর মিডিয়ায় ডাহা মিথ্যা কথা প্রচার করায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওইসব সংবাদ মাধ্যমের প্রতি।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সারদা ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলার মুসলিমদের কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত এটা।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া সংসদ সদস্য তথা ‘কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করার ঘৃণ্য খেলায় মেতেছে।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন’র পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান বরকতি সাফ জানিয়ে দেন, ‘সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।’
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, অল ইন্ডিয়া মুসলিম থিংক ট্যাংক, বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, স্টুডেন্ট ইসলামিক অরগানাইজেশন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, জামায়াতে ইসলামী হিন্দসহ বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিমবাংলার কোনো না কোনো স্থান থেকে প্রতিবাদের উচ্চকিত কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হচ্ছে।
এদিকে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে একশ্রেণীর মিডিয়া কার্যত খেই হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে এবার। একই প্রকাশনা হওয়া সত্ত্বেও সোমবার আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সিমির সাবেক নেতা আহমদ হাসান ইমরানের সঙ্গে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের দহরম-মহরম নিয়েও নানা তথ্য তুলে দেয়া হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।’
যদিও এবিপি প্রকাশনেরই অন্য কাগজ ‘এবেলা’ সোমবার পাঁচ পাতায় একই বিষয়ে একটি খবর ছেপেছে। সেই খবরের শিরোনাম, ‘সারদা নথি দেননি হাসিনা’। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত খবরের শিরোনাম ছিল, ‘তৃণমূলের জামাত-যোগ, মোদিকে তথ্য দিলেন হাসিনা’।
এভাবে পরস্পরবিরোধী খবর করেছে একই প্রকাশনার দুটি কাগজ। ‘এবেলা’র বিস্তারিত সংবাদের মধ্যে লেখা হয়েছে, ‘বৈঠকে সারদা সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র মোদিকে দিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, আলোচ্যসূচিতে নথিপত্রের বিষয়টি ছিল না।’ এছাড়া বিডি মনিটর এবং ভারতের নিউজএক্স-এর সাংবাদিকদের প্রতিবেদনেও স্পষ্ট ‘এটা আলোচ্যসূচিতেই ছিল না। যদিও একশ্রেণীর মিডিয়া সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমদ হাসান ইমরানের নামে কাদা ছিটাতেই ব্যস্ত। এনডিটিভি
Comments
Post a Comment