‘বোবা-কালা’ এই আরব নেতাদের আচরণে শান্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত, হতাশ, অসহায়।


গাজায় ইসরায়েলি হামলা আজ বৃহস্পতিবার ১৭ দিনে গড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে সাড়ে ছয় শয়ের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। ঘর ছেড়ে পালিয়েছে লাখো মানুষ।
ধ্বংসস্তূপ, লাশের সারি, রক্তাক্ত শিশুর মর্মন্তুদ আর্তনাদ—বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিদিন প্রকাশ হওয়া এ রকম অজস্র ছবি যখন ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় তুলছে বিশ্বজুড়ে, তখন নিশ্চুপ আরব বিশ্ব। প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কিছু মানুষ যদিওবা ইসরায়েলের উদ্ধত এ হামলার প্রতিবাদে পথে নামছে, কিন্তু একরকম মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছেন এসব দেশের শাসকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা আজ বৃহস্পতিবার ১৭ দিনে গড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে সাড়ে ছয় শয়ের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। ঘর ছেড়ে পালিয়েছে লাখো মানুষ।
ধ্বংসস্তূপ, লাশের সারি, রক্তাক্ত শিশুর মর্মন্তুদ আর্তনাদ—বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিদিন প্রকাশ হওয়া এ রকম অজস্র ছবি যখন ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় তুলছে বিশ্বজুড়ে, তখন নিশ্চুপ আরব বিশ্ব। প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কিছু মানুষ যদিওবা ইসরায়েলের উদ্ধত এ হামলার প্রতিবাদে পথে নামছে, কিন্তু একরকম মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছেন এসব দেশের শাসকেরা।
‘বোবা-কালা’ এই আরব নেতাদের আচরণে শান্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত, হতাশ, অসহায়। তাদের প্রশ্ন, আরব নেতাদের মুখে কুলুপ কেন?
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ১৯৪৮ সাল থেকে চলে আসা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আরব নেতাদের এ ভূমিকা নতুন নয়; বরং তা চিরন্তন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। বড়জোর কিছু বুলি আওড়িয়ে দায় সারার প্রথা বরাবরের মতো আজও জারি রেখেছেন আরব নেতারা।
বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, মিসর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ইরাক, সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোতে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা নিজেদের গদি রক্ষায়ই বেশি ব্যস্ত।
সৌদি আরব: সৌদি আরবের পারিবারিক ‘বাদশাহ তন্ত্র’ টিকিয়ে রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাঁদের আপস করে চলতে হয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে পশ্চিমারা মানবাধিকার ইস্যুতে রাজপরিবারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। পশ্চিমা প্রশ্রয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা মাথাচাড়া দিতে পারে। এতে রাজতন্ত্রের গদি টলোমলো হয়ে উঠতে পারে। এসব কারণে গাজা নিয়ে সৌদি আরবের মাথাব্যথা কম।
সিরিয়া: সিরিয়ার অবস্থাও তাই। সেখানকার বাশার আল আসাদ নিজের গদি সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। একদিকে, বিদ্রোহীদের চাপ, অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের উপর্যুপরি অবরোধ। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে, গাজার ঘটনায় অস্তিত্ব-সংকটে পড়া আসাদ সরকার বরং বেশি লাভবান হচ্ছে। বিশ্বের মনোযোগ এখন গাজায়। এই সুযোগে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে আসাদ বাহিনী।
মিসর: মিসরের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রখ্যাত আরব কলামিস্ট মোহাম্মাদ আল মোসাফের বলেছেন, ‘ইসরায়েল ভালো করেই জানে গাজায় হামলার বিষয়ে সিসি (মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ এল সিসি) মুখ খুলবেন না।’ তিনি বলেন, শুধু মিসর নয়, ইয়েমেন, ইরাক, লিবিয়া, এমনকি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও নিজেদের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত। তাঁরা গাজার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গাজা ইস্যুতে সিসিকে সরাসরি ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, সিসির মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি হবে কীভাবে? তিনি নিজেই তো ইসরায়েলের পক্ষের লোক। তিনিই তো গাজায় মানবিক সাহায্য দেওয়ার পথ বন্ধ করে রেখেছেন।
