ইসলামিক স্টেটের ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে লড়াই করতে ?
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরিয়া ও ইরাকের উত্তরাঞ্চলে
ইসলামিক স্টেটের ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে
শুক্রবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে কেরি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে
অভিযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে সম্ভাব্য ব্যাপক ভিত্তিক জোট
গঠনের পে মত দেন। ওয়েলস-এ ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের এক সপ্তাহ আগে তিনি এ
অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন এ শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ন্যাটোর ওই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে
তিনি ও প্রতিরামন্ত্রী চাক হেগেল তাদের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও
প্রতিরা মন্ত্রীর সাথে সাাৎ করবেন। তাদের এ সাাতের ল্যই হচ্ছে আইএসের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্ভাব্য সহাযোগিতার একটি তালিকা প্রস্তুত করা। মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল
নিয়ন্ত্রণকারী আইএস’কে দমনে তিনি একটি ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করছেন। সেখানে
জঙ্গিরা একটি ‘খেলাফত’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
ওই নিবন্ধে কেরি বলেন, ওবামা সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা
পরিষদের এক শীর্ষ বৈঠকে আইএসকে দমনে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। কেরি
আরো বলেন, আইএসআইএস ক্যান্সার অন্যান্য দেশে ছড়ানোর সুযোগ দেয়া হবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইএসের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তারা অবশ্যই
পরাজিত হবে। ন্যাটোর এ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর ওয়েলেস-এ
অনুষ্ঠিত হবে।
বাশারের মিত্ররা উদ্বিগ্ন
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আইএস আরো এলাকা দখল করায় এবং গোষ্ঠীটির হাতে
বহু সরকারি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট
বাশার আল আসাদের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ মিত্র। জঙ্গিদের দমনে সরকারের ব্যর্থতার
জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। গত
সপ্তাহে রাক্কা প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তাবকা বিমান ঘাঁটি দখল করে
নেয় আইএস। ওই বিমান ঘাঁটি থেকে বন্দী আড়াই শ’ সরকারি সেনাকে মরুভূমিতে
নিয়ে গুলি করে হত্যার দৃশ্য ইন্টারনেটে প্রচার করে গ্রুপটি।
এতে দেশটির গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদের প নেয়া মিত্ররা উদ্বিগ্ন হয়ে
উঠেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম আসাদের চাচাতো ভাই দেশটির প্রতিরামন্ত্রীর
পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাবকা বিমান ঘাঁটির পতনের জন্য প্রতিরামন্ত্রীকে দায়ী
করেছেন তিনি। রাক্কা প্রদেশের তাবকা ঘাঁটি এলাকাটিই শুধু সরকারি বাহিনীর
নিয়ন্ত্রণে ছিল। প্রদেশের বাদবাকি প্রায় পুরোটাই আইএসের দখলে ছিল। ওই
ঘাঁটিটির পতনের পর পুরো প্রদেশটিই আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
Comments
Post a Comment