গুন্ডেতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস!
সোজা সাপটা
তা মি ম হা সা ন tamimhasan@gmail.com
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৫
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৫
চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানে এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র
প্রদর্শন বন্ধ রয়েছে। আর বন্ধ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সবার আগে কপাল পুড়েছে
হিন্দি চলচ্চিত্র গুন্ডের। আর এই ছবিতেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত
করে উপস্থাপন করা হয়েছে এমন একটি অভিযোগে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে জমে উঠেছে বিতর্ক। ছবিটি নিয়ে অনেক ফেসবুক ইউজার ফেসবুকে
স্ট্যাটাস লিখে ুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
একজন টিভিব্যক্তিত্ব তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেনÑ ভারতীয় গুন্ডে চলচ্চিত্রটি আমি দেখিনি। লোকমুখে এটির কাহিনীর কিছু অংশ শুনেই হতবাক হয়ে গেছি। যারা এটি দেখেছেন তাদের কাছ থেকে জানলাম, এখানে বলা হয়েছে ‘১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারত জয়ী হয়। ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে! ভারত এই যুদ্ধে জয়ী হয় এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়!’ এটুকু শুনেই আমি হতবাক! এই ইস্যুতে আপস করতে জানি না, করব না কোনো দিন। আর সে কারণেই এ বিষয়ে দাবি করছি সরকারি শক্ত বক্তব্য। এই ইস্যুতে দেখতে চাই তাদেরই প্রতিবাদÑ যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। আশা করি, কোনো দলীয় সীমারেখার মধ্যে নয়Ñ সবাই সোচ্চার হবেন।
একই সাথে যারা এই ইস্যুকেও কেন্দ্র করে চেষ্টা করবেন ভারতবিরোধী রাজনীতির ধুয়া তুলে পানি ঘোলা করার, তাদের প্রতিও নজর রাখতে হবে। কারণ দেশের প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার হতে দ্বিধান্বিত নই, কিন্তু আমরা তাদেরও চিনি যারা এ ধরনের ইস্যুকে নিয়ে নষ্ট খেলা খেলেনÑ যারা আমাদের আবেগের পিঠে সওয়ার হয়ে নিজেদের আখের গোছান।
ওই স্ট্যাটাসের কমেন্টে আরেক জন লিখেছেন, ‘সংস্কৃতিমন্ত্রী কি এসব ইতিহাসভিত্তিক সিনেমা দেখানোর জন্যই ভারতীয় সিনেমা আমদানি করার অনুমতি দিচ্ছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ছবিটির শুরুতেই ভয়েস ন্যারেশন, যার বাংলা এরকমÑ ‘১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১, শেষ হলো ভারত-পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ। প্রায় নব্বই হাজার পাকিস্তানি ফৌজ আত্মসমর্পণ করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সে দিন। এটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধের ফলে জন্ম নিলো একটি নতুন দেশ, বাংলাদেশ। ভারতীয় সৈন্যরা যখন ঢাকা ছাড়ছিল...’
তো এতটুকু শুনে আর বাকিটা শোনার আগ্রহ পেলাম না। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ভালোমাপের লোক। তিনি কোনো পূর্বপড়াশোনা ছাড়া এই লাইনগুলো দিয়ে ‘গুন্ডে’ মুভি শুরু করেছেন, তা আমি মানতে পারছি না। তাই আপাতত রাগটা গায়ে মজাচ্ছি।
ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য পড়ে যে-কারোই মাথা চড়া হওয়ার কথা। কেননা, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস তৈরি এবং এ নিয়ে পাশের দেশের দায়সাড়াভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নিজেদের ভাবগাম্ভীর্য ও ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে সরকারের উচিত এখনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো। এতে কারো অবমাননা নয়, বরং ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো হৃদ্যতাপূর্ণ হবে।
একজন টিভিব্যক্তিত্ব তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেনÑ ভারতীয় গুন্ডে চলচ্চিত্রটি আমি দেখিনি। লোকমুখে এটির কাহিনীর কিছু অংশ শুনেই হতবাক হয়ে গেছি। যারা এটি দেখেছেন তাদের কাছ থেকে জানলাম, এখানে বলা হয়েছে ‘১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারত জয়ী হয়। ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে! ভারত এই যুদ্ধে জয়ী হয় এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়!’ এটুকু শুনেই আমি হতবাক! এই ইস্যুতে আপস করতে জানি না, করব না কোনো দিন। আর সে কারণেই এ বিষয়ে দাবি করছি সরকারি শক্ত বক্তব্য। এই ইস্যুতে দেখতে চাই তাদেরই প্রতিবাদÑ যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। আশা করি, কোনো দলীয় সীমারেখার মধ্যে নয়Ñ সবাই সোচ্চার হবেন।
একই সাথে যারা এই ইস্যুকেও কেন্দ্র করে চেষ্টা করবেন ভারতবিরোধী রাজনীতির ধুয়া তুলে পানি ঘোলা করার, তাদের প্রতিও নজর রাখতে হবে। কারণ দেশের প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার হতে দ্বিধান্বিত নই, কিন্তু আমরা তাদেরও চিনি যারা এ ধরনের ইস্যুকে নিয়ে নষ্ট খেলা খেলেনÑ যারা আমাদের আবেগের পিঠে সওয়ার হয়ে নিজেদের আখের গোছান।
ওই স্ট্যাটাসের কমেন্টে আরেক জন লিখেছেন, ‘সংস্কৃতিমন্ত্রী কি এসব ইতিহাসভিত্তিক সিনেমা দেখানোর জন্যই ভারতীয় সিনেমা আমদানি করার অনুমতি দিচ্ছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ছবিটির শুরুতেই ভয়েস ন্যারেশন, যার বাংলা এরকমÑ ‘১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১, শেষ হলো ভারত-পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ। প্রায় নব্বই হাজার পাকিস্তানি ফৌজ আত্মসমর্পণ করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সে দিন। এটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধের ফলে জন্ম নিলো একটি নতুন দেশ, বাংলাদেশ। ভারতীয় সৈন্যরা যখন ঢাকা ছাড়ছিল...’
তো এতটুকু শুনে আর বাকিটা শোনার আগ্রহ পেলাম না। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ভালোমাপের লোক। তিনি কোনো পূর্বপড়াশোনা ছাড়া এই লাইনগুলো দিয়ে ‘গুন্ডে’ মুভি শুরু করেছেন, তা আমি মানতে পারছি না। তাই আপাতত রাগটা গায়ে মজাচ্ছি।
ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য পড়ে যে-কারোই মাথা চড়া হওয়ার কথা। কেননা, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস তৈরি এবং এ নিয়ে পাশের দেশের দায়সাড়াভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নিজেদের ভাবগাম্ভীর্য ও ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে সরকারের উচিত এখনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো। এতে কারো অবমাননা নয়, বরং ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো হৃদ্যতাপূর্ণ হবে।
Comments
Post a Comment