Posted by
shahin
ফেসবুকে পোস্ট লিখলেই কি আর টাকা মেলে?
যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট লিখে শুধু মনের খোরাক হয়, অর্থ আয় করা যায় না। ফেসবুকে আপনার লেখা পোস্ট লাইক, শেয়ারে ভরে যাবে কিন্তু অর্থ-কড়ি কিছুই আসবে না। আপনি কষ্ট করে পোস্ট লিখবেন আর আপনার লেখা সে পোস্ট থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করবে ফেসবুক? এই ধারণাটি পরিবর্তন করার চেষ্টাও চলছে প্রযুক্তি বিশ্বে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুটি উদ্যোগ এই ধারণাকে পরিবর্তন করে দিতে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি এ ধরনের সাইট ব্যবহারকারীরা যাতে অর্থ উপার্জন করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে ‘বাবলিউজ’ ও ‘বোনজো মি’ নামের দুটি সাইট তৈরি হয়েছে। ইকনমিক টাইমসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাবলিউজ হচ্ছে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, যেটি সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করেছে। এই সাইটে পোস্ট লিখে অর্থ আয় করতে পারবেন ব্যবহারকারী। যার পোস্ট যত ভিজিটর ও বিজ্ঞাপন টানবে তার তত বেশি অর্থ আয় হবে। বোনজো মির উদ্যোক্তারাও এই ধারণা নিয়েই কাজ শুরু করেছেন।
বোনজো মির উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মাইকেল নুজবাম বলেন, ‘অনেকের মতোই আমার মনে হয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে এসেছে। ফেসবুক প্রচুর অর্থ কামাচ্ছে আর ফেসবুকে যাঁরা কনটেন্ট দিচ্ছেন তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না। বোনজো মি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৮০ শতাংশ দিয়ে দেবে।
অবশ্য ব্যবহারকারীদের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাবলিউজের ধারণাটি আরও জটিল। প্রতিটি পোস্ট কতবার ক্লিক হচ্ছে এবং তা কতখানি জনপ্রিয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে অর্থ পরিশোধ করবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বাবলিউজের প্রধান নির্বাহী আরভিন দীক্ষিত বলেন, আমাদের সাইটে আসার জন্য কাউকে চাকরি ছাড়ার দরকার নেই। আমরা ব্যবহারকারীদের কাছে স্বচ্ছ থাকতে চাই। সামাজিক যোগাযোগের সাইট এমন হওয়া উচিত নয় যেখানে আপনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হবে।
এই সাইটে লেখা পোস্ট যেন আজেবাজে না হয় এবং তা যেন কাজের উপযোগী পোস্ট হয় সে বিষয়টিতে উত্সাহ দিতেও কাজ করছে বাবলিউজ। এই সাইটে প্রতিটি পোস্ট কমপক্ষে ৪০০ অক্ষরের হতে হবে।
এই ধরনের উদ্যোগ কী সফল হবে? প্রযুক্তি বিশ্লেষক রব এনড্রিলের মতে, বাবলিউজের মতো এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে আকর্ষণ করবে। কারণ, বিনামূল্যে কনটেন্ট পাওয়ার মডেল স্থায়ী নয়।
রব এনড্রিল বলেন, আপনি কনটেন্টের জন্য মূল্য পরিশোধ না করলে ভালো মানের কনটেন্ট পাবেন না। শুধু লাইক পেলে তো আর তা কাজে লাগানো যায় না।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি করছে। ফেসবুকের প্রাইভেসি বিষয়ক নীতিমালা নিয়ে মানুষ সমালোচনা করছে। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নিয়ে মানুষের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ফেসবুকের বিতর্কিত গবেষণার মতো অনেক বিষয়ও রয়েছে।
ফেসবুকে প্রায় ১৩০ কোটি ব্যবহারকারী আছেন। মোবাইল ফোন থেকে এই সাইটে মানুষ বেশি সময় কাটায় বলে বিজ্ঞাপনদাতারাও ফেসবুকে টাকা ঢালেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের মতে, ফেসবুকের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ভবিষ্যতে আরও বাড়ছে। ফেসবুকের পাশাপাশি মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কেটিং টুল হিসেবে এখন ফেসবুক ও টুইটারকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট তৈরি করে নতুন উদ্যোক্তারাও অর্থ আয় করতে চান, তবে তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে যাঁরা এই সাইটে সময় দিয়ে পোস্ট লিখবেন তাঁরাও যেন হাতখরচটা অন্তত পান।
