বড় শরিফ তাঁর মতো করে গণতন্ত্রের জন্য বুক চাপড়াচ্ছে
এখনই, না হয় কখনোই নয়, ইমরান খান ও ড. তাহিরুল কাদরির কর্মীরা এভাবেই
তাঁদের নেতাদের দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলছেন। তাঁদের নেতারা নওয়াজ শরিফের
পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, এই ব্রিটিশ ঘরানার অভিজাতবান্ধব
সরকারব্যবস্থার দিন ফুরিয়ে এসেছে। এটাকে তাঁরা গরিববিদ্বেষী হিসেবে আখ্যা
দিয়েছেন। সে কারণেই তাঁরা ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন। নাটকীয়ভাবে ইমরান খান গত
বুধবার গণমাধ্যম ও তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন,‘ নওয়াজ শরিফের
পদত্যাগের বিষয়ে কোনো আপস হবে না। শরিফ যত দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তত
দিন আমরা ন্যায়বিচার পাব না।’
আর এই দাবি পূরণ হতে হলে মন্ত্রীদের লাশের ওপর দিয়ে তা হতে হবে, মুসলিম লীগের নেতারা বলেছেন। বুধবার বিকেলে দেখা যায়, শরিফ-সমর্থকেরা খুব ক্ষীণ গলায় বলছেন, না, সবকিছু ঠিক আছে। মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চীন সফরের সময়ও এমনটা দেখা গেছে।
বড় শরিফ তাঁর মতো করে গণতন্ত্রের জন্য বুক চাপড়াচ্ছেন। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে তিনি মিত্রদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, বর্তমান ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘একটি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে...সেটা কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যাপার নয়...সরকার যায়, সরকার আসে, প্রধানমন্ত্রীরা আসে-যায়, কিন্তু নীতি, গণতন্ত্র ও সংবিধান টিকে থাকে।’
নওয়াজ শরিফ শুধু এটুকুই বলতে পারেন। এর জন্য তিনি শুধু তাঁর পার্টির হোমরাচোমরা ও পরামর্শকদের দোষারোপ করতে পারেন, কারণ:
১. ১৭ মার্চ পুলিশ লাহোরে ১৪ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করার পর দেখা গেল, পিএমএলের এই উপদেষ্টারা শুধু ঝামেলা লাগাতেই পারেন।
২. দলটির এই হইচই দেখে বোঝা যায়, সেখানে কোনো সংকট মোকাবিলার ব্যবস্থা নেই। দলটিতে কোনো অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপার নেই, বড়জোর সেটা কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে। নওয়াজ শরিফ ও তাঁর কয়েকজন মন্ত্রীর আচরণে এমনটা মনে হয়েছে। গণতন্ত্র ও জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো বালাই এখানে নেই।
৩. দলটিতে না-বলার এক বৈপরীত্যমূলক সংস্কৃতি রয়েছে। এরা বিরোধী দলের ওপর ক্ষমতালোভী মাস্তানের মতো হামলে পড়ে আর অভিযোগ করে, এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ দাবি করে। আবার এরা একদল দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে সংলাপে বসে এবং তাদের ‘পাঁচ থেকে ছয়টি দাবি মেনে নেয়’।
৪. দলটি দাবি করে, তারা কারও কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু বিরোধী পক্ষ থেকে সব সময় আওয়াজ তোলা হয়, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।
আমার এ লেখা যখন ছাপাখানায় যায়, তখন রাজধানীর দুটি প্রধান হোটেল এমকিউএম, পিপিপি ও অন্যান্য দলের নেতাদের কলকাকলিতে সরগরম হয়ে উঠেছে। কয়েক শ মিটার দূরে, পিটিআইয়ের নেতা জাহাঙ্গীর তারিনের বাড়িতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আলোচনায়ও বসেছেন। তাঁরা যত এককাট্টা হচ্ছেন, ততই একটা ব্যাপার মনে হচ্ছে: সব গুরুভার প্রধনমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। ফলে, এই পদে যিনি থাকবেন, তাঁর বিচক্ষণতা, ঔদার্য ও আগে থেকে পদেক্ষপ নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
