মস্তিষ্ক হ্যাকিং

নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা মস্তিষ্ক হ্যাকিং নিয়ে কাজ করছেন। মূলত মস্তিষ্কের কর্মদতা বাড়াতেই এ ধরনের প্রযুক্তি উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হ্যাকিং বলতে সাধারণত নেতিবাচক উদ্যোগকেই বোঝানো হয়। কিন্তু নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্যারি মারকাস এবং তার সহকর্মীরা মস্তিষ্ক হ্যাকিংয়ের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে কোনোভাবেই নেতিবাচক বলা যাবে না। কারণ তারা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের অবস্থা জানার মাধ্যমে এর কর্মদতা বাড়াতেই এ হ্যাকিং পরিচালনা করবেন। মনোনিবেশ, গাণিতিক সমতা, স্মৃতিসহ মস্তিষ্কের আরো কিছু বিষয়ের দতা বাড়াতে ব্যবহৃত হবে এ প্রযুক্তি। এসব বিষয়ে দতা বাড়াতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মস্তিষ্কের সাধারণ কর্মদমতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে গবেষকদের পরিচালিত হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। 
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গ্যারি মারকাস বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা মানব মস্তিষ্ক সম্পর্কে ধীরে ধীরে বিভিন্ন তথ্য পেতে শুরু করব। আর এ প্রযুক্তি মস্তিষ্ক সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে সহায়তা করবে। বিভিন্ন কারণে মানব মস্তিষ্কে দুশ্চিন্তা প্রবেশ করে। এ ধরনের দুশ্চিন্তার কারণ ও ধরন জানতে সহায়তা করবে মস্তিষ্ক হ্যাকিং প্রযুক্তি। এ ছাড়া দৃষ্টি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ধারণা পেতেও প্রযুক্তিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিটি বাস্তবে রূপ নিতে আরো কয়েক বছর লাগবে। প্রযুক্তিটি মানুষের চিন্তার ধরনেও পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে প্রযুক্তিটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতে পারে

Comments

  1. এই রকম অসাধারন একটা পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসা করি এই রকম পোস্ট আরও পাব। সময় থাকলে আমার e shopping সাইটে ঘুরে আস্তে পারেন।

    ReplyDelete

Post a Comment