‘নারীদেহ হলো এক মন্দির
চিন্তাভাবনা না করেই যেকোনও বিষয়ে দুম করে মন্তব্য তিনি আগেও করেছেন। এবার বৃহস্পতিবার অননুকরণীয় ভঙ্গিতে আরেকটি বিতর্কের জন্ম দিলেন তিনি। দিল্লির এক মহিলা কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শহুরে নারীদের অসুখের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, ‘নারীদেহ হলো এক মন্দির যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ নারীদের এক নবীন প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারলে তার সুফল ভোগ করবে পরিবার, সমাজ ও দেশ। মেয়েরা শুধু চাকরিই করেন না, তারা একাধারে মা, সন্তানের শিক্ষিকা এবং নীতিবোধের পরাকাষ্ঠা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ ভাগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না হলেও, প্রথমাংশ নিয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে নারী আন্দোলন কর্মী কবিতা কৃষ্ণান জানিয়েছেন, ‘নারীর শরীর কোনো মন্দির নয় যা দেশের সম্পত্তি। তার সুস্থ থাকা দরকার
একমাত্র নিজের জন্যই, পরিবার, সমাজ বা দেশের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য নয়।’
এতেই থেমে না থেকে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নবীন প্রজন্মের মেয়েদের একাধারে
পেশাদার, মা, শিক্ষক, নীতিবোধের পরাকাষ্ঠা ইত্যাদি বলার অর্থ কি? সন্তানের পিতার
থেকে কি একই দায়িত্বজ্ঞান আশা করা যায় না?’
এছাড়া আধুনিকাদের জীবনযাপন পদ্ধতি ও ধূমপানের প্রতি আসক্তি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন হর্ষবর্ধন। তিনি জানান, ‘পেশাদার মহিলাদের জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। একদিকে পেশাদারিত্বের কারণে কাজের চাপ, অন্য দিকে অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ও যথেষ্ট ঘুমের অভাবে তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সরকার ধর্মীয়, সামাজিক, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাহায্য চাইছে।’ পাশাপাশি, অতিরিক্ত ব্যয়াম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের সাহায্যে মেয়েদের ওজন কমানোর প্রচেষ্টারও কড়া সমালোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তার এই সমস্ত মন্তব্যের জেরে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে নিন্দায় মুখর হয়েছে নবীন প্রজন্ম
Comments
Post a Comment