এমকিউএমের একজন শীর্ষ নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কীভাবে এই ত্যাগ ও ঔদার্যকে ধারণ করবেন? এটা আমরা কথা বলে ঠিক করব, তিনি বলেন। এই নাকচ করার সংস্কৃতি হালে আর পানি পাবে না। বর্তমান অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা নিরাপত্তাসংকটেও মোড় নিতে পারে, যদি কাদরি তাঁর দাবি থেকে সরে আসতে অস্বীকার করেন: ১৭ জুনের হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের ও শরিফ ভাতৃদ্বয়ের পদত্যাগ। এর পাশাপাশি এফআইআর-বিষয়ক মতৈক্য,
ভোট অডিট, নির্বাচনী সংস্কার প্রভৃতি বিষয়ে অধিকাংশ দলই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তারা ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্যাগের বিষয়েও’ মতৈক্যে পৌঁছেছে।
এই সংকট নিরসনে ব্যাপক আলোচনা চলার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি মন খুলে কথা বলেছেন। গিলানি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘তারা আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। সে সময় তারা সংসদের আধিপত্য স্বীকার করেনি, এর উল্লেখ পর্যন্ত করেনি। তার পরও আমরা এখন ব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়িয়েছি।’
সংসদে নওয়াজ শরিফের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় গিলানি বলেছেন, এই সংকটের পেছনে কে, সেটা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করা কোনো কাজের কথা নয়। এ সময় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লাগলে তার ফল ভালো হবে না। গিলানি আরও বলেছেন, আরও আগেই স্থানীয় মডেল থানায় এফআইআর করা উচিত ছিল। আইনের শাসন বেছে বেছে প্রয়োগ করার ব্যাপার নয়।
পিপিপিও এই বিষয়ে কাজ করছে, একজন এমকিউএম নেতা টিএফটিকে বলেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি খুবই বিতর্কিত। ফলে, এর পরিণতি বিপর্যয়কর হলে তা হবে আরও খারাপ, এ বিষয়ে সরকারকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এতে ইমরান ও নওয়াজ উভয়েরই মুখরক্ষা হবে বলে মনে করেন সেই এমকিউএম নেতা। এমকিউএম ও পিপিপির নেতারা আরও বলেছেন, সব দলের নেতারা একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে সেটাও একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। তার মানে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোটের অডিট, সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী সংস্কার—এসবই এখন পথ দেখাতে পারে।
অধিকাংশ দলই মনে করে, চলমান সংকটের মোকাবিলা সহিংস পন্থায় হলে পরিস্থিতি শুধু জটিলই হবে না, পিএমএল-এনও ভেতর থেকে বিভক্ত হয়ে পড়বে। ফলে, দলটির ভোটব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং নওয়াজের হাতে আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
ইমরানের ভরসা কোথায়? দ্রুত পরিবর্তনশীল জনসংখ্যাতত্ত্বেই তাঁর ভরসা নিহিত রয়েছে। পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৯ বছর, তারা ঔপনিবেশিক শাসন দেখেনি। আইনের শাসন, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে তারা পরিচিত। ফলে, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তারাই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
ইমরান খানের সমর্থকেরা মনে করে, দলটির তরুণ সমর্থকদের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে, যেটা গণতন্ত্রের আদর্শ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তাদের মধ্যে স্বপ্ন থাকতে হবে, পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে পাকিস্তান আইন ও মেধার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