বোনজো মি সাইটটির এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘আমরা এমন একটি যুগে বাস করছি যেখানে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা যেকোনো পোস্ট ভাইরাল হয়ে যেতে পারে আর এর সুবাদে হাতে কিছু অর্থও চলে আসতে পারে।
বোনজো মির উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মাইকেল নুজবাম বলেন, ‘অনেকের মতোই আমার মনে হয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে এসেছে। ফেসবুক প্রচুর অর্থ কামাচ্ছে আর ফেসবুকে যাঁরা কনটেন্ট দিচ্ছেন তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না। বোনজো মি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৮০ শতাংশ দিয়ে দেবে।
অবশ্য ব্যবহারকারীদের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাবলিউজের ধারণাটি আরও জটিল। প্রতিটি পোস্ট কতবার ক্লিক হচ্ছে এবং তা কতখানি জনপ্রিয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে অর্থ পরিশোধ করবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বাবলিউজের প্রধান নির্বাহী আরভিন দীক্ষিত বলেন, আমাদের সাইটে আসার জন্য কাউকে চাকরি ছাড়ার দরকার নেই। আমরা ব্যবহারকারীদের কাছে স্বচ্ছ থাকতে চাই। সামাজিক যোগাযোগের সাইট এমন হওয়া উচিত নয় যেখানে আপনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হবে।
এই সাইটে লেখা পোস্ট যেন আজেবাজে না হয় এবং তা যেন কাজের উপযোগী পোস্ট হয় সে বিষয়টিতে উত্সাহ দিতেও কাজ করছে বাবলিউজ। এই সাইটে প্রতিটি পোস্ট কমপক্ষে ৪০০ অক্ষরের হতে হবে।
এই ধরনের উদ্যোগ কী সফল হবে? প্রযুক্তি বিশ্লেষক রব এনড্রিলের মতে, বাবলিউজের মতো এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে আকর্ষণ করবে। কারণ, বিনামূল্যে কনটেন্ট পাওয়ার মডেল স্থায়ী নয়।
রব এনড্রিল বলেন, আপনি কনটেন্টের জন্য মূল্য পরিশোধ না করলে ভালো মানের কনটেন্ট পাবেন না। শুধু লাইক পেলে তো আর তা কাজে লাগানো যায় না।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি করছে। ফেসবুকের প্রাইভেসি বিষয়ক নীতিমালা নিয়ে মানুষ সমালোচনা করছে। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নিয়ে মানুষের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ফেসবুকের বিতর্কিত গবেষণার মতো অনেক বিষয়ও রয়েছে।
ফেসবুকে প্রায় ১৩০ কোটি ব্যবহারকারী আছেন। মোবাইল ফোন থেকে এই সাইটে মানুষ বেশি সময় কাটায় বলে বিজ্ঞাপনদাতারাও ফেসবুকে টাকা ঢালেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের মতে, ফেসবুকের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ভবিষ্যতে আরও বাড়ছে। ফেসবুকের পাশাপাশি মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কেটিং টুল হিসেবে এখন ফেসবুক ও টুইটারকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট তৈরি করে নতুন উদ্যোক্তারাও অর্থ আয় করতে চান, তবে তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে যাঁরা এই সাইটে সময় দিয়ে পোস্ট লিখবেন তাঁরাও যেন হাতখরচটা অন্তত পান।
বোনজো মি সাইটটির এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘আমরা এমন একটি যুগে বাস করছি যেখানে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা যেকোনো পোস্ট ভাইরাল হয়ে যেতে পারে আর এর সুবাদে হাতে কিছু অর্থও চলে আসতে পারে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment