ব্রিটেনের প্রথম এবং তৃতীয় পশ্চিমা হিসেবে তার শিরশে্ছদ করা হয়।

ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথের শিরশে্ছদ করা উচিত কিনা তা স্থির করতে একটি গণভোট হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন রেডিও ৫ এর একজন অতিথি আলোচক। 
ব্রিটেনের রাণীকে নিয়ে কৌতুক করে এমন দুঃখজনক মন্তব্যটি করেন অ্যান্ডি জাল্জম্যান নামে একজন কৌতুক অভিনেতা। 
বিবিসির রেডিও ৫ এর ‘খ্রিষ্টীয় ও’কনেল ম্যানিফেস্টো’ নামে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্যটি করা হয়।
অনুষ্ঠানটি শনিবার সকাল ১০ টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। 
তিন জন অতিথির একজন ছিলেন জাল্জম্যান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিষয়ে গণভোট নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিতর্ক অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক ডগি অ্যান্ডারসন ছাড়াও কৌতুক অভিনেতা লুসি বিউমন্ট উপস্থিত ছিল। আর কি কি বিষয় নিয়ে গণভোট হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য অতিথিদের বলা হয়।
জাল্জম্যান রানীর শিরশে্ছদ করা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একটি গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করেন। 
তবে উদ্ধৃতাংশটি বিবিসির পুনরায় প্রচারিত আইপ্লেয়ার শো থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
বেইকি রবিন্স নামে লন্ডনের একজন শ্রোতা বলেন, ‘বলা যায় এটি পুরোপুরি একটি ভয়ানক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে,যা সত্যিই দুঃখজনক।’
তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কণ্ঠে আরো বলেন, এটা রানীর প্রতি শুধু অসম্মান প্রদর্শনই নয়, শিরশে্ছদের মত ভয়াবহ বিষয় নিয়ে মজা করা সংবেদনশীল বিষয়ও বটে এবং এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বিবিসিকে তার নিজেদের প্রতি নজর দেয়া এবং অনুষ্ঠান প্রচারে আরো বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন রবিন্স।
অনুষ্ঠানটির প্রচার সম্পর্কে বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেন, উপস্থাপক এবং অতিথিরা গলাবাজি, মিষ্টি কথার প্রতারণা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বির্তক করেন এবং কিভাবে এ থেকে মুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।
শনিবার সকাল ১০ টায় এক ঘন্টাব্যাপী খ্রিষ্টীয় ও’কনেল মেনিফেস্টো অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন ও’কনেল।
বিবিসি আরো জানায়, ‘স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়টি ছিল এই সপ্তাহের বিশেষ আয়োজন ুযেহেতু ফলাফল ব্রিটেনের পক্ষে গেছে এবং সেহেতু কিভাবে স্কটল্যান্ডকে আরো উন্নত করা যায়,তা ছিল আলোচনার মূল বিষয়।’
ঘটনাটির পর বিবিসির একজন প্রতিনিধি বলেন, খ্রিষ্টীয় ও’কনেল মেনিফেস্টো অনুষ্ঠানটি একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।তিনি জানান, মন্তব্যটির ব্যাপারে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচটি অভিযোগ পেয়েছি। 
আইএস জঙ্গিদের হাতে সম্প্রতি তিনজন বন্দির শিরশে্ছদ হওয়ার পরই এ মন্তব্যটি করা হয়। 
১৪ সেপ্টেম্বর আইএস জঙ্গিরা ডেভিড হাইনেজ নামে একজন স্কটিশ সহায়তা কর্মীর শিরশে্ছদের ভিডিও প্রকাশ করে। 
ব্রিটেনের প্রথম এবং তৃতীয় পশ্চিমা হিসেবে তার শিরশে্ছদ করা হয়।
আইএস জঙ্গিদের হাতে শিরশে্ছদের প্রথম শিকার হন জেমস ফলি নামে একজন মার্কিন সাংবাদিক। ১৯ আগষ্ট তার শিরশে্ছদের ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
এর সপ্তাহ খানেক পর স্টিভেন সলোফ নামে আরো একজনের শিরোচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
জন কেন্টলি নামে আরো একজন ব্রিটিশ নাগরিক এখনও জঙ্গীদের হাতে জিম্মি রয়েছেন।
সূত্র: মেইল অনলাইন

Comments