হায়দরাবাদ মে তো অ্যাসেহিচ হোতা হ্যায়

হায়দরাবাদ মে তো অ্যাসেহিচ হোতা হ্যায়’—ভারতের হায়দরাবাদ শহরে গেলেই শোনা যাবে এ কথা। অর্থাৎ ‘হায়দরাবাদে এমনই হয়।’ কথাটি সত্যিই তাঁদের জন্য প্রযোজ্য। এর প্রমাণ আবার দেখিয়েছেন হায়দরাবাদের মঞ্জুলতা কালানিধি।
৩৮ বছর বয়সী মঞ্জুলতা কালানিধি দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য আশীর্বাদ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মঞ্জুলতা কালানিধি জানান, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তিনি দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প সম্পর্কে জেনেছেন। সেখান থেকেই মাথায় আসে মুষ্টিচাল বা বাটিচাল প্রকল্প। এই প্রকল্প অনুসারে ছোট্ট একটি উদ্যোগে বড় ধরনের কাজ করে ফেলা সম্ভব।
মঞ্জুলতা বলেন, প্রথমে তিনি এলাকার এক দরিদ্র ব্যক্তিকে এক বাটি চাল দেন। সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘চলো আমার সঙ্গে। আমি দেশি স্টাইলে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।’
মঞ্জুলতা বলেন, ‘এক বাটি চাল অথবা বিরিয়ানি রান্না করে স্থানীয় দরিদ্র ব্যক্তিকে দাও। যদি এটা দিতে না পারো, তাহলে ১০০ টাকার ওষুধ কিনে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে দাও। প্রত্যেকে নিজ এলাকায় উদ্যোগ নিলে এভাবে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব।’ তিনি ডাক দেন, ‘কে আমার সঙ্গে এই প্রকল্পে যোগ দেবে?’ এরপরে অনেকেই সাড়া দেন।
গত এক সপ্তাহে মঞ্জুলতার বাটিচাল প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন হাজারো মানুষ। কেউ এলাকার কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে এক বাটি চাল দেন। সেই ছবি তুলে দেন ফেসবুকে। ফেসবুকে কেউ এ ছবি দিয়ে আরেকজনকে ট্যাগ করতে বলেন। এভাবে ছবিগুলো ছড়িয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার এ ধরনের একটি ছবিতে লাইক পড়েছে ৫০ হাজার।
গত বুধবার হায়দরাবাদের করিমনগরে একটি ডিগ্রি কলেজে সবচেয়ে বড় চাল দান করার ঘটনাটি ঘটে। সেখানে দুই হাজার শিক্ষার্থী দুই হাজার ২০০ কিলো চাল দান করে। এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, তরুণ, বয়স্ক, ধনী, দরিদ্র, তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই।
হায়দরাবাদবাসী এ প্রকল্পে এখন যুক্ত করতে চান শহরের বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের। যেমন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলা ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জোয়ালা গত্তার চাল দেওয়ার ছবি যদি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আরও বেশি জনপ্রিয় হবে।
ফেসবুকে মঞ্জুলতার এ প্রকল্প কালো ও হলুদ রঙের ব্যানারে পোস্ট করা হয়। তা ছড়িয়ে পড়েছে সব খানে

Comments