নওয়াজ শরিফ এই সংকট কাটিয়ে উঠলেও শরিফ ভাতৃদ্বয়ের আশা-ভরসা খুব একটা নেই বললেই চলে। ছোট ভাইয়ের পদত্যাগে দলটিতে ঐেক্যর ঘাটতি হবে, এই ব্যক্তি তাঁর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের মাধ্যমে পুরো পাঞ্জাবকে ধরে রেখেছেন। সেখানে অন্য কাউকে বসালে আবার নওয়াজের কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন² হবে।
সংকট একদিন না একদিন কেটে যাবে, কিন্তু রাজনৈতিক ব্যবস্থার একদম বারোটা বেজে যাবে, অর্থনীতি ধসে পড়বে আর পিএমএল-এনের মধ্যে ফাটল ধরবে।
আর এই দাবি পূরণ হতে হলে মন্ত্রীদের লাশের ওপর দিয়ে তা হতে হবে, মুসলিম লীগের নেতারা বলেছেন। বুধবার বিকেলে দেখা যায়, শরিফ-সমর্থকেরা খুব ক্ষীণ গলায় বলছেন, না, সবকিছু ঠিক আছে। মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চীন সফরের সময়ও এমনটা দেখা গেছে।
বড় শরিফ তাঁর মতো করে গণতন্ত্রের জন্য বুক চাপড়াচ্ছেন। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে তিনি মিত্রদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, বর্তমান ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘একটি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে...সেটা কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যাপার নয়...সরকার যায়, সরকার আসে, প্রধানমন্ত্রীরা আসে-যায়, কিন্তু নীতি, গণতন্ত্র ও সংবিধান টিকে থাকে।’
নওয়াজ শরিফ শুধু এটুকুই বলতে পারেন। এর জন্য তিনি শুধু তাঁর পার্টির হোমরাচোমরা ও পরামর্শকদের দোষারোপ করতে পারেন, কারণ:
১. ১৭ মার্চ পুলিশ লাহোরে ১৪ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করার পর দেখা গেল, পিএমএলের এই উপদেষ্টারা শুধু ঝামেলা লাগাতেই পারেন।
২. দলটির এই হইচই দেখে বোঝা যায়, সেখানে কোনো সংকট মোকাবিলার ব্যবস্থা নেই। দলটিতে কোনো অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপার নেই, বড়জোর সেটা কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে। নওয়াজ শরিফ ও তাঁর কয়েকজন মন্ত্রীর আচরণে এমনটা মনে হয়েছে। গণতন্ত্র ও জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো বালাই এখানে নেই।
৩. দলটিতে না-বলার এক বৈপরীত্যমূলক সংস্কৃতি রয়েছে। এরা বিরোধী দলের ওপর ক্ষমতালোভী মাস্তানের মতো হামলে পড়ে আর অভিযোগ করে, এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ দাবি করে। আবার এরা একদল দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে সংলাপে বসে এবং তাদের ‘পাঁচ থেকে ছয়টি দাবি মেনে নেয়’।
৪. দলটি দাবি করে, তারা কারও কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু বিরোধী পক্ষ থেকে সব সময় আওয়াজ তোলা হয়, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।
আমার এ লেখা যখন ছাপাখানায় যায়, তখন রাজধানীর দুটি প্রধান হোটেল এমকিউএম, পিপিপি ও অন্যান্য দলের নেতাদের কলকাকলিতে সরগরম হয়ে উঠেছে। কয়েক শ মিটার দূরে, পিটিআইয়ের নেতা জাহাঙ্গীর তারিনের বাড়িতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আলোচনায়ও বসেছেন। তাঁরা যত এককাট্টা হচ্ছেন, ততই একটা ব্যাপার মনে হচ্ছে: সব গুরুভার প্রধনমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। ফলে, এই পদে যিনি থাকবেন, তাঁর বিচক্ষণতা, ঔদার্য ও আগে থেকে পদেক্ষপ নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
এমকিউএমের একজন শীর্ষ নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কীভাবে এই ত্যাগ ও ঔদার্যকে ধারণ করবেন? এটা আমরা কথা বলে ঠিক করব, তিনি বলেন। এই নাকচ করার সংস্কৃতি হালে আর পানি পাবে না। বর্তমান অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা নিরাপত্তাসংকটেও মোড় নিতে পারে, যদি কাদরি তাঁর দাবি থেকে সরে আসতে অস্বীকার করেন: ১৭ জুনের হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের ও শরিফ ভাতৃদ্বয়ের পদত্যাগ। এর পাশাপাশি এফআইআর-বিষয়ক মতৈক্য,
