আরও একটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সেনাদের আরও বিপর্যয় ঘটেছে। বুধবার গাজার উত্তর বেইত হানুন শহরে হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের হাতে আরও একটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হাতে বেশ কয়েকটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলের মারকাভা ট্যাংক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ট্যাংক এবং তা ধ্বংস করা সম্ভব নয় বলে ইহুদিবাদী সেনারা গর্ব করে এলেও হামাসের হামলার মুখে তা মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে।
এর আগে, ২০০৬ সালে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইলের বহুসংখ্যক ট্যাংক ধ্বংস হয়েছিল।
এদিকে কাসসাম ব্রিগেডের হাতে ইসরাইলের কমপক্ষে ৫২ সেনা নিহত হয়েছে বলে হামাস দাবি করেছে। এছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক সেনা। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশংকাজনক।
ইসরাইলি সেনা ‘খতম’ করার যে পরিসংখ্যান হামাস দিচ্ছে ধীরে ধীরে তাই সত্যে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মারাত্মক চাপের মুখ পড়েছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আগ্রাসন শুরুর পর যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর সমালোচনার করায় বরখাস্ত করা হয়েছে উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে।
এছাড়া হামাসের হামলার মুখে আমেরিকা, ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া ইসরাইলগামী তাদের বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ইসরাইলি এফ-১৬ বিমানে রকেট হামলা : এদিকে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিনেআল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার আকাশে ইসরাইলের একটি এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমানে আঘাত হেনেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র।
ওই ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার আকাশে দেইর আল বালাহ অঞ্চলে ইসরাইলি বিমানটিতে আঘাত হানে কাসসাম ব্রিগেডের একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
ব্রিগেডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি থেকে ছোঁড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরাইলি জঙ্গি বিমানটিতে আগুন ধরে যায়, তবে বিমানটি ইসরাইলের পূর্ব দেইর আল বালাহতে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণে সক্ষম হয়।
ইসরাইলের সংবাদ ও প্রচার-মাধ্যমগুলো এখনও এ বিষয়ে ইসরাইলের কোনা প্রতিক্রিয়ার কথা জানায়নি।
এর আগে ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড ইসরাইলের এক সেনাকে বন্দি করার কথা জানালেও ইসরাইল প্রথম দিকে তা অস্বীকার করে এবং পরে ইসরাইলি সেনা ও সংবাদ সূত্রগুলো সে খবরকে স্বীকৃতি

Comments