ইরাক: ইরাকে বর্তমানে নুরি আল মালিকির যে শিয়াপ্রধান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ট সরকার মনে করে। সুন্নি সাদ্দামকে উত্খাত করে শিয়া মালিকিকে প্রতিষ্ঠা করার পেছনে পশ্চিমাদের যে প্রত্যক্ষ ‘অবদান’ আছে, সে কথা মালিকির ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া এখন সুন্নি বিদ্রোহীরা ইরাকের একটা বিরাট অংশ দখল করে নিয়েছে। তাদের লক্ষ্য এখন বাগদাদ। ফলে মালিকির নিজের আসন নিয়েই এখন টানাটানি অবস্থা চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস বা ফুরসত কোনোটাই মালিকির নেই।
জর্ডান: জর্ডানের পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার এমপিরা গাজায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, গাজায় নৃশংস গণহত্যা চলছে, এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার জোরালো আহ্বান ছিল না।
ক্ষোভ-হতাশা: ‘আরব ভাইদের’ বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের কাছেও অপরিচিত নয়। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে হামাস খুব ভালো করেই জানে, তাদের দুঃসহ পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও ভাবিত নয় আরব বিশ্ব। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দুনিয়ার কাছ থেকে তারা খুব একটা প্রত্যাশাও করে না।

ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী হাবলেহ বলেন, ‘আরব সরকারগুলো আমাদের ঘৃণা করে। এটা নতুন কিছু নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা শুরুর সাত দিন পার হওয়ার পর দায়সারা গোছের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনিরা জানে, তারা কখনোই আরব ভাইদের ওপর ভরসা করতে পারবে না। কেননা তারা আমাদের দিক থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।’
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুস্তাফা আল সাওয়াফের মতে, অনেক আরব সরকারই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ফিলিস্তিনি সংকটের চাপ নিজেদের কাঁধে নিতে চায় না।
গাজার বাসিন্দা আশরাফ সালামেহ বলেন, কিছু আরব মনে করেন, ইসরায়েল তাঁদের হামাসের কাছ থেকে ‘রেহাই’ দেবে।
হামাস সদস্য ইউসেফ রিজকা বলেন, আরব শাসকেরা জানেন না, গাজা উপত্যকা থেকে তাঁরা ঠিক কী চান। এমনকি তাঁরা এটাও জানেন না যে, ইসরায়েলের কাছ থেকে তাঁরা কী চান।
আরব বিশ্বের বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে বিদ্রূপ করে একটি কার্টুন এঁকেছেন ফিলিস্তিনের কার্টুনিস্ট উমায়া জুহা। কার্টুনটিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি এক নারীকে সামনে থেকে ছুরি মারছে ইসরায়েল। আর পেছন দিক থেকে ছুরি মারছে আরবি ও ইসলামিক অক্ষর খচিত একটি বাহু।
ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদক আবদেল বারি আতওয়ান বলেছেন, গাজা নিয়ে কায়রোয় আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসার আগে এটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হয়েছে। এটা আরবদের কাছে এক ভীষণ লজ্জার ব্যাপার।
ফিলিস্তিনের একজন মানবাধিকার কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আরবদের হাতে অগুনতি অর্থ আর অঢেল তেল সম্পদ আছে। তাই নিয়ে তারা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে চলছে। ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় তাদের নেই। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও কাতারের শেখরা লন্ডন, প্যারিস, লাসভেগাসে গিয়ে একরাতে ফুর্তিফার্তা করে যে পয়সা উড়িয়ে দেন, তা দিয়ে হাজারো ফিলিস্তিনের একটু হলেও পুনর্বাসন সম্ভব হতো। ওই মানবাধিকার কর্মী মনে করেন, একমাত্র বোকার হদ্দরাই আরব বিশ্বের কাছ থেকে সহায়তা আশা করবে। তাদের প্রশ্ন, আরব নেতাদের মুখে কুলুপ কেন?