ভোট অডিট, নির্বাচনী সংস্কার প্রভৃতি বিষয়ে অধিকাংশ দলই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তারা ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্যাগের বিষয়েও’ মতৈক্যে পৌঁছেছে।
এই সংকট নিরসনে ব্যাপক আলোচনা চলার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি মন খুলে কথা বলেছেন। গিলানি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘তারা আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। সে সময় তারা সংসদের আধিপত্য স্বীকার করেনি, এর উল্লেখ পর্যন্ত করেনি। তার পরও আমরা এখন ব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়িয়েছি।’
সংসদে নওয়াজ শরিফের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় গিলানি বলেছেন, এই সংকটের পেছনে কে, সেটা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করা কোনো কাজের কথা নয়। এ সময় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লাগলে তার ফল ভালো হবে না। গিলানি আরও বলেছেন, আরও আগেই স্থানীয় মডেল থানায় এফআইআর করা উচিত ছিল। আইনের শাসন বেছে বেছে প্রয়োগ করার ব্যাপার নয়।
পিপিপিও এই বিষয়ে কাজ করছে, একজন এমকিউএম নেতা টিএফটিকে বলেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি খুবই বিতর্কিত। ফলে, এর পরিণতি বিপর্যয়কর হলে তা হবে আরও খারাপ, এ বিষয়ে সরকারকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এতে ইমরান ও নওয়াজ উভয়েরই মুখরক্ষা হবে বলে মনে করেন সেই এমকিউএম নেতা। এমকিউএম ও পিপিপির নেতারা আরও বলেছেন, সব দলের নেতারা একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে সেটাও একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। তার মানে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোটের অডিট, সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী সংস্কার—এসবই এখন পথ দেখাতে পারে।
অধিকাংশ দলই মনে করে, চলমান সংকটের মোকাবিলা সহিংস পন্থায় হলে পরিস্থিতি শুধু জটিলই হবে না, পিএমএল-এনও ভেতর থেকে বিভক্ত হয়ে পড়বে। ফলে, দলটির ভোটব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং নওয়াজের হাতে আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
ইমরানের ভরসা কোথায়? দ্রুত পরিবর্তনশীল জনসংখ্যাতত্ত্বেই তাঁর ভরসা নিহিত রয়েছে। পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৯ বছর, তারা ঔপনিবেশিক শাসন দেখেনি। আইনের শাসন, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে তারা পরিচিত। ফলে, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তারাই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
ইমরান খানের সমর্থকেরা মনে করে, দলটির তরুণ সমর্থকদের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে, যেটা গণতন্ত্রের আদর্শ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তাদের মধ্যে স্বপ্ন থাকতে হবে, পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে পাকিস্তান আইন ও মেধার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
নওয়াজ শরিফ এই সংকট কাটিয়ে উঠলেও শরিফ ভাতৃদ্বয়ের আশা-ভরসা খুব একটা নেই বললেই চলে। ছোট ভাইয়ের পদত্যাগে দলটিতে ঐেক্যর ঘাটতি হবে, এই ব্যক্তি তাঁর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের মাধ্যমে পুরো পাঞ্জাবকে ধরে রেখেছেন। সেখানে অন্য কাউকে বসালে আবার নওয়াজের কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন² হবে।
সংকট একদিন না একদিন কেটে যাবে, কিন্তু রাজনৈতিক ব্যবস্থার একদম বারোটা বেজে যাবে, অর্থনীতি ধসে পড়বে আর পিএমএল-এনের মধ্যে ফাটল ধরবে।
Comments
Post a Comment