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ১৯৪৮ সাল থেকে চলে আসা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আরব নেতাদের এ ভূমিকা নতুন নয়; বরং তা চিরন্তন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। বড়জোর কিছু বুলি আওড়িয়ে দায় সারার প্রথা বরাবরের মতো আজও জারি রেখেছেন আরব নেতারা।
বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, মিসর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ইরাক, সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোতে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা নিজেদের গদি রক্ষায়ই বেশি ব্যস্ত।
সৌদি আরব: সৌদি আরবের পারিবারিক ‘বাদশাহ তন্ত্র’ টিকিয়ে রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাঁদের আপস করে চলতে হয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে পশ্চিমারা মানবাধিকার ইস্যুতে রাজপরিবারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। পশ্চিমা প্রশ্রয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা মাথাচাড়া দিতে পারে। এতে রাজতন্ত্রের গদি টলোমলো হয়ে উঠতে পারে। এসব কারণে গাজা নিয়ে সৌদি আরবের মাথাব্যথা কম।
সিরিয়া: সিরিয়ার অবস্থাও তাই। সেখানকার বাশার আল আসাদ নিজের গদি সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। একদিকে, বিদ্রোহীদের চাপ, অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের উপর্যুপরি অবরোধ। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে, গাজার ঘটনায় অস্তিত্ব-সংকটে পড়া আসাদ সরকার বরং বেশি লাভবান হচ্ছে। বিশ্বের মনোযোগ এখন গাজায়। এই সুযোগে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে আসাদ বাহিনী।
মিসর: মিসরের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রখ্যাত আরব কলামিস্ট মোহাম্মাদ আল মোসাফের বলেছেন, ‘ইসরায়েল ভালো করেই জানে গাজায় হামলার বিষয়ে সিসি (মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ এল সিসি) মুখ খুলবেন না।’ তিনি বলেন, শুধু মিসর নয়, ইয়েমেন, ইরাক, লিবিয়া, এমনকি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও নিজেদের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত। তাঁরা গাজার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গাজা ইস্যুতে সিসিকে সরাসরি ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, সিসির মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি হবে কীভাবে? তিনি নিজেই তো ইসরায়েলের পক্ষের লোক। তিনিই তো গাজায় মানবিক সাহায্য দেওয়ার পথ বন্ধ করে রেখেছেন।
ইরাক: ইরাকে বর্তমানে নুরি আল মালিকির যে শিয়াপ্রধান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ট সরকার মনে করে। সুন্নি সাদ্দামকে উত্খাত করে শিয়া মালিকিকে প্রতিষ্ঠা করার পেছনে পশ্চিমাদের যে প্রত্যক্ষ ‘অবদান’ আছে, সে কথা মালিকির ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া এখন সুন্নি বিদ্রোহীরা ইরাকের একটা বিরাট অংশ দখল করে নিয়েছে। তাদের লক্ষ্য এখন বাগদাদ। ফলে মালিকির নিজের আসন নিয়েই এখন টানাটানি অবস্থা চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস বা ফুরসত কোনোটাই মালিকির নেই।
জর্ডান: জর্ডানের পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার এমপিরা গাজায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, গাজায় নৃশংস গণহত্যা চলছে, এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার জোরালো আহ্বান ছিল না।
ক্ষোভ-হতাশা: ‘আরব ভাইদের’ বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের কাছেও অপরিচিত নয়। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে হামাস খুব ভালো করেই জানে, তাদের দুঃসহ পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও ভাবিত নয় আরব বিশ্ব। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দুনিয়ার কাছ থেকে তারা খুব একটা প্রত্যাশাও করে না।

ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী হাবলেহ বলেন, ‘আরব সরকারগুলো আমাদের ঘৃণা করে। এটা নতুন কিছু নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা শুরুর সাত দিন পার হওয়ার পর দায়সারা গোছের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনিরা জানে, তারা কখনোই আরব ভাইদের ওপর ভরসা করতে পারবে না। কেননা তারা আমাদের দিক থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।’
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুস্তাফা আল সাওয়াফের মতে, অনেক আরব সরকারই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ফিলিস্তিনি সংকটের চাপ নিজেদের কাঁধে নিতে চায় না।
গাজার বাসিন্দা আশরাফ সালামেহ বলেন, কিছু আরব মনে করেন, ইসরায়েল তাঁদের হামাসের কাছ থেকে ‘রেহাই’ দেবে।
হামাস সদস্য ইউসেফ রিজকা বলেন, আরব শাসকেরা জানেন না, গাজা উপত্যকা থেকে তাঁরা ঠিক কী চান। এমনকি তাঁরা এটাও জানেন না যে, ইসরায়েলের কাছ থেকে তাঁরা কী চান।
আরব বিশ্বের বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে বিদ্রূপ করে একটি কার্টুন এঁকেছেন ফিলিস্তিনের কার্টুনিস্ট উমায়া জুহা। কার্টুনটিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি এক নারীকে সামনে থেকে ছুরি মারছে ইসরায়েল। আর পেছন দিক থেকে ছুরি মারছে আরবি ও ইসলামিক অক্ষর খচিত একটি বাহু।
ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদক আবদেল বারি আতওয়ান বলেছেন, গাজা নিয়ে কায়রোয় আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসার আগে এটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হয়েছে। এটা আরবদের কাছে এক ভীষণ লজ্জার ব্যাপার।
ফিলিস্তিনের একজন মানবাধিকার কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আরবদের হাতে অগুনতি অর্থ আর অঢেল তেল সম্পদ আছে। তাই নিয়ে তারা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে চলছে। ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় তাদের নেই। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও কাতারের শেখরা লন্ডন, প্যারিস, লাসভেগাসে গিয়ে একরাতে ফুর্তিফার্তা করে যে পয়সা উড়িয়ে দেন, তা দিয়ে হাজারো ফিলিস্তিনের একটু হলেও পুনর্বাসন সম্ভব হতো। ওই মানবাধিকার কর্মী মনে করেন, একমাত্র বোকার হদ্দরাই আরব বিশ্বের কাছ থেকে সহায়তা আশা করবে।